, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ অনলাইন সংস্করণ

রামপুরায় শিক্ষার্থীর মৃত্যু: বাসের সুপারভাইজার-হেলপার রিমান্ডে

  নিজস্ব প্রতিবেদক

  প্রকাশ : 

রামপুরায় শিক্ষার্থীর মৃত্যু: বাসের সুপারভাইজার-হেলপার রিমান্ডে

রাজধানীর রামপুরায় বাসচাপায় একরামুন্নেসা স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেওয়া শিক্ষার্থী মাইনুদ্দিন ইসলাম দুর্জয়ের মৃত্যুর ঘটনায় করা মামলায় দুজনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। ওই মামলায় অনাবিল পরিবহনের সুপারভাইজার গোলাম রাব্বী ওরফে বিন রহমান ও হেলপার চাঁন মিয়ার একদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

বুধবার (০১ ডিসেম্বর) মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রামপুরা থানার উপপরিদর্শক মোহাম্মদ আল আমিন মীর সড়ক পরিবহন আইনে করা মামলায় দুই আসামিকে আদালতে হাজির করে সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করেন। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিট ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসীম তাদের একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

রামপুরা থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা পুলিশের উপপরিদর্শক সেলিম রেজা এ তথ্য জানান।

রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, আসামিরা ঘাতক বাস অনাবিল সুপার ঢাকা মেট্রো ব-১৫-০৮৫৬ গাড়ির সুপারভাইজার ও হেলপার। ওই গাড়ির ড্রাইভার আসামি মো. সোহেল অজ্ঞান অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। গত ২৯ নভেম্বর রাত ১১টার দিকে মাইনুদ্দিন রামপুরা বাজার এলাকায় প্রধান সড়ক পারাপার হচ্ছিল। সেসময় বাড্ডার দিক থেকে আসা বাসটি বেপরোয়া গতিতে তাকে ধাক্কা দেয়। এরপর তার ওপর দিয়ে চলে যায় বাসটি। এতে মাইনুদ্দিন ঘটনাস্থলেই মারা যায়। এ ঘটনায় উত্তেজিত জনতা বেশকিছু গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। দেশব্যাপী বিষয়টি নিয়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়।

মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদঘাটনসহ আরও কেউ জড়িত আছে কি না সে বিষয়ে আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ করে তথ্য সংগ্রহ করার জন্য সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিট ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসীম তাদের একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

গত ২৯ নভেম্বর রাত ১১টার দিকে রাজধানীর রামপুরা এলাকায় অনাবিল সুপার পরিবহনের বাসচাপায় মাইনুদ্দিন নিহত হয়। এ ঘটনায় রাতে সড়ক অবরোধ করেন উত্তেজিত জনতা। এ সময় ঘাতক বাসসহ আটটি বাসে আগুন দেওয়া হয়। ভাঙচুর করা হয় আরও চারটি বাস। মাইনুদ্দিন নিহতের ঘটনায় তার মা রাশিদা বেগম সড়ক দুর্ঘটনা আইনে মামলা করেন। একই ঘটনায় রামপুরা এলাকায় আটটি বাসে আগুন ও চারটিতে ভাঙচুর করায় পৃথক একটি মামলা করে পুলিশ। মামলায় অজ্ঞাত পাঁচ শতাধিক ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।

  • সর্বশেষ - অন্যান্য