, ৭ আশ্বিন ১৪৩০ অনলাইন সংস্করণ

ময়মনসিংহ নগরবাসীকে ডেঙ্গু থেকে রক্ষা করতে সিটি কর্পোরেশনের ক্র্যাশ প্রোগ্রাম

  শাহ মোহাম্মদ রনি

  প্রকাশ : 

ময়মনসিংহ নগরবাসীকে ডেঙ্গু থেকে রক্ষা করতে সিটি কর্পোরেশনের ক্র্যাশ প্রোগ্রাম

ঘাতক করোনার পর ময়মনসিংহ নগরবাসীকে ডেঙ্গু থেকে রক্ষা করতে বিশেষ ক্র্যাশ প্রোগ্রাম চালাচ্ছে ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশন। ডেঙ্গু প্রতিরোধে এডিস মশার প্রজনন ও বিস্তার রোধে পর্যায়ক্রমে নগরীর ৩টি জোনে চলছে এ কর্মসূচি। নাগরিকদের সুরক্ষা দিতে মেয়র মোঃ ইকরামুল হক টিটু’র কঠোর নির্দেশনা বাস্তবায়নে একদল চৌকস কর্মকর্তা-কর্মচারীকে ক্র্যাশ প্রোগ্রামে সম্পৃক্ত করা হয়েছে। ডেঙ্গু বিস্তার মৌসুমের আগেই প্রতিরোধের ব্যবস্থা নেওয়ায় আক্রান্তের পরিমাণ অনেকাংশেই কমবে বলে মত প্রকাশ করেছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। তারা সঠিকভাবে ক্র্যাশ প্রোগ্রাম পরিচালনার পরামর্শ দিয়েছেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, ডেঙ্গু প্রতিরোধে নগরব্যাপী আগাম ব্যবস্থা নেওয়ার কারণে হুমকির হাত থেকে রক্ষা পাবেন নগরবাসী। এদিকে ডেঙ্গু প্রতিরোধে আগাম ব্যবস্থা নেওয়ায় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন নগরবাসী। নগরবাসীকে সচেতন করতে বিতরণ করা হচ্ছে প্রচারপত্র। দিনব্যাপী মাইকিং করা হচ্ছে ওয়ার্ডগুলোয়। নাগরিকদের মতে, এটি ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের আরেকটি বিশেষ অবদান। সূত্র মতে, গত শনিবার শুরু হওয়া ২ নম্বর জোনের কার্যক্রম বৃহস্পতিবার (১৯ মে) সন্ধ্যায় শেষ হয়েছে। শুক্রবার ২০ মে শুরু হয়ে সোমবার ২৩ মে সন্ধ্যায় শেষ হবে ৩ নম্বর জোনের কার্যক্রম। এর আগে ১২ মে থেকে ১৫ মে পর্যন্ত চলে ১ নম্বর জোনের কার্যক্রম।


সূত্র জানায়, মেয়র মোঃ ইকরামুল হক টিটু নাগরিক সুরক্ষার কথা চিন্তা করে ডেঙ্গু মৌসুম শুরু হওয়ার আগেই সিটি কর্পোরেশন এলাকায় ক্র্যাশ প্রোগ্রাম চালানোর পরিকল্পনা নেন। এডিস মশার প্রজনন ও বিস্তার রোধে কঠোর নির্দেশনা দিয়ে সংশ্লিষ্টদের দায়িত্ব দেন। প্যানেল মেয়র, কাউন্সিলর ও কর্মকর্তাদের মনিটরিংয়ের পাশাপাশি মেয়র নিজেও প্রতিদিনের কার্যক্রম মনিটরিং করেন। সূত্র মতে, ৬০ জন দক্ষ মশক নিধনকর্মী পর্যায়ক্রমে প্রতিটি ওয়ার্ড এবং হটস্পটগুলোয় ফগার মেশিনের সহযোগিতায় লার্ভিসাইড ও এডাল্টিসাইড ছিটাচ্ছেন। মশক নিধন কার্যক্রমের দায়িত্বপ্রাপ্ত ফুড ও স্যানিটেশন কর্মকর্তা দীপক মজুমদার বৃহস্পতিবার রাতে দৈনিক জাগ্রত বাংলা’কে জানান, মেয়র মহোদয়ের কঠোর নির্দেশনায় নগরীতে ক্র্যাশ প্রোগ্রাম চালানো হচ্ছে। নাগরিক সুরক্ষা নিশ্চিত করতে আমরা গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছি। ওয়ার্ড কাউন্সিলর এবং কর্মকর্তারা মশক নিধন কার্যক্রম তদারকি করছেন। তিনি বলেন, যেকোনো স্থানে ৩ দিনের বেশি জমে থাকা পানিতে এডিস মশার বিস্তার বাড়ে। বিস্তার রোধে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। তিনি আরও বলেন, এডিস মশার লার্ভা জমিয়ে রাখার বিষয়ে ইতিমধ্যে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চালানো হয়েছে। এর পরও নির্মাণাধীন কোনো ভবন অথবা প্রতিষ্ঠানের জমা পানিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জরিমানা করা হবে।


ডেঙ্গু সম্পর্কে মেয়র মোঃ ইকরামুল হক টিটু বলেন, যেকোনো পরিস্থিতিতে নাগরিকদের সুরক্ষা দিতে আমরা বদ্ধ পরিকর। এ সময়ে এডিস মশার কামড়ে ডেঙ্গু জ্বরের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। আমাদের আশে-পাশে জমে থাকা পানিতে এডিস মশা বংশ বিস্তার করে। এ বিষয়ে সকলকে সচেতন থাকতে হবে। তিনি বলেন, এর আগে কখনও এডিস মশার কামড়ে সিটি কর্পোরেশন এলাকায় ডেঙ্গু জ্বরের প্রাদুর্ভাব ঘটেনি। মশক নিধন কার্যক্রম এবং সকলের সচেতনতায় এবারও ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশন এলাকা ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব থেকে মুক্ত থাকবে। সূত্র জানায়, এর আগে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে নাগরিকদের জন্য কাজ করে ময়মনসিংহ বিভাগসহ দেশের মানুষের হৃদয়ে ঠাঁই করে নিয়েছেন মেয়র মোঃ ইকরামুল হক টিটু। দাগ কেটেছেন কোটি মানুষের হৃদয়ে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ অনুযায়ী অসহায় পরিবারের মধ্যে খাদ্যপণ্য বিতরণ এবং জনসচেতনতার জন্য অক্লান্ত শ্রম দিয়েছেন জননন্দিত এই মেয়র। জীবন বিপন্ন হতে পারে জেনেও মানুষের জন্য কাজ করে যাওয়ার বিষয়টিকে মহানুভবতার সর্বোচ্চ স্বীকৃতি দিয়েছেন ময়মনসিংহবাসী। এটি মেয়র টিটু’র প্রতি মানুষের অকৃত্রিম ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ। বিশ্লেষকদের মতে, মেয়র টিটু ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাস্তবায়ন করে আন্দোলিত করেছেন নগরীর লাখ লাখ মানুষকে। তিনি বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছেন। আমূল পরিবর্তন করায় দেশব্যাপী অনুকরণীয় জনপ্রতিনিধিতে পরিণত হয়েছেন। বিভিন্ন সিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভার মেয়ররা এখন তার ব্যবস্থাপনাকে অনুসরণ করেন।



  • সর্বশেষ - আলোচিত খবর