শিক্ষামন্ত্রী ডা.
দীপু মনি বলেছেন, শিক্ষকতা পেশাকে আরও আকর্ষণীয় করা হবে। শিক্ষকতা পেশা
হতে হবে জীবনের ব্রত। শিক্ষকদের মান বৃদ্ধি করতে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেয়ার
ব্যবস্থা করা হবে। পরীক্ষার ভারে শিক্ষার্থী যেন ভারাক্রান্ত না হয়,
সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বিকালে রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত ‘ন্যাশনাল ওয়ার্কশপ অন লার্নিং ফর ইমপ্যাথি’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের মধ্যে অন্যকে পরাজিত করে একধরনের আনন্দ পাওয়ার মনোভাব শিখাচ্ছি । জিপিএ ৫ পাওয়া এবং এক ধরনের অনভিপ্রেত প্রতিযোগীতার মাধ্যমে শিশুরা গড়ে উঠছে যা কোনভাবেই কাম্য নয়। শিক্ষার্থীদেরকে এ ধরনের অসুস্থ প্রতিযোগীতা থেকে বের করে আনতে মূল্যায়ন পদ্ধতি ও কারিকুলম পরিবর্তন করা হচ্ছে। পরিবর্তিত কারিকুলামের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা সব কিছুর পরও ভাল মানুষ হয়ে উঠবে। তবে কারিকুলাম যতই ভাল হোক না কেন শিক্ষকের মান ঠিক না থাকলে উদ্যেশ্য বাস্তবায়ন হবে না।
ডা. দীপু মনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দর্শন ছিলো সহমর্মিতার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও মানবতার মা খেতাবে ভূষিত হয়েছেন সহমর্মিতার জন্য। সহমর্মিতা শিখনের মধ্য দিয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের যৌথ প্রয়াসে উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণ সম্ভব।
কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের সচিব মুনশী শাহাবুদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর ড. সৈয়দ গোলাম ফারুক, কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. সানোয়ার হোসেন, কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ডাক্তার মো: ফারুক হোসেন প্রমুখ।