টাকা না পেয়ে স্ত্রী ও দুই মেয়েকে হত্যা করে জহুরুল
প্রকাশ :

টাকা না পাওয়ায় স্ত্রী ও দুই মেয়েকে শ্বাসরোধে হত্যা করেছেন জহুরুল ইসলাম বিশ্বাস ওরফে বাবু। শনিবার (১৬ জুলাই) সকালে সাবিনা ইয়াসমিন বীথির বাবা শেখ মুজিবর রহমান সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
এর আগে শুক্রবার মধ্যরাতে শেখ মুজিবর রহমান বাদী হয়ে জহুরুল ইসলাম বিশ্বাস ওরফে বাবুর বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন।
তিনি আরও জানান, পারিবারিকভাবে ২০১১ সালে আমার মেয়ে সাবিনা ইয়াসমিন বীথির সঙ্গে যশোরের জগন্নাথপুর গ্রামের মশিউর বিশ্বাসের ছেলে জহুরুল ইসলাম বিশ্বাস ওরফে বাবুর বিয়ে হয়। এরপর তাদের সংসারে দুটি কন্যা সন্তান জন্ম নেয়। বিয়ের পর থেকে জহুরুল শ্বশুরের কাছে বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে টাকা দাবি করেন। টাকা না দিলে সে তার স্ত্রী ও সন্তানদের ওপর শারীরিক নির্যাতন চালাতেন।
মেয়ে ও দুই নাতনির সুখের কথা চিন্তা করে গত ২০২১ সালের ২২ জুন এক লাখ ৬০ হাজার টাকা দেই। এরপর আরও টাকা চাইলে সাবিনা তার দুই মেয়ে সুমাইয়া আক্তার (৯) ও সাফিয়া আক্তারকে (২) সঙ্গে নিয়ে আমার বাড়িতে চলে আসে। ১৫ জুলাই শুক্রবার সকালে জামাই বাড়ি এসে বিভিন্ন কথা বলে স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে বের হন।
পথে অভয়নগরের প্রেমবাগ ইউনিয়নের চাঁপাতলা গ্রামে নূর ইসলামের কলাগাছ বাগানের মধ্যে নিয়ে স্ত্রী ও দুই মেয়ের গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করেন।
জহুরুল ইসলাম বিশ্বাস জানান, স্ত্রী ও শ্বশুরের ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে আমি এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছি। হত্যার আগে স্ত্রীকে মারধরও করেছি। নির্জন ওই বাগানের সামনে পৌঁছালে হত্যার পরিকল্পনা আসে। প্রথমে স্ত্রী, বড়-ছোট মেয়েকে হত্যা করি। এরপর বিকেলে বসুন্দিয়া পুলিশ ক্যাম্পে গিয়ে আত্মসমর্পণ করি।
এ ব্যাপারে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা অভয়নগর থানার এসআই উত্তম কুমার মণ্ডল জানান, জহুরুলকে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেওয়া জন্য আদালতে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে তিনি স্ত্রী ও দুই মেয়েকে হত্যা করেছে বলে স্বীকার করেছে।
অভয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম শামীম হাসান জানান, সাবিনা ইয়াসমিন বীথির বাবা শেখ মুজিবর রহমান বাদী হয়ে জহুরুল ইসলাম বিশ্বাস ওরফে বাবুর বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ শনিবার যশোর মর্গে পাঠানো হয়েছে।