০৩ মে ২০২০, ০৮:৫২ মিঃ
ফাইল ছবি
করোনাকালীন পরিস্থিতিতে অসহায় কৃষকদের ধান কাটা নিয়ে রাজনৈতিক নেতাদের আত্মপ্রচারকে ইতিবাচক মনে করছেন বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন।
তিনি বলেন, প্রচার নেতিবাচক হলেও এর মধ্যে এক ধরনের উৎসাহ কাজ করে, যা অন্যের জন্য ইতিবাচক হতে পারে।
কতিপয় রাজনৈতিক নেতা ও প্রশাসনের ব্যক্তির ধান কাটা কর্মসূচি নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে জনমনে। কেউ কাঁচা ধান কাটছেন তো, কেউ আবার পাকা ধান পায়ে মাড়িয়ে মাটিতে মিশিয়ে দিচ্ছেন। আর তা ঘটছে সাংবাদিক, ক্যামেরাকে উপলক্ষ করেই। ধান কাটার এমন ছবি মুহূর্তেই ভাইরাল হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হয় বিশিষ্ট রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও মহাজোট সরকারের সাবেক মন্ত্রী রাশেদ খান মেননের কাছে।
তিনি বলেন, ১৯৭৩-১৯৭৪ সালেও আমরা এভাবে কৃষকের ধান কেটে দিয়েছি। ছাত্রজীবনেও ধান কেটে দিয়েছি। দেশের ক্রান্তিকালে অসহায় কৃষকের পাশে দাঁড়ানো এদেশে রাজনৈতিক দায় এবং ঐতিহ্য। তারই ধারাবাহিকতায় কৃষকের পাশে মানুষ দাঁড়িয়েছে। তবে আমাদের সময় এত ক্যামেরা ছিল না। তাই এত প্রচার ছিল না।
মেনন বলেন, ভালো কাজ করতে গেলে সমালোচনা হতেই পারে। আবার অনেকে আত্মপ্রচারের জন্য আসছে। এই প্রচার আমার কাছে একেবারে বেমানান ঠেকছে না। মানুষ জানতে পারছে। আরও জানুক। তাতে করে সবাই সবার দায় বুঝতে পারবে। সমালোচনা হতেই পারে। হাজার হাজার নেতাকর্মী কাজ করছে। সবার কাছ থেকে সমান দায় আশা করাও যায় না। কিছু ব্যতিক্রম থাকবেই। তাই বলে সব বাতিল হতে পারে না।
ত্রাণ প্রসঙ্গে বামপন্থি এই রাজনীতিক বলেন, ৬১ হাজার জনপ্রতিনিধি। লাখ লাখ ত্রাণ প্রত্যাশী। এর মধ্যে দু-একটি ত্রুটি ঘটছে। ত্রাণে অনিয়ম মেনে নেয়ার মতো ঘটনা না। তবুও সরকার মানুষের পাশে দাঁড়াতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে। কঠিন সময় পার করছি আমরা। এটি বুঝতে পারলেই আপাতত মুক্তির পথ বের হবে।
সর্বস্বত্ব: এমআরএল মিডিয়া লিমিটেড
ঢাকা অফিস: মডার্ণ ম্যানসন (১৫ তলা), ৫৩ মতিঝিল বাণিজ্যিক এলাকা, ঢাকা-১০০০
ময়মনসিংহ অফিস: হাসনাইন প্লাজা (দ্বিতীয় তলা), ৭ মদন বাবু রোড, ময়মনসিংহ-২২০০
সেলফোন: ০৯৬১১-৬৪৫২১৫, ০৯৬৯৭-৪৯৭০৯০
ই-মেইল: jagrota2041@gmail.com
ফোন :
ইমেইল :