2024-04-24 02:47:59 pm

এমএমসিএইচ’এ অক্লান্ত শ্রম দিয়ে যাচ্ছেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাছির উদ্দীন আহমেদ

www.focusbd24.com

এমএমসিএইচ’এ অক্লান্ত শ্রম দিয়ে যাচ্ছেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাছির উদ্দীন আহমেদ

১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২০, ২৩:১৩ মিঃ

এমএমসিএইচ’এ অক্লান্ত শ্রম দিয়ে যাচ্ছেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাছির উদ্দীন আহমেদ

মানবিকতার প্রশ্নে অক্লান্ত শ্রম দিয়ে যাচ্ছেন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মোঃ নাছির উদ্দীন আহমেদ। নানা প্রতিবন্ধকতা ও জটিলতা কাটিয়ে বদলে দিয়েছেন হাসপাতালের চিত্র। সর্বশেষ শনিবার (১৫-০২-২০২০) চালু করা হয়েছে কার্ডিয়াক ক্যাথল্যাব। ২ বছর আগেই স্বাস্থ্য সেবায় সেরা প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে এমএমসিএইচ। বিভিন্ন সময় আক্ষেপ করে প্রাণের এ প্রতিষ্ঠান থেকে সরে যাওয়ার মতো কঠিন সিদ্ধান্তের কথা বলেন মহানুভব এ মানুষ। পরে অবশ্য মানবিকতা ও মানুষের কল্যাণের কথা চিন্তা করে ডুবে যান মহাকর্মযজ্ঞে। সত্যিই অন্যরকম মানবিক মানুষ তিনি। একজন উচ্চপদস্থ সেনা কর্মকর্তা কতটুকু মহানুভব হতে পারেন তার নজির ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বর্তমান পরিবেশ ও পরিস্থিতি। পাল্টে দিয়েছেন হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা, ওষুধ, খাবার ও পরিবেশ। এসব কারণে ৪ বছর সাড়ে ৩ মাসে তিনি মহানুভবতার সর্বোচ্চ চূড়ায় পৌঁছেছেন। নিজের ত্রুটি, ভালো লাগা এবং না লাগার বিষয় নিয়ে অকপটে কথা বলা এ মানুষটি ময়মনসিংহ বিভাগের ৪ জেলাসহ ১০ জেলার লাখ লাখ মানুষের হৃদয়ে ঠাঁই করে নিয়েছেন। অকপটে কথা বলেন নিজের এবং প্রতিষ্ঠানের সমালোচনা ও ব্যর্থতা নিয়েও।

অবশেষে সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে প্রতিষ্ঠার দীর্ঘ ৫৭ বছর পর শনিবার (১৫-০২-২০২০) নতুন ভবনের চতুর্থ তলায় হৃদরোগ বিভাগে চালু হয়েছে বহুল প্রত্যাশিত কার্ডিয়াক ক্যাথল্যাব। স্থাপন করা হয়েছে ১০ বেডের ক্যাথল্যাব ওয়ার্ড। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এবং প্রশিক্ষিত নার্সদের জন্য রাখা হয়েছে আলাদা কর্ণার। করোনারী কেয়ার ইউনিট (সিসিইউ) এবং হৃদরোগ বিভাগের পাশে একই ফ্লোরে বসানো হয়েছে ক্যাথল্যাব। নিয়োগ দেওয়া হয়েছে ইন্টারভেনশনারিষ্ট অধ্যাপক ডা. আবুল হোসেনকে। পর্যাপ্ত কার্ডিওলজিষ্ট, নার্স ও টেকনেশিয়ান রয়েছে এই ওয়ার্ডে। পুরোদমে ক্যাথল্যাব চালু হলে এনজিওগ্রাম, হার্টে রিং পরানো ও পেস মেকার বসানো, শিশুদের হার্টের জন্মগত কিছু সমস্যা এবং ভাল্বের কিছু সমস্যা সমাধান করা সম্ভব হবে। ক্যাথল্যাব চালুর বিষয়ে পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মোঃ নাছির উদ্দীন আহমেদ শনিবার দৈনিক জাগ্রত বাংলা’কে বলেন, মুজিব বর্ষ উপলক্ষে ময়মনসিংহ বিভাগসহ ১০ জেলাবাসীর জন্য এটি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ উপহার। ওয়ানস্টপ সার্ভিস ও কিডনী রোগীদের ডায়ালাইসিস সুবিধা চালুর পর ক্যাথল্যাব চিকিৎসা সেবা চালু করতে পেরে আমি মহান আল্লাহর প্রতি সন্তুষ্টি প্রকাশ করছি। এ জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, স্বাস্থ্যমন্ত্রী এবং স্বাস্থ্য সচিবসহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। তিনি বলেন, নামমাত্র নির্ধারিত ফি জমা দিয়ে রোগীরা ক্যাথল্যাব থেকে চিকিৎসা নিতে পারবেন।

সূত্র জানায়, ৪৪ বছরকে পেছনে ফেলে দিয়েছে এই হাসপাতালে গত ৪ বছরের ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড এবং আধুনিকায়ন। ময়মনসিংহ বিভাগসহ ১০ জেলার মানুষের জন্য সু-খবর এনে দিয়েছেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মোঃ নাছির উদ্দীন আহমেদ। আলাদা একটি ইউনিট করে ১ হাজার থেকে ২ হাজার শয্যায় উন্নীত হচ্ছে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ১২ তলার অত্যাধুনিক ২টি ভবন নির্মাণের। ক্যান্সার রোগীদের চিকিৎসার জন্য আধুনিক ওয়ার্ড এবং পুরো হাসপাতালকে ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মোঃ নাছির উদ্দীন আহমেদ একজন স্বাপ্নিক মানুষ। যখন যেখানে দায়িত্ব পালন করেছেন সেখানেই সেবার মানসিকতা ও নতুন নতুন কনসেপ্ট বাস্তবায়ন করে দৃশ্যপট বদলে দিয়েছেন।

জানা যায়, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মোঃ নাছির উদ্দীন আহমেদ নিজের কর্ম, নেতৃত্ব ও সাহসিকতায় ৫৭ বছর আগে প্রতিষ্ঠিত ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। ময়মনসিংহ বিভাগের ৪ জেলাসহ ১০ জেলার ৫ কোটি মানুষের আস্থা ও বিশ্বাসের জায়গা তৈরী করেছেন তিনি। এই প্রতিষ্ঠানের সেবার গল্প এখন রূপকথা নয়- বাস্তব। বিশ্লেষকদের মতে, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মোঃ নাছির উদ্দীন আহমেদ নিজের মানবিক জীবনদর্শন দিয়ে আন্দোলিত করেছেন লাখ লাখ মানুষকে। তিনি বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছেন। চিহ্নিত চক্রের প্রপাগান্ডায় ক্ষণে-ক্ষণেই গভীর বেদনা অন্তরে ধারণ করেন ঠিকই কিন্তু তিনিই যখন দেখেন- কাঙ্খিত সেবা নিয়ে রোগীরা হাসি মুখে হাসপাতাল থেকে বের হয়ে যাচ্ছেন তখন তার মুখেই ফুটে উঠে তৃপ্তির হাসি। একদিন না একদিন হাসপাতাল বিরোধী সুবিধালোভী চক্রটি অভিশপ্ত, ঘৃণিত ও পরাজিত হবেই। জয় হবে মানবতার জয়গান গাওয়া বিশাল হৃদয়ের এ মানুষটির।


সূত্র জানায়, স্বাস্থ্য খাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অঙ্গিকার পুরোটাই বাস্তবায়ন হয়েছে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। ৪ বছর সাড়ে ৩ মাসে অন্তত: ৫০ লাখ রোগীকে চিকিৎসা এবং শতভাগ ওষুধ প্রদান করে মহানুভব মানুষে পরিণত হয়েছেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মোঃ নাছির উদ্দীন আহমেদ। সরকারি চিকিৎসা সেবার আমূল পরিবর্তন করায় স্বাস্থ্য বিভাগে তিনি অনুকরণীয় ব্যক্তিতে পরিণত হয়েছেন। মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ সরকারি হাসপাতালগুলোর প্রধানরা এখন তার ব্যবস্থাপনাকে অনুসরণ করেন। কম রেটে টেন্ডারে ভাল মানের ওষুধ, সার্জিক্যাল আইটেম, খাদ্য এবং অন্যান্য মালামাল কিনে টাকা সাশ্রয় করেও সুনাম অর্জন ও তোলপাড় ফেলে দিয়েছেন বিচক্ষণ এ সেনা কর্মকর্তা। বলিষ্ঠ ও গতিশীল নেতৃত্বে এ হাসপাতাল চিকিৎসা সেবায় মডেল এবং সেরায় পরিণত হয়েছে। সরকারের সফলতা ও রোগীরা নিশ্চিন্ত সেবা পেলেও প্রায়ই হাসপাতালের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয় চিহ্নিত চক্র। অস্থিতিশীল পরিস্থিতি এবং পরিচালককে বেকায়দায় ফেলার জন্য কলেজ ও হাসপাতালে বদলি করে আনা হয় পছন্দের চিকিৎসকদের। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নীতিমালা মানে না চক্রটি।

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মোঃ
নাছির উদ্দীন আহমেদ’র কথা

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মোঃ নাছির উদ্দীন আহমেদ আগের এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে বলেছেন, প্রচলিত অর্থে আমি জ্ঞানী নই। সাধারণ শিক্ষায় শিক্ষিত। দীর্ঘ দিন যাবত একা থাকি ময়মনসিংহ সেনানিবাসের মেসে ‘পদ্মা’ নামের কক্ষে। পরিবারের সুরক্ষায় ৫৫ থেকে ৫৮ এই ৪ বছরের অধিক সময় ইট পাথরের বন্দি দেয়ালের বা ছাদের সাথে একাই সময় কাটাচ্ছি। অভ্যস্থ হয়ে গেছি। উপলব্ধি করি মানুষ, সম্পর্ক বা সম্পদ কোনো কিছুই জীবনের জন্য অপরিহার্য নয়। ধীরে ধীরে মৃত্যু নামক অমোঘ নিয়তির দিকে এগুচ্ছি। ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল আমার প্রিয় প্রাঙ্গণ। ১ নভেম্বর ২০১৫ থেকে আজ পর্যন্ত কঠিন পরিশ্রম আল্লাহ বৃথা যেতে দেননি। কিছুটা হলেও অসাধারণ গরীব মানুষগুলোর ভালোবাসা এবং দোয়া পেয়েছি। বদলে গেছে সবকিছু। যেমনটি একটি হাসপাতালের জন্য হওয়া উচিত। আরও ভালো করার অবকাশ ছিলো। তিনি বলেন, এই হাসপাতাল নিয়ে নিত্য নতুন স্বপ্ন দেখেই আমার সময় চলে যায়। কেন এটা সম্ভব হয়েছে। আমি আমার কাজটা দায়িত্ব নিয়ে সঠিকভাবে করেছি। অন্যদের দোষারোপ করে দায়িত্ব এড়াতে চাইনি। ঘনঘন ঢাকা যাইনি। এখন পর্যন্ত অনেক বাধা, বিপত্তি এবং অসন্মান সহ্য করেছি। চূড়ান্তভাবে নাগরিকবৃন্দ এবং ময়মনসিংহ বিভাগবাসী নির্দ্বিধায় সমর্থন দিয়েছেন। এটাই ছিলো আমার কাজ করার শক্তি। তারাই অসাধারণ জনগণ। আমি জনগণের উপর বিশ্বাস রেখেছি। উনারা প্রতিদান দিয়েছেন স্বতঃস্ফূর্তভাবে রাস্তায় নেমে।

পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মোঃ

নাছির উদ্দীন আহমেদ-এর আরও কথা

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মোঃ নাছির উদ্দীন আহমেদ অপর এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে বলেছেন, ২০১৫ সালে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কি অবস্থায় ছিলো? তখন কোনো জবাবদিহিতা ছিলো না। প্রতিকূল পরিবেশে ধীরে ধীরে স্বার্থবাদী গোষ্ঠীর সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে আমি একঘরে হয়ে আমার সাধ্যমতো চেষ্টা করেছি। হাসপাতালের সব সেক্টরে উন্নতির চেষ্টা করেছি। নিভৃতে ময়মনসিংহ সেনানিবাসের একটি কক্ষে বছরের পর বছর কারাগারের চেয়েও খারাপ অবস্থায় থাকছি। আলহামদুলিল্লাহ। কারও প্রতি আমার কোনো অভিযোগ নেই। তিনি বলেন, যে জাতি নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তনের চেষ্টা করে না, আল্লাহ তাদের ভাগ্য পরিবর্তন করেন না। হাসপাতালের কেউ আমাকে পছন্দ করেন না। কারণ আমি স্রোতের সাথে গা ভাসাইনি। কোটি কোটি টাকার সিন্ডিকেট ব্যবসা বন্ধ হয়েছে। ২০১৫ সালে যারা রোগী হিসেবে আসতেন- তারা অপারেশন, ইনভেস্টিগেশন এবং খাওয়া বাবদ কতো টাকা খরচ করতেন? আমরা ১ টাকার হিসাব করি আর ১০০ টাকার কথা ভুলে যাই!। তিনি বলেছেন, বিচারহীনতার সংস্কৃতি ও আমলাতন্ত্র অনেক বড় বাধা। আমরা অনেকেই দায়িত্বশীল আচরণ করি না। না জনগণ, না হাসপাতালের অধিকাংশ স্টাফ, গুটিকয়েক নার্স অফিসার এবং স্বল্প সংখ্যক ডাক্তার। মেডিকেল কলেজের সকল পর্যায়ের কিছু সংখ্যক অধ্যাপক কর্মস্থলে থাকেন না। কাগজে কলমে থাকেন। কিছু চিকিৎসক অফিস টাইমে কর্মস্থলে থাকেন না। আনুগত্যের অভাব। তিনি বলেন, আমি একজন পরিচালক। গায়ে সেনাবাহিনীর পোশাক। একা যতটা সম্ভব সাধ্যের বাইরে গিয়ে চেষ্টা করেছি। ছোট ছোট ইস্যুগুলোকে কার স্বার্থে ফোকাস করা হয় বুঝি না। অভিযোগ করা আমাদের প্রবণতা। আমি আপনাদের কাছে অনেক ঋণী। অনেক সহযোগিতা করেছেন। দীর্ঘ দিন যাবত পরিবার ছাড়া আপনাদের এ নগরীতে কাটাচ্ছি। মনে হয় এত কিছু না করে স্রোতের সাথে মিশলেই কষ্ট কম হতো।


তিনি আরও বলেন, পারিবারিক মূল্যবোধের কারণে আমি এমন হয়েছি। আমার বাবার কাছ থেকেই শিখেছি ভদ্রতা, সুআচরণ এবং দম্ভ না করা। তিনি শিক্ষা দিয়েছেন আমি যদি জীবনে ভাল করতে চাই কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। আমার বাবা মরহুম আব্দুস ছাত্তার পেশায় ডাক্তার (এমবিবিএস) ছিলেন। পৈএিক সম্পত্তি বিক্রি করে তিনি নিজ এলাকায় অনেক কিছু করেছেন। ১৯৭০ থেকে ১৯৭৫ পর্যন্ত তিনি চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুর পর তিনি রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন না। তিনি গাড়ি কিনতে পারেন নি। আমাদের ঘরে খাট আসে ১৯৭৭ সালে। সাদাকালো টিভি আসে ১৯৮২ সালে। আমার বাবা অধিকাংশ রোগী ফ্রি দেখতেন এবং ২০ টাকা ভিজিট নিতেন। উনি কখনও আমাদেরকে অপব্যায়ী হতে শিখান নি। মৃত্যুর পর তার জানাযায় লক্ষাধিক লোক হয়েছিলো। আমি এখনও আমার বাবার পরিচয়ে চলি। আমার বাবা বলতেন- কারও অনুকম্পা চাইবে না। যা চাইবে নিয়মের ভিতর থেকেই চাইবে। আমি দীর্ঘ ৩২ বছর যাবত বাবার আদেশ মেনে চলছি। সেনাবাহিনীর অফিসার হিসেবে সর্বোচ্চ পর্যায়ের আনুগত্য করেছি, করবো এবং শেষ দিন পর্যন্ত আদেশ পালন করে যাবো।

তিনি বলেন, ঢাকা সিএমএইচ-এর কমান্ডান্ট থাকাকালীন সময়ে আমি বঙ্গভবনে যাইনি। বসুন্ধরা সিটি এবং যমুনা ফিউচার পার্কে যাইনি। আমি আগেই বলেছি- জীবনে অপরিহার্য বলে কিছু নেই। আমি একজন ভালো প্রাক্টিসিং মুসলমান হতে পারিনি। বাবার মতো সৎ হতে পারিনি। একটা জিনিস সারাটা জীবন করেছি তা হলো- অসহায় মানুষদের ভালোবেসেছি এবং তাদের বিপদে পাশে থাকার চেষ্টা করেছি। প্রশাসন চালাতে গিয়ে দুষ্টের দমন ও শিষ্টের পালন করেছি। তাদের কাছে আমি অপ্রিয়। আপনি কখনও সবার প্রিয় হতে পারবেন না। আর হলে আপনার মধ্যে সমস্যা আছে। তিনি বলেছেন, আমি সবচেয়ে বেশি ভালোবাসি বাংলাদেশ এবং এদেশের পতাকাকে। শ্রদ্ধা করি তাদেরকে যারা কোনো প্রাপ্তির আশা ছাড়াই ১৯৭১ সালে আমাদেরকে স্বাধীন ভূখণ্ড উপহার দিয়েছেন। সফলতা ও শান্তি তখনই পাবেন যখন সৃষ্টিকর্তার উপর পূর্ণ ভরসা করবেন এবং অসহায় মানুষদের জন্য প্রাপ্তির আশা ছাড়াই আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য কিছু করবেন। শেষ কথা- মানুষকে খারাপ ভাষায় গালি দিবেন না। পাপকে ঘৃণা করুন। কারও ব্যক্তি জীবন নিয়ে রুচিহীন মন্তব্য করবেন না। এটা অনেক বড় পাপ। নিজকে বাংলাদেশের একজন নির্লোভ নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলুন। জেনে বুঝে বাংলাদেশের ইতিহাস পড়ুন।

পরিচালককে নিয়ে ফেসবুক
স্ট্যাটাসে মানুষের মতামত

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মোঃ নাছির উদ্দীন আহমেদ-এর ফেসবুক স্ট্যাটাস নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক সাড়া পড়ে। অসংখ্য লাইক, কমেন্টস, শেয়ার ও পোস্ট হয়। কমেন্টসে প্রতিফলিত হয় পরিচালকের শক্তিশালী টিমওয়ার্ক, নির্লোভ, নিরহঙ্কার, দক্ষতা ও মহানুভবতা। বিক্ষুব্ধরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন তাদের মন্তব্যে। বলা হয়- আন্দোলন-সংগ্রামের ডাক দেওয়ার কথা। রোগীবান্ধব এই হাসপাতালের পরিবেশ রক্ষায় সোচ্চার হয়েছেন লাখ লাখ মানুষ। অনেকেই ফেসবুক কমেন্টসে লিখেছেন, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মোঃ নাছির উদ্দীন আহমেদ ময়মনসিংহবাসীর জন্য রহমত ও ফেরেশতার মতো। নি:সন্দেহে তিনি মহান ব্যক্তি। যিনি নিজের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে চিকিৎসা সেবায় সৃষ্টি করেছেন অনন্য উদাহরণ। নাছির স্যার ফিরে গেলে আবারও শকুনের হাতে চলে যাবে এই হাসপাতাল। ময়মনসিংহবাসী কোনো অপতৎপরতার কাছে মাথা নত করেনি এবং কখনও করবে না। কেউবা কমেন্টসে লিখেছেন বর্তমান পরিচালকের কারণে এক শ্রেণীর চিকিৎসক, পেশাজীবী ও রাজনৈতিক নেতা, ঠিকাদার, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক, দালাল ও ফার্মেসী মালিকরা খুবই অস্বস্তিতে আছেন। অনেকেই কমেন্টসে লিখেছেন নাছির স্যার ষড়যন্ত্রকারীদের হাঁড়ি ভাঙায় তারা এসব করছে। ভালো কাজে বাঁধা আসবেই। সকল বাধা উপেক্ষা করে সাধারণ মানুষের কল্যাণে এগিয়ে যেতেই হবে। যারা নাছির স্যারকে নিয়ে অপচেষ্টা চালাচ্ছেন নি:সন্দেহে তারা ভালো মানুষ নন। স্যার যদি ঠিক থাকেন তাহলে কোনো কুচক্রি মহল ও দালাল চক্র কিছুই করতে পারবে না। ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মোঃ নাছির উদ্দীন আহমেদ সততার মডেল। ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা সেবার মান, শৃঙ্খলা ও পরিবেশ সব মিলিয়ে এক অনন্য নজির। যা বাংলাদেশের ইতিহাসে বিরল দৃষ্টান্ত।


উপদেষ্টা সম্পাদক: ডি. মজুমদার
সম্পাদক: মীর আক্তারুজ্জামান

সর্বস্বত্ব: এমআরএল মিডিয়া লিমিটেড
ঢাকা অফিস: মডার্ণ ম্যানসন (১৫ তলা), ৫৩ মতিঝিল বাণিজ্যিক এলাকা, ঢাকা-১০০০
ময়মনসিংহ অফিস: হাসনাইন প্লাজা (দ্বিতীয় তলা), ৭ মদন বাবু রোড, ময়মনসিংহ-২২০০
সেলফোন: ০৯৬১১-৬৪৫২১৫, ০৯৬৯৭-৪৯৭০৯০ ই-মেইল: jagrota2041@gmail.com
ফোন :
ইমেইল :