2024-04-26 06:02:39 pm

খুমেক হাসপাতালে নারীর মৃত্যু, চিকিৎসকের সঙ্গে মারপিটে ২ ছেলে আটক

www.focusbd24.com

খুমেক হাসপাতালে নারীর মৃত্যু, চিকিৎসকের সঙ্গে মারপিটে ২ ছেলে আটক

১০ এপ্রিল ২০২২, ১৫:২১ মিঃ

খুমেক হাসপাতালে নারীর মৃত্যু, চিকিৎসকের সঙ্গে মারপিটে ২ ছেলে আটক

খুলনা মে‌ডি‌কেল ক‌লেজ হাসপাতা‌লে চিকিৎসকের অব‌হেলায় এক নারীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে হাসপাতালে মারামা‌রির ঘটনা ঘ‌টেছে। শনিবার (০৯ এপ্রিল) রাত ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মৃতের দুই ছেলেকে আটকে রেখে পু‌লিশে দিয়েছে চিকিৎসকরা।

নিহতের স্বামী মাওলানা আব্দুর রাজ্জাক বলেন, শনিবার রাতে আমার স্ত্রীর অবস্থা গুরুতর হলে তাকে খুলনা মে‌ডি‌কেল ক‌লেজ হাসপাতা‌লে আনা হয়। এ সময় আমার ছেলে ডাক্তার ডাকতে যায়। কিন্তু কোনো ডাক্তার আসেনি। তারা রোগীকে নিয়ে যেতে বলেন। ছেলে বলে রোগীকে আনা সম্ভব নয়। ডাক্তার তখন কাগজপত্র আনতে বলেন। কাগজপত্র দেখে ইন্টার্ন চিকিৎসক বলেন, সব ঠিক আছে। এরপর রাতে ছটফট করতে করতে আমার স্ত্রী মারা যায়।

মায়ের এমন মৃত্যুতে আমার ছেলে মো. মোস্তাকিম গিয়ে ডাক্তারের কাছে জানতে চায়, তারা কেন দেখতে এলেন না। এ নিয়ে ছেলের সঙ্গে চিকিৎসকের কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে হাতাহাতি হয়। আমি যখন জানতে পারি গিয়ে হাত-পা ধরে মাফ চাই। বলি আপনারা তো বোঝেন মা মারা গেছে, তাই ওদের মাথা ঠিক নেই। আপনারা মাফ করে দেন। এ সময় একজন ইন্টার্ন চিকিৎসক আমার গায়েও আঘাত করেন। পরে তারা ছেলে তরিকুল ও সাদ্দামকে পুলিশে দিয়ে দেয়। তারা বর্তমানে সোনাডাঙ্গা থানায় রয়েছে। আর আমার স্ত্রীর লাশও হাসপাতালে রয়েছে।

মাওলানা আব্দুর রাজ্জাকের ভাইয়ের ছেলে মামুন বলেন, আমার চাচির মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাচাতো ভাই মোস্তাকিমের সঙ্গে ইন্টার্ন চিকিৎসক কামরুল হাসান ও তার লোকদের সামান্য হাতাহাতি হয়। এ ঘটনায় তারা চাচাতো ভাই সাদ্দামকে মেরে জামা কাপড় ছিঁড়ে ফেলে এবং তরিকুলকে গালাগালি দিয়ে পুলিশে ধরিয়ে দেয়। চাচির লাশ মর্গে রয়েছে। ভাইদের ছাড়া না হলে এই লাশ কীভাবে নেব। পুলিশ তাদের ছাড়ছেন না, কিছু বলছেনও না।

খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. সুহাস রঞ্জন হালদার বলেন, শুক্রবার রাতে ওই নারী অসুস্থ হলে তাকে একটি ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে শনিবার রাতে তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়। চিকিৎসকরা তাকে দেখে বলেছিল, তার অবস্থা খুবই খারাপ। একইসঙ্গে তার জন্য ওষুধ আনতে দিয়েছিল। যদি চিকিৎসক তাকে না দেখে থাকে তাহলে প্রেসক্রিকশন দেয় কীভাবে? চিকিৎসকের অবহেলায় রোগীর মৃত্যুর বিষয়টি সঠিক নয়।

তিনি বলেন, রোগীর মৃত্যুর পর তার ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। রোগীর স্বজনরা লাশ না নেওয়ায় পুলিশের কাছে দেওয়া হয়। সকালে লাশ মর্গে রাখা হয়। স্বজনরা সেই লাশ তখন পর্যন্ত নেয়নি।

তিনি আরও বলেন, মারামারির ঘটনায় পুলিশ দুজনকে আটক করেছে। এ ঘটনায় হাসপাতালের পক্ষ থেকে কোনো জিডি বা মামলা করা হয়নি।

এ ঘটনায় সোনাডাঙ্গা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোমতাজুল হকের মোবাইলে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।


উপদেষ্টা সম্পাদক: ডি. মজুমদার
সম্পাদক: মীর আক্তারুজ্জামান

সর্বস্বত্ব: এমআরএল মিডিয়া লিমিটেড
ঢাকা অফিস: মডার্ণ ম্যানসন (১৫ তলা), ৫৩ মতিঝিল বাণিজ্যিক এলাকা, ঢাকা-১০০০
ময়মনসিংহ অফিস: হাসনাইন প্লাজা (দ্বিতীয় তলা), ৭ মদন বাবু রোড, ময়মনসিংহ-২২০০
সেলফোন: ০৯৬১১-৬৪৫২১৫, ০৯৬৯৭-৪৯৭০৯০ ই-মেইল: jagrota2041@gmail.com
ফোন :
ইমেইল :