, ১৯ আশ্বিন ১৪৩০ অনলাইন সংস্করণ

দাঁত তোলার ইনজেকশন পুশ করতেই খিঁচুনি দিয়ে মারা গেলো শিশু

  নিজস্ব প্রতিবেদক

  প্রকাশ : 

দাঁত তোলার ইনজেকশন পুশ করতেই খিঁচুনি দিয়ে মারা গেলো শিশু

নওগাঁর মহাদেবপুরে পল্লিচিকিৎসকের ভুল ইনজেকশনে সাব্বির রহমান নামের চার বছরের এক শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। রোববার (১১ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার হাতুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

সাব্বির রহমান পার্শ্ববর্তী পত্নীতলা উপজেলার চান্দুইল গ্রামের ছানোয়ার হোসেনের ছেলে। ঘটনার পর থেকে ওই পল্লিচিকিৎসক পলাতক।

পরিবার সূত্রে জানা যায়, বেলা ১১টার দিকে ছানোয়ার হোসেন তার ছেলের দাঁতব্যথার চিকিৎসা করাতে মহাদেবপুর উপজেলার হাতুর গ্রামে আশা ডেন্টাল কিওর হোমের পল্লিচিকিৎসক প্রদীপ কুমার মন্ডলের কাছে নিয়ে যান। দাঁতের ব্যথা উপশমের জন্য একটি দাঁত তুলে ফেলতে হবে জানান ওই চিকিৎসক। এ সময় দুটি ব্যথানাশক ইনজেকশন পুশ করে দাঁত উঠানো হয়।

jagonews24

কিন্তু দাঁত উঠানোর পরপরই সাব্বিরের খিঁচুনি শুরু হয় এবং মাটিতে পড়ে যায়। এ অবস্থা দেখে ওই পল্লিচিকিৎসক চেম্বার থেকে দ্রুত পালিয়ে যান। পরে পরিবারের সদস্যরা সাব্বিরকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন।

নিহত শিশুর বাবা ছানোয়ার হোসেন বলেন, ‘এর আগে বেশ কয়েকবার পল্লিচিকিৎসক প্রদীপ কুমার মন্ডলের কাছে দাঁতের চিকিৎসার জন্য ছেলেকে নিয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু ব্যথা ভালো না হওয়ায় সকালে ফোনে কথা হলে তিনি তার চেম্বারে যেতে বলেন। বেলা ১১টার দিকে তার চেম্বারে গেলে তিনি ব্যথা হওয়া একটি দাঁত তুলে ফেলার পরামর্শ দেন। আমিও দাঁত তুলে ফেলতে রাজি হয়ে যাই। কিন্তু দাঁত তুলে ফেলার পরই ছেলে খিঁচুনি দিয়ে মাটিতে পড়ে যায়। পরে উদ্ধার করে উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার জানায় অনেক আগেই মারা গেছে। ছেলেকে হত্যার জন্য আমি ওই চিকিৎসকের শাস্তি চাই।’

মহাদেবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা খোরশেদুল ইসলাম বলেন, হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। ভুল চিকিৎসার কারণে এমনটা হয়ে থাকতে পারে।

এ বিষয়ে মহাদেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজম উদ্দিন বলেন, নিহত শিশুর বাবা থানায় মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। বর্তমানে অভিযুক্ত ওই পল্লিচিকিৎসক পলাতক। ঘটনাটি আমরা তদন্ত করছি।

  • সর্বশেষ - সারাদেশ