২০ অক্টোবার ২০২১, ১৯:২৮ মিঃ
ডেভিড উইজ, কলপাক চুক্তিতে জড়িয়ে শেষ করেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার ক্যারিয়ার। তবে দেশের হয়ে খেলার পথ রুদ্ধ হয়ে গেলেও স্বপ্নপ্রদীপটা নিভতে দেননি।
নামিবিয়ার নাগরিকত্ব নিয়ে সেখানকার ক্রিকেটে নাম লেখান। তিন বছর দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে খেলা এই অলরাউন্ডার সুযোগও পেয়ে যান বিশ্বকাপে, এবার নতুন দলের জার্সিতে।
সেই সুযোগ শতভাগ কাজে লাগিয়েছেন বলা যায়। নামিবিয়ার ইতিহাসের সেরা সাফল্য লিখতে গেলে উইজের নামটি মনে করতেই হবে। প্রোটিয়া এই অলরাউন্ডারের হাত ধরেই যে প্রথমবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এসেই সাফল্যের ইতিহাস গড়েছে নামিবিয়া!
প্রথম ম্যাচে শক্তিশালী শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে পাত্তা পায়নি। দ্বিতীয় ম্যাচেই দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে নবাগত দলটি। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম জয় তুলে নিয়েছে দাপুটে খেলেই। আজ (বুধবার) আবুধাবির শেখ আবু জায়েদ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে নেদারল্যান্ডসকে এক ওভার আর ৬ উইকেট হাতে রেখেই হারিয়েছে নামিবিয়া।
ডেভিড উইজ ৪০ বলে ৪ বাউন্ডারি আর ৫ ছক্কায় খেলেন ম্যাচ জেতানো ৬৬ রানের হার না মানা ইনিংস। এর আগে বল হাতেও ৪ ওভারে ৩২ রানে একটি উইকেট নিয়েছিলেন সাবেক এই প্রোটিয়া অলরাউন্ডার।
১৬৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ধীরে শুরু করে নামিবিয়া। স্টিফেন বার্ড আর জেন গ্রিন ২৭ বলের উদ্বোধনী জুটিতে তোলেন ৩২ রান। ১২ বলে ১৫ করে গ্রিন ফিরলে ভাঙে এই জুটি।
এরপর দ্রুতই আরও দুটি উইকেট হারায় নামিবিয়া। ১৭ রানের ব্যবধানে সাজঘরে ফেরেন ৩ ব্যাটসম্যান। ক্রেগ উইলিয়ামস ১৩ বলে ১১ আর বার্ড ২২ বলে ২১ রানের ধীর ইনিংস খেলে আউট হন।
ঝড়ো এক জুটিতে সেই ধাক্কা দারুণভাবে সামলে উঠেন ডেভিড উইজ আর গেরহার্ড এরাসমাস। ২৫ বলে তারা পূর্ণ করেন ৫০ রানের জুটি। ৫০ বলে ৯৩ রানের এই জুটিই ম্যাচ ঘুরিয়ে দেয় নামিবিয়ার দিকে।
২৯ বলে ফিফটি পূরণ করেন উইজ। এরাসমাস ২২ বলে ৩২ করে যখন ফিরছেন, জয়ের জন্য ১৯ বলে মাত্র ২০ রান দরকার নামিবিয়ার। ডেভিড উইজ বাকি পথটা সহজেই পাড়ি দিয়েছেন।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ৪ উইকেটে ১৬৪ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় নেদারল্যান্ডস। শুরুটা খারাপ ছিল না ডাচদের। স্টিফেন মাইবার্গ আর ম্যাক্স ও'দাউদ ৩৪ বলে দলকে এনে দেন ৪২ রান।
পাওয়ার প্লে’র শেষ ওভারে এসে ফেরেন মাইবার্গ (১৬ বলে ১৭)। এরপর সুবিধা করতে পারেননি ফন ডার মারউইও (৪ বলে ৬)। ১৩ রানের মধ্যে ২ উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়ে নেদারল্যান্ডস।
তবে ও'দাউদ আর কলিন অ্যাকারম্যান এরপর দেখেশুনে খেলা শুরু করেন। ৪২ বলে ফিফটি পূরণ করেন ও'দাউদ। তৃতীয় উইকেট জুটিতে তারা তোলেন ৬৭ বলে ৮২ রান।
১৮তম ওভারে এসে জুটিটি ভাঙে অ্যাকারম্যান সাজঘরের পথ ধরলে। ৩২ বলে তার উইলো থেকে আসে ৩৫ রান। তবে ওপেনিংয়ে নামা ও'দাউদ একদম শেষ ওভার পর্যন্ত খেলেছেন।
ইনিংসের ৩ বাকি থাকতে অবশেষে আউট হন ও'দাউদ, পড়েন রানআউটের কবলে। ডাচ ওপেনার ৫৬ বলে ৬ বাউন্ডারি আর ১ ছক্কায় করেন ৭০ রান। তার ইনিংসটিই মূলত লড়াকু পুঁজি এনে দেয় নেদারল্যান্ডসকে। ১১ বলে ২১ রানে অপরাজিত থাকেন স্কট অ্যাডওয়ার্ডস।
নামিবিয়ার বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল ছিলেন জ্যান ফ্রাইলিংক। ৩৬ রান দিয়ে ২টি উইকেট শিকার করেন তিনি।
সর্বস্বত্ব: এমআরএল মিডিয়া লিমিটেড
ঢাকা অফিস: মডার্ণ ম্যানসন (১৫ তলা), ৫৩ মতিঝিল বাণিজ্যিক এলাকা, ঢাকা-১০০০
ময়মনসিংহ অফিস: হাসনাইন প্লাজা (দ্বিতীয় তলা), ৭ মদন বাবু রোড, ময়মনসিংহ-২২০০
সেলফোন: ০৯৬১১-৬৪৫২১৫, ০৯৬৯৭-৪৯৭০৯০
ই-মেইল: jagrota2041@gmail.com
ফোন :
ইমেইল :