২৭ অক্টোবার ২০২১, ১০:৪৮ মিঃ
দরজায় কড়া নাড়ছে শীত। ভোরের আলো ফুটলেই দেখা মিলছে কুয়াশার। শীতের আগমনে জামালপুরের প্রত্যন্ত অঞ্চলের লেপ তোশকের দোকানে ভিড় করছে মানুষ।
সরেজমিনে দেখা যায়, জেলা শহরসহ গ্রামের বিভিন্ন হাটবাজারে ব্যস্ত সময় পার করছেন লেপ তোশক কারিগররা। যেন দম ফেলবার ফুসরত নেই। প্রায় সব দোকানেই ভিড় করতে দেখা গেছে ক্রেতাদের। এদের কেউ সম্পূর্ণ নতুন আবার কেউ পুরাতন লেপ তোশক দিয়ে ফের নতুন করে বানাতে এসেছেন।
তবে বিক্রেতারা বলছেন, করোনার কারণে আগের মতো বেচা-বিক্রি নেই। শীতের তীব্রতা বাড়লে বেচা-বিক্রিও বাড়বে বলে জানান তারা। গত কয়েকদিন ধরে শীত পড়তে শুরু করায় দোকানে ক্রেতারা আসতে শুরু করেছেন। শীতের কথা মাথায় রেখে আগে অর্ডার দিয়ে প্রয়োজন মতো লেপ-তোশক বানিয়ে নিচ্ছেন অনেকে।
জেলার আরামনগর বাজারের কারিগর মো. আসাদুজ্জামান রিপন ও হোসেন আলী জানান, তুলার দাম আগের তুলনায় অনেক বেশি। বড় ও মাঝারি ধরনের লেপ তোশকের চাহিদা বর্তমানে বেশি। প্রতিদিন কিছু না কিছু অর্ডার পাচ্ছি। আশা করছি সামনের দিনগুলোতে আরও অর্ডার পাবো।
ওই বাজারে সমিরন বেওয়া নামে এক ক্রেতা জানান, শীত আসতে শুরু করেছে, কাঁথা-বালিশ পুরনো হয়ে গেছে। সেগুলোতে এখন আর শীত মানে না। পরিবারের সদস্য সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় লেপ-তোশক-বালিশ বানাতে দিলাম।
জেলা সদর ও সরিষাবাড়ী উপজেলার কারিগর আবদুল আলীম, মো. কুদরত আলী, মো. শাহজাহান আলী জানান, আগের মতো তেমন একটা ব্যবসা নাই। মানুষের খুবই অভাব। তারমধ্যে করোনার কারণে মানুষের মাঝে চরম হতাশা। তবে শীতের প্রকোপ বাড়লে অর্ডারও বাড়তে পারে।
সর্বস্বত্ব: এমআরএল মিডিয়া লিমিটেড
ঢাকা অফিস: মডার্ণ ম্যানসন (১৫ তলা), ৫৩ মতিঝিল বাণিজ্যিক এলাকা, ঢাকা-১০০০
ময়মনসিংহ অফিস: হাসনাইন প্লাজা (দ্বিতীয় তলা), ৭ মদন বাবু রোড, ময়মনসিংহ-২২০০
সেলফোন: ০৯৬১১-৬৪৫২১৫, ০৯৬৯৭-৪৯৭০৯০
ই-মেইল: jagrota2041@gmail.com
ফোন :
ইমেইল :