১৬ মে ২০২২, ১৯:৩০ মিঃ
রংপুরের কাউনিয়ায় ফারুক হোসেন (১৭) নামের এক কলেজছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (১৬ মে) দুপুরে উপজেলার টেপামধুপুর ইউনিয়নের রাজিব গ্রামে নিজ বাড়ি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
ফারুক হোসেন উপজেলার টেপামধুপুর ইউনিয়নের রাজিব গ্রামের সিদ্দিকুর রহমানের বড় ছেলে। সে মীরবার কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র ছিল।
স্থানীয়
ও পুলিশ সূত্র জানায়, রোববার (১৫ মে) রাতে পরিবারের সবার সঙ্গে খাবার খেয়ে
নিজ কক্ষে ঘুমিয়ে পড়ে ফারুক হোসেন। রাত সাড়ে ১২টার দিকে ফারুকের মা ফাতেমা
বেগম প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে বেরিয়ে দেখেন ছেলের ঘরে আলো জ্বলছে। কিন্তু
ফারুক আগে কোনোদিন ঘরে আলো জ্বালিয়ে ঘুমাতো না। ঘরের মধ্যে আলো জ্বালা দেখে
মায়ের সন্দেহ হলে ছেলেকে ডাকাডাকি করেন। কিন্তু কোনো সাড়া না পেয়ে ফাতেমা
বেগম টিনের ফাঁক দিয়ে দেখতে পান ঘরে গলায় ওড়না পেঁচানো ফারুকের মরদেহ
ঝুলছে। এ সময় তার চিৎকারে স্বামী সিদ্দিকুর রহমান বিছানা থেকে উঠে যান।
পরে স্বামী-স্ত্রী মিলে মরদেহ নিচে নামান।
ফারুকের বাবা সিদ্দিকুর রহমান বলেন, তার বড় ছেলে ফারুক হোসেন লেখাপড়ার পাশাপাশি রাজমিস্ত্রির সহযোগী হিসেবে কাজ করতো। কিন্তু লেখাপড়ায় মনোযোগী না হয়ে মোবাইল ব্যবহারে আসক্ত ছিল। এজন্য প্রায় তিনি রাগারাগি করতেন। রোববার রাত ৯টার দিকে ঘরে তার সঙ্গে ভাত খাবার সময় ফারুক হোসেন আবারও মোবাইল ব্যবহার করে। এ সময় তিনি রাগ করে মোবাইল কেড়ে নিয়ে ভেঙে ফেলেন। এরপর খাবার খেয়ে ফারুক নিজ ঘরে ঘুমিয়ে পড়ে। পরে কোনো এক সময় গলায় ফাঁস দিয়ে সে আত্মহত্যা করে।
টেপামধুপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রাশেদুল ইসলাম বলেন, কলেজছাত্র ফারুক হোসেন জেদি স্বভাবের ছিল। বাবার সঙ্গে অভিমান করে সে আত্মহত্যা করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
কাউনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুমুর রহমান জানান, মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।
সর্বস্বত্ব: এমআরএল মিডিয়া লিমিটেড
ঢাকা অফিস: মডার্ণ ম্যানসন (১৫ তলা), ৫৩ মতিঝিল বাণিজ্যিক এলাকা, ঢাকা-১০০০
ময়মনসিংহ অফিস: হাসনাইন প্লাজা (দ্বিতীয় তলা), ৭ মদন বাবু রোড, ময়মনসিংহ-২২০০
সেলফোন: ০৯৬১১-৬৪৫২১৫, ০৯৬৯৭-৪৯৭০৯০
ই-মেইল: jagrota2041@gmail.com
ফোন :
ইমেইল :