2024-04-27 07:08:53 am

লুঙ্গি পরে ক্যাম্পাসে আসায় ইবিতে মারামারি

www.focusbd24.com

লুঙ্গি পরে ক্যাম্পাসে আসায় ইবিতে মারামারি

০২ সেপ্টেম্বার ২০২২, ২১:২০ মিঃ

লুঙ্গি পরে ক্যাম্পাসে আসায় ইবিতে মারামারি

লুঙ্গি পরে ক্যাম্পাসে আসার জের ধরে কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ১৫-১৬ জন আহত হয়েছেন। তারা সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের কর্মী বলে জানা গেছে।

শুক্রবার (২ সেপ্টেম্বর) জুমার নামাজের পর অনুষদ ভবন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার (২৭ আগস্ট) লুঙ্গি পরে ক্যাম্পাসে আসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ল অ্যান্ড ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র হুজ্জাতুল্লাহ ভূইয়া। এ ঘটনায় ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের জহুরুল ইসলাম রিংকু তাকে শাসান ও মারধর করেন।

এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বুধবার (৩১ আগস্ট) দিনগত রাতে ১২-১৫ জন আগে থেকেই হলের লাইট বন্ধ করে ওত পেতে থাকেন হুজ্জাতুল্লাহ ও তার বন্ধুরা। পরে রিংকুকে জিয়াউর রহমান হলের সামনে একা পেয়ে লাঠি-স্টাম্প দিয়ে মারধর করে তারা পালিয়ে যান। হুজ্জাতুল্লাহ ও তার বন্ধু আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের আল আমিনসহ বেশ কয়েকজন মিলে রিংকুকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ

পরে ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুক্রবার জুমার নামাজের পর আল আমিনসহ তার বন্ধুদের মারধর করেন রিংকু ও তার বন্ধুরা। এ সময় ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের রিংকু, হামজা এবং লোক প্রশাসন বিভাগের জামিলসহ আরও কয়েকজন ছিলেন বলে অভিযোগ করেন আল আমিন। পরে শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হোসাইন মজুমদারসহ সিনিয়র কর্মীরা সবাইকে হলে পাঠিয়ে দেন।

এরপর শহীদ জিয়াউর রহমান হলের ডাইনিংয়ে খেতে গেলে ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী আশিক মারধরের শিকার হন। এ সময় ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থী শুভ্র ভৌমিক, অর্ক এবং আইন বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের সুমন ছিলেন বলে অভিযোগ করেন আশিক।

আশিককে মারধরের ঘটনা জানার পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল থেকে তার বন্ধুরা লাঠি, রড, স্টাম্প নিয়ে বের হন। অন্যদিকে জিয়াউর রহমান হলে আল আমিন ও সিনিয়ররা রড, লাঠি ও স্টাম্প নিয়ে মহড়া দিতে থাকে। পরে ছাত্রলীগের সিনিয়র কর্মীরা দুই পক্ষকে শান্ত করেন।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত বলেন, ‘শুনলাম সিনিয়র এবং জুনিয়র শিক্ষার্থীদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এদের দায়ভার সংগঠন নেবে না। আমার ব্যক্তিগত মতামত, তুচ্ছ বিষয়কে কেন্দ্র করে এমন ঘটনার কারণ বিচারহীনতা। প্রশাসনকে এরসঙ্গে জড়িতদের সুষ্ঠু বিচার করতে হবে।’

প্রক্টর অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘জুমার নামাজের পর বেশ কিছু শিক্ষার্থী মারামারিতে জড়িয়েছে বলে শুনেছি। পরে আমি দায়িত্বরত সহকারী প্রক্টর ও সিকিউরিটিকে জানিয়েছি। আগামীকাল তাদের সঙ্গে বসবো।’


উপদেষ্টা সম্পাদক: ডি. মজুমদার
সম্পাদক: মীর আক্তারুজ্জামান

সর্বস্বত্ব: এমআরএল মিডিয়া লিমিটেড
ঢাকা অফিস: মডার্ণ ম্যানসন (১৫ তলা), ৫৩ মতিঝিল বাণিজ্যিক এলাকা, ঢাকা-১০০০
ময়মনসিংহ অফিস: হাসনাইন প্লাজা (দ্বিতীয় তলা), ৭ মদন বাবু রোড, ময়মনসিংহ-২২০০
সেলফোন: ০৯৬১১-৬৪৫২১৫, ০৯৬৯৭-৪৯৭০৯০ ই-মেইল: jagrota2041@gmail.com
ফোন :
ইমেইল :