২৪ জুলাই ২০২২, ১৩:৪৩ মিঃ
গরমে আরাম পেতে কিংবা হুটহাট কোথাও বের হতে নারী-পুরুষ সবার পছন্দের পোশাক টি-শার্ট। আধুনিক ফ্যাশনে টি-শার্ট বেশ বড় একটি জায়গা দখল করে আছে। বিশ্বের সব দেশেই জনপ্রিয় পোশাক টি-শার্ট। নারী-পুরুষ, ছোট-বড় সবারই পছন্দ এই আরামদায়ক পোশাকটি। তবে জানেন কি সবার জন্য কিন্তু এই টি-শার্ট তৈরি হয় নি।
১১৬ বছর অর্থাৎ ১৯০০ সালের শুরুর দিকে তৈরি হয়েছিল বিশ্বের প্রথম টি-শার্ট। মূলত সিঙ্গেল ব্যাচেলরদের কথা ভেবেই এই টি-শার্ট তৈরি করা হয়। জেনে নিশ্চয়ই অবাক হচ্ছেন! অবাক হলেও সত্যি, এই আরামদায়ক টি-শার্ট তৈরি হয়েছিল ব্যাচেলরদের সুবিধার জন্য।
১৯০৪ সালে বিখ্যাত অন্তর্বাস প্রস্তুতকারী সংস্থা কুপার এক বিশেষ ধরনের জামা তৈরি করে। যেখানে কোনো বোতাম লাগানোর ব্যবস্থাই রাখা হয়নি। ‘সিঙ্গেল ব্যাচেলর’দের কথা ভেবেই এই বিশেষ ধরনের জামা তৈরি করেন তারা।
তখনকার সময়ের একটি নামী মার্কিন পত্রিকায় সংস্থার পক্ষ থেকে এই বিশেষ ধরনের জামার বিজ্ঞাপণ দিয়ে লেখা হয়, ‘যে সমস্ত যুবক অবিবাহিত এবং সিঙ্গেল, যারা জামার বোতাম ছিঁড়ে গেলে সেলাই করে নিতে পারবেন না, এ জামা তাদের জন্যই!’
আর বিশেষ ধরনের এই পোশাককে ‘টি-শার্ট’ হিসাবে প্রথম উল্লেখ করা হয় মার্কিন লেখক ফ্রান্সিস স্কট কি ফিৎসগেরাল্ডের ১৯২০ সালে প্রকাশিত দিস সাইড অব প্যারাডাইস-এ।
কারো কারো দাবি, প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় মার্কিন নৌ-বাহিনীর জন্যই বিশ্বে প্রথম টি-শার্ট তৈরি করা হয়। এ প্রসঙ্গে একাধিক তথ্যকে বিচার করে বলা যেতে পারে ১৮৮৯ সাল থেকে ১৯১৩ সালের মধ্যে তৈরি করা হয় টি-শার্ট। তবে অনেকেই আবার বলেন খনির শ্রমিকদের থেকেই এই পোশাকের যাত্রা শুরু।
১৮০০ শতকের শুরুর দিকে খনি শ্রমিকদের গরম পরিবেশে কাজ করার জন্য এই পোশাক আবিষ্কার হয়েছিল। তখন অবশ্য এর নাম ছিল তাদের প্রধান শার্ট হিসাবে এটি পরাকে গ্রহণ করেছিল। ইউনিয়ন স্যুট অন্তর্বাস। এটি শার্টের নিচে তারা পরতেন।
তবে স্প্যানিশ-আমেরিকান যুদ্ধের পরে মার্কিন নৌ-বাহিনীর নাবিকদের জন্য টি-শার্টটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। সেটি ছিল সাদা সুতির ছোট হাতার আন্ডারশার্ট এবং তা নাবিকরা পরতেন ইউনিফর্মের নিচে। সৈন্যরা যখন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ থেকে বাড়ি ফিরে আসে এবং বাড়িতে তাদের সেই টি-শার্ট পরতে থাকে। তখন এই টি-শার্ট আরও জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। তাদের থেকে তা ছড়িয়ে পড়ে কৃষি ও অন্যান্য শ্রমিকদের মধ্যে।
১৯৫০ সালের দিকে এসে চল শুরু হউ প্রিন্টেট টি-শার্টের। টি-শার্ট জনপ্রিয় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে স্ক্রিন প্রিন্টিং আরও উন্নত হতে থাকে। আমেরিকান উদ্যোক্তা, শিল্পী এবং উদ্ভাবক মাইকেল ভাসিলান্টোন ১৯৬০ সালে একটি রোটারি মাল্টিকালার গার্মেন্ট স্ক্রিন প্রিন্টিং মেশিন তৈরি করেন। সেটি ছিল বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুত টি-শার্ট প্রিন্ট করার মেশিন।
সূত্র: ভোগ, মিডিয়াম ডটকম
সর্বস্বত্ব: এমআরএল মিডিয়া লিমিটেড
ঢাকা অফিস: মডার্ণ ম্যানসন (১৫ তলা), ৫৩ মতিঝিল বাণিজ্যিক এলাকা, ঢাকা-১০০০
ময়মনসিংহ অফিস: হাসনাইন প্লাজা (দ্বিতীয় তলা), ৭ মদন বাবু রোড, ময়মনসিংহ-২২০০
সেলফোন: ০৯৬১১-৬৪৫২১৫, ০৯৬৯৭-৪৯৭০৯০
ই-মেইল: jagrota2041@gmail.com
ফোন :
ইমেইল :