, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ অনলাইন সংস্করণ

সাত মাস ট্রেজারার নেই নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে

  নিজস্ব প্রতিবেদক

  প্রকাশ : 

সাত মাস ট্রেজারার নেই নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে

গত বছরের ৩০ জুন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সর্বশেষ কর্মদিবস সম্পন্ন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ট্রেজারার প্রফেসর মো. জালালউদ্দিন। ২০১৮ সালের ৩ জুলাই দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন তিনি। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গুরুত্বপূর্ণ পদ এটি। 

কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনে প্রো-ভিসি পদ না থাকায় ভিসির অনুপস্থিতিতে রুটিন উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করে থাকেন ট্রেজারার। প্রায় সাত মাস ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের এই গুরুত্বপূর্ণ পদটি শূন্য হয়ে আছে।

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০০৬ এর ১২(৫) ধারায় বলা হয়েছে, ‘ট্রেজারার বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিলের সার্বিক তত্ত্বাবধান করিবেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ সংক্রান্ত নীতি সম্পর্কে ভাইস-চ্যান্সেলর, সংশ্লিষ্ট কমিটি, ইনস্টিটিউট ও সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে পরামর্শ প্রদান করিবেন।’

এই আইনের ২৮ (১) ধারা অনুযায়ী ট্রেজারার বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ কমিটির সভাপতিও। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট এবং পরিকল্পনা, উন্নয়ন ও ওয়াকার্স কমিটির সদস্যসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন ট্রেজারার।

দীর্ঘদিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এই পদ শূন্য থাকার কারণে প্রশাসনিক কাজ তদারকি এবং সমন্বয়ে উপাচার্যের উপর অতিরিক্ত চাপ পরছে।

অথচ এই সুদীর্ঘ সময় পরেও ট্রেজারার নিয়োগ সংক্রান্ত কোনো ঘোষণা আসছে না।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড সৌমিত্র শেখর বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে ট্রেজারার নিয়োগ কিংবা নিয়োগের প্রক্রিয়ায় উপাচার্যের কোনো এখতিয়ার নেই।

দীর্ঘদিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ে ট্রেজারার পদ শূন্য থাকা প্রসঙ্গে জিজ্ঞেস করা হলে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য প্রফেসর ড. দিল আফরোজা বেগম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভিসি, প্রো- ভিসি কিংবা ট্রেজারার নিয়োগে ইউজিসির কোনো ভূমিকা থাকে না। সরকার এসব পদে নিয়োগ প্রদান করে।

  • সর্বশেষ - শিক্ষাঙ্গন