চট্টগ্রামে অস্ত্রসহ ১২ জলদস্যু গ্রেফতার
প্রকাশ :

বঙ্গোপসাগরে সম্প্রতি ১৬টি ফিশিং ট্রলার ডাকাতির ঘটনায় জড়িত ১২ জলদস্যুকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টা থেকে শনিবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুর পর্যন্ত টানা ৪৮ ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয় বলে জানান র্যাব-৭ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এম এ ইউসুফ।
গ্রেফতাররা হলেন, আনোয়ার, লিয়াকত মাঝি, মো. মনির, আবুল খায়ের, নবীর হোসেন, নেজামউদ্দিন, মো. হুমায়ুন, মো. শাহেদ, মো. সাদ্দাম, আতিক, মো. এমরান এবং মো. আমানউল্লাহ।
অভিযানে গ্রেফতার ব্যক্তিদের কাছ থেকে ডাকাতিতে ব্যবহৃত একটি বোট, তিন হাজার ইলিশ, তিনটি আগ্নেয়াস্ত্র, একটি চাইনিজ কুড়াল, ১৬টি দা-ছুরি, একটি বাইনোকুলার, ৭০টি মোবাইলসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম জব্দ করে র্যাব।
ঘটনার মূলহোতা আনোয়ারের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা রয়েছে। এছাড়া গ্রেফতার হওয়া সবার বিরুদ্ধে বাঁশখালী থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতাররা র্যাবকে জানায়, বোটে করে সাগরে মাছ শিকার করে তারা। গত কয়েক দিন সাগরে মাছ কম পেলে বোটমালিক আনসার মেম্বার জেলেদের মাছ ধরতে না পারলে ডাকাতি করে মাছ নিয়ে আসার নির্দেশ দেন। আনছার ও তার দলের মূল্য উদ্দেশ্য ছিল অল্প পরিশ্রমে বেশি মুনাফা করা। এ কাজে আনসার তার ছেলেকে ডাকাত সর্দার বানিয়ে সাগরে পাঠায়। তারা এ পর্যন্ত ১৬টি বোটে ডাকাতি করে বলে স্বীকার করে। সর্বশেষ ২৭ আগস্ট বঙ্গোপসাগরে ৯টি মাছ ধরার বোটে ডাকাতির ঘটনা ঘটলে তদন্তে নামে র্যাব।
র্যাব-৭ এর জ্যেষ্ঠ সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নূরুল আবছার বলেন, সম্প্রতি বঙ্গোপসাগরে চট্টগ্রামের ৯টি বোটে ডাকাতি করে মাছ ও টাকা-পয়সা লুট করে নেয় জলদস্যুরা। এরপর তদন্তে নেমে তথ্য প্রযুক্তির সহযোগিতায় পুরো জলদস্যু দলকে চিহ্নিত করে গত বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে টানা ৪৮ ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে বাঁশখালী ও সাগর এলাকা থেকে ১২ জলদস্যুকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের কাছ থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত বোটটি জব্দ করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে বলে জানান এ র্যাব কর্মকর্তা।

ভালুকা আসনের এমপি কাজিম উদ্দিন আহম্মেদ ধনুকে ঘিরে বিশেষ মহলের অপপ্রচার ও গভীর ষড়যন্ত্র

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ বাস্তবায়নে করোনা যুদ্ধে অগ্রণী ভূমিকায় মসিকের মানবিক মেয়র টিটু

ময়মনসিংহে অসহায় ও এতিমদের খাদ্যপণ্য দিয়ে বিরল দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করছেন পুলিশ সুপার আহমার
