২২ নভেম্বার ২০২১, ১১:০৫ মিঃ
বিতর্ক এবং কঙ্গনা রানাওয়াত যেন মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। বিতর্কিত মন্তব্য করে যতবার তিনি ঘি ঢেলেছেন, ততবার দেশের একাধিক শহরে তার বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছে মামলা। এবার দিল্লির পার্লামেন্ট স্ট্রিট থানায় অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে দেশদ্রোহ ধারায় মামলা হয়েছে। এক্ষেত্রে কাঠগড়ায় তোলা হয়েছে ‘ভারতকে জেহাদি রাষ্ট্র’ বলে দেওয়া অভিনেত্রীর সাম্প্রতিক মন্তব্যকে।
গুরু নানকের জন্মদিনে কেন্দ্রের তিনটি কৃষক আইন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন নরেন্দ্র মোদি। তারপরেই এ সিদ্ধান্তে ‘বিরক্ত’ অভিনেত্রী ‘ভারতকে জেহাদি রাষ্ট্র’ ঘোষণা করে ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেন। আর একে হাতিয়ার বানিয়েছে কংগ্রেস।
দলের অভিযোগ, ‘কঙ্গনা পরিচিত অভিনেত্রী। ইনস্টাগ্রামে তার অনুরাগীর সংখ্যা ৭ মিলিয়নের বেশি। এ অবস্থায় তার দায়িত্বজ্ঞানহীন, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মন্তব্যে দেশের গণতন্ত্রের প্রতি বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে।’ তাই এর বিহিত চেয়ে আইনের দ্বারস্থ হয়েছে যুব কংগ্রেস। জানা গিয়েছে, অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে ১২৪-এ, ৫০৪ এবং ৫০৫ ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে।
সম্প্রতি ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন এবং মহাত্মা গান্ধির অহিংস নীতির বিরুদ্ধেও সোচ্চার হয়েছিলেন অভিনেত্রী। ১৯৪৭-এ পাওয়া স্বাধীনতাকে তিনি ভিক্ষাবৃত্তির সঙ্গে তুলনা করেছিলেন। এমনকি, গান্ধিজির অহিংস নীতির সমালোচনায় সরব বলিউডের ক্যুইন। এই পরিবেশে কঙ্গনার বিরুদ্ধে দায়ের রাষ্ট্রদোহ মামলায় বেশ বিপাকে পড়লেন তিনি। এমনটাই মনে করছেন সিনে সমালোচকরা।
ঠিক কী বলেছিলেন অভিনেত্রী? অভিনেত্রীর মন্তব্য, ‘ভীষণই দুঃখজনক। লজ্জাজনক এবং মোটেই ভালো হলো না এটা। সরকারকে না মেনে রাস্তার লোকেরা যদি এবার আইন বানাতে শুরু করে, তাহলে এরা তো জিহাদির সমান। শুভেচ্ছা রইল সেসব লোকেদের যারা এটাকে এভাবেই দেখতে চাইছিলেন।’ কঙ্গনার এমন বেফাঁস মন্তব্যে স্বাভাবিকভাবেই ফের সরগরম নেটদুনিয়া।
কঙ্গনা আরও যোগ করেন, ‘যখন দেশের চেতনা ঘুমোয়, তখন লাঠিই একমাত্র পথ ঠান্ডা করার জন্যে। না হলে এদের থামানোর জন্য প্রয়োজন স্বৈরাচারতন্ত্রের..।’
এদিকে, অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াত সবসময় বিতর্কে থাকতে ভালোবাসেন এ বিষয়টি এখন সবার কাছে পরিষ্কার। নানান সময়ে বেফাঁস মন্তব্য করেই তিনি হেডলাইনে থাকতে পছন্দ করেন। সবসময় দেশভক্তি নিয়ে নানান জ্ঞান কপচালেও এবার কিন্তু আলাদারকম ফেঁসেছেন তিনি। স্বাধীনতা নাকি ভিক্ষায় পেয়েছে ভারতবর্ষ, এ মন্তব্যের পর থেকেই সরগরম সোশ্যাল মিডিয়া।
অনেক মানুষ তার বিরোধিতা করেছেন। কেউ কেউ তাকে দেশ থেকে বহিষ্কার করার
উচিত বলেও মন্তব্য করেন। এবার সেই প্রসঙ্গেই মতামত পোষণ করেছেন গীতিকার
জাভেদ আখতার। টুইট করেই মোক্ষম জবাব দিয়েছেন তিনি। বলেন, ‘এটি সম্পূর্ণ
বোঝার বিষয়, যাদের স্বাধীনতা আন্দোলনের সঙ্গে কোনোরকম সম্পর্ক নেই, তাদের
কারও কোনো মন্তব্যে আমাদের খারাপ লাগাই উচিত নয়’। সহজ ভাষায় মিষ্টি মুখেই
বিরোধিতার সুর চড়িয়েছেন জাভেদ।
সর্বস্বত্ব: এমআরএল মিডিয়া লিমিটেড
ঢাকা অফিস: মডার্ণ ম্যানসন (১৫ তলা), ৫৩ মতিঝিল বাণিজ্যিক এলাকা, ঢাকা-১০০০
ময়মনসিংহ অফিস: হাসনাইন প্লাজা (দ্বিতীয় তলা), ৭ মদন বাবু রোড, ময়মনসিংহ-২২০০
সেলফোন: ০৯৬১১-৬৪৫২১৫, ০৯৬৯৭-৪৯৭০৯০
ই-মেইল: jagrota2041@gmail.com
ফোন :
ইমেইল :