, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ অনলাইন সংস্করণ

আবারও প্রচারে ‘কোথাও কেউ নেই’ ও ‘বহুব্রীহি’

  অনলাইন ডেস্ক

  প্রকাশ : 

আবারও প্রচারে ‘কোথাও কেউ নেই’ ও ‘বহুব্রীহি’
‘কোথাও কেউ নেই’ নাটকের শুটিংসেট

এখন বেশিরভাগ মানুষই ঘরবন্দি। এই সময়ে সবাই যেন খানিকটা স্বস্তিতে থাকেন সেই কারণেই জনপ্রিয় এই দুটি ধারাবাহিক প্রচারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

—মহাপরিচালক এস এম হারুক-অর-রশীদ

করোনা ভাইরাসের কারণে থমকে গেছে পুরো শোবিজ অঙ্গন। কোনো নাটক-সিনেমার শুটিং হচ্ছে না। অন্যদিকে মানুষও ঘরবন্দি, এ সময়ে পরিবার পরিজন নিয়ে সময় কাটাচ্ছেন সবাই। তাই সবাই সুস্থ বিনোদন খুঁজছে। অস্থিরতার এই সময়ে পরিবার নিয়ে টেলিভিশনের সামনে বসার ফের সুযোগ করে দিলো রাষ্ট্রীয় টিভি চ্যানেল বাংলাদেশ টেলিভিশন। আজ থেকে নব্বই দশকের নন্দিত দুটি ধারাবাহিক নাটক প্রচার করা হবে। এগুলো হলো নন্দিত কথাশিল্পী হুমায়ূন আহমেদের লেখা ‘কোথাও কেউ নেই’ ও ‘বহুব্রীহি’। নাটক দুটি প্রযোজনা করেছিলেন বরকত উল্লাহ ও নওয়াজিশ আলী খান। নাটক দুটি পুনঃপ্রচারের বিষয়টি ইত্তেফাককে নিশ্চিত করেছেন চ্যানেলটির মহাপরিচালক এস এম হারুক-অর-রশীদ। তিনি বলেন, ‘এখন বেশিরভাগ মানুষই ঘরবন্দি। এই সময়ে সবাই যেন খানিকটা স্বস্তিতে থাকেন সেই কারণেই জনপ্রিয় এই দুটি ধারাবাহিক প্রচারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এছাড়া এখন চাইলেও তো শুটিং করতে পারছি না। শিল্পীরাও আসবেন না। আর আসার মতো সময়ও নয় এখন। সব মিলিয়েই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া।

বহুব্রীহি ধারাবাহিকটি ১৯৮৮-৮৯ সালে বিটিভিতে প্রচারিত হয়। পারিবারিক গল্পে নির্মিত এ নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন আবুল হায়াত, আসাদুজ্জামান নূর, আলী যাকের, আফজাল হোসেন, লুত্ফর নাহার লতা, লাকী ইনাম, আবুল খায়ের, আফজাল শরীফসহ অনেকে। সামরিক শাসনের সেই সময়ে এ ধারাবাহিকে টিয়া পাখির মুখে বলা ‘তুই রাজাকার’ সংলাপটি জনপ্রিয় হয়। স্বাধীনতা বিরোধীদের প্রতি ঘৃণার প্রতীক হিসেবে এটি আলোচিত হয়েছিল।

১৯৯২-৯৩ সালে বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রচারিত ‘কোথাও কেউ নেই’ ধারাবাহিকের নির্দেশনা দেন বরকত উল্লাহ। এ নাটকের ‘বাকের ভাই’ চরিত্রটি দর্শকদের কাছে এখনও অমলিন। এ চরিত্রে অভিনয় করেন আসাদুজ্জামান নূর। এছাড়া এতে মুনা চরিত্রে সুবর্ণা মুস্তফা, বদি চরিত্রে আবদুল কাদের, মজনু চরিত্রে লুত্ফর রহমান জর্জ, মতি চরিত্রে মাহফুজ আহমেদ, বকুল চরিত্রে আফসানা মিমি, উকিল চরিত্রে হুমায়ুন ফরিদীসহ অনেকে অভিনয় করেন।

  • সর্বশেষ - বিনোদন