০১ জুলাই ২০২২, ০৯:১২ মিঃ
উত্তরপত্রে ‘আজকে আমার মন ভালো নেই’—লেখার কারণ দর্শানো নোটিশের (শোকজ) জবাব দিয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) সেই শিক্ষার্থী।
বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) নোটিশের জবাবে তিনি জানিয়েছেন, মানসিকভাবে বিপর্যস্ত থেকেই এমনটি করেছেন। এরমধ্যে বিষয়টি গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনা শুরু হওয়ায় মানসিক ও পারিবারিকভাবে আরও বিপর্যস্ত অবস্থায় আছেন।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কারণ দর্শানো নোটিশের জবাবে ওই শিক্ষার্থী বলেন, করোনার মধ্যে দীর্ঘ সময়ে একা থাকাসহ নানা কারণে আমি মানসিক চাপ ও প্রচণ্ড একাকীত্ব অনুভব করি। আমার পরিবার ও বেশকিছু বন্ধুবান্ধবও বিভিন্ন সময়ে আমার এই পরিবর্তনের ব্যাপারে বলেছে। এখন বিষয়টা এইভাবে প্রকাশের পর আমি আরও বেশি মানসিক চাপে আছি।
তিনি বলেন, আমি পরীক্ষার হল থেকে কোনো বিশেষ কারণ বা সুনির্দিষ্ট কিছু চিন্তা করে অতিরিক্ত উত্তরপত্রটি নেইনি। উত্তরপত্রটি আমার কোনো পরীক্ষার সরাসরি অংশও ছিল না। গত ১২-১৫ মে আমার প্রথম মিডটার্মের যে কোনো একটা কোর্সের পরীক্ষা শেষে বের হওয়ার সময় অতিরিক্ত উত্তরপত্রটি ক্লাসের একটি টেবিলের ওপরে পড়ে থাকতে দেখি। অপ্রয়োজনীয় ভেবে উত্তরপত্রটি আমি বাসায় নিয়ে আসি। আমি আমার কোনো সম্মানিত শিক্ষকের স্বাক্ষর জালিয়াতিও করিনি কিংবা জালিয়াতির কথা চিন্তা করেও স্বাক্ষরটি করিনি। স্বাক্ষরটির সঙ্গে আমার কোনো শিক্ষকের স্বাক্ষরের কোনো মিল নেই।
শুধুমাত্র নিছক মজার ছলে তার ফেসবুক আইডিতে তিনি ওই বাক্যটি লিখেছিলেন বলে জানান। বলেন, পোস্ট করার কিছুক্ষণের মধ্যেই আমার কাছে মনে হয়েছে বিষয়টি ঠিক হয়নি। তখনই পোস্টটা ডিলিট করে দেই। কিন্তু বিষয়টা পরে আমার নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। আসলে আমি কল্পনাতেও ভাবিনি যে এটা শেষ পর্যন্ত এত মারাত্মক আকার ধারণ করে আমার ব্যক্তিগত জীবনে এবং আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানে এভাবে প্রভাব ফেলবে।
একই সঙ্গে এই ভুলের জন্য অনুতপ্ত প্রকাশ করেছেন ওই শিক্ষার্থী। বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনকানুন সম্পর্কে সম্যক ধারণা কম থাকায় মানবিক দৃষ্টিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করেন তিনি।
এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড.মোস্তফা কামাল বলেন, ওই শিক্ষার্থীর ব্যাপারে তদন্ত চলছে। তারপর আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
গত ২৩ জুন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের প্রথম সেমিস্টারের ওই শিক্ষার্থীর‘স্যার, আজকে আমার মন ভালো নেই’ লেখা উত্তরপত্রের প্রথম পৃষ্ঠার ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। যা পড়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সমালোচনা ও হাস্যরসে সৃষ্টি হয়। এরপরই বিষয়টি নিয়ে তৎপর হয় জবি প্রশাসন।
সর্বস্বত্ব: এমআরএল মিডিয়া লিমিটেড
ঢাকা অফিস: মডার্ণ ম্যানসন (১৫ তলা), ৫৩ মতিঝিল বাণিজ্যিক এলাকা, ঢাকা-১০০০
ময়মনসিংহ অফিস: হাসনাইন প্লাজা (দ্বিতীয় তলা), ৭ মদন বাবু রোড, ময়মনসিংহ-২২০০
সেলফোন: ০৯৬১১-৬৪৫২১৫, ০৯৬৯৭-৪৯৭০৯০
ই-মেইল: jagrota2041@gmail.com
ফোন :
ইমেইল :