, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ অনলাইন সংস্করণ

৬০০ টাকার নিচে মিলছে না গরুর মাংস

  নিজস্ব প্রতিবেদক

  প্রকাশ : 

৬০০ টাকার নিচে মিলছে না গরুর মাংস

আগে থেকেই চড়া গরুর মাংসের দাম রোজার মধ্যে আরও বেড়েছে। রোজার আগে কোথাও কোথাও ৫৫০ থেকে ৫৮০ টাকা কেজিতে গরুর মাংস বিক্রি হলেও এখন কোথাও গরুর মাংসের কেজি ৬০০ টাকার নিচে মিলছে না।


বুধবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, বেশিরভাগ ব্যবসায়ী গরুর মাংসের কেজি বিক্রি ৬০০ টাকায় বিক্রি করছেন। তবে ৬২০ টাকা কেজিতেও বিক্রি করছেন কোনো কোনো ব্যবসায়ী।


প্রতিবছর রোজায় ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন থেকে গরুর মাংসের দাম নির্ধারণ করে দেয়া হয়। কিন্তু এবারের রোজায় গরুর মাংসের দাম নির্ধারণ করে দেয়নি সিটি করপোরেশন। এ কারণে ব্যবসায়ীরা ইচ্ছামাফিক দাম নিচ্ছেন বলে অভিযোগ ক্রেতাদের।


অপরদিকে বিক্রতারা বলছেন, মহামারি করোনার প্রকোপ ঠেকাতে সরকার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করায় রাজধানীতে গরু ঠিকমতো আসছে না। যেসব গুরু আসছে তার পরিবহন খরচ অনেক বেশি। ফলে বাজার থেকে বাড়তি দামে গরু কিনে আনতে হচ্ছে। এ কারণে মাংসও বিক্রি করতে হচ্ছে বাড়তি দামে।


খিলগাঁওয়ে ৬২০ টাকা কেজি গরুর মাংস বিক্রি করা ব্যবসায়ী কালু মিয়া বলেন, আমার এখানে দাম একটু বেশি। কিন্তু মাংস পাবেন ফ্রেশ। কোনো ভেজাল হবে না। এই মাংসে এক ফোটা পানিও পাবেন না।


তিনি বলেন, বাজারে বাজারে ঘুরে দেখন, সব দোকানের মাংস থেকেই পানির ফোটা পড়ছে। এসব মাংস পানিতে চুবিয়ে রেখে ওজন বাড়ানো হয়। ওই মাংস ৬০০ টাকা দিয়ে কেনার থেকে আমার মাংস ৭০০ টাকা দিয়ে কেনাও লাভ। কিন্তু আমি কেজিতে মাত্র ২০ টাকা নিচ্ছি। আমার এতো বেশি লাভের দরকার নেই।


রামপুরা বাজারে পাশাপাশি তিনটি দোকানে গরুর মাংস বিক্রি করতে দেখা যায়। প্রতিটি দোকানেই গরুর মাংসের কেজি ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে এই ব্যবসায়ীদের ঝুলিয়ে রাখা মাংস থেকে পানির ফোটা পড়তে দেখা যায়।


এর কারণ জানতে চাইলে তাহের নামের এক ব্যবসায়ী বলেন, মাংসে পানি না দিয়ে শুকিয়ে যায়। কালার নষ্ট হয়ে যায়। আবার রক্ত লেগে থাকে। তাই পানিতে ধোয়া হয়েছে। এতে মাংসের ওজন একটুও বাড়বে না। কারণ, মাংসের ভেতরে পানি ঢুকতে পারবে না।


৬০০ টাকা কেজিতে মাংস বিক্রির কারণ জানতে চাইলে এই ব্যবসায়ী বলেন, রোজার আগে আমরা ৫৫০ থেকে ৫৮০ টাকা কেজি মাংস বিক্রি করেছি। কিন্তু এখন গরু কেনার খরচ বেড়েছে। যে দামে গরু কেনা পড়ছে তাতে ৬০০ টাকার নিচে মাংস বিক্রি করার উপায় নেই।


বাজারটিতে থেকে চার কেজি গরুর মাংস কেনা রিয়াজুল ইসলাম বলেন, রোজায় গরুর মাংসের চাহিদা একটু বেশি থাকে। এ কারণে এর আগে প্রতিবছর দেখেছি রোজায় সিটি করপোরেশন থেকে গরুর মাংসের দাম নির্ধারণ করে দেয়া হয়। কিন্তু এবার দাম নির্ধারণ করা হয়নি। ব্যবসায়ীরা তার সুযোগ নিয়ে ইচ্ছামাফিক দাম বাড়াচ্ছে।


তিনি বলেন, একসময় গরুর মাংসের কেজি ১০০ টাকার নিচে ছিল। এরপর দফায় দফায় দাম বেড়ে ৫০০ টাকা হয়। ওই দাম বেশ কিছুদিন স্থির ছিল। এবার রোজায় গরুর মাংসের দাম বেড়ে ৬০০ টাকা হলো। আগে কখনও চিন্তাও করিনি গরুর মাংস ৬০০ টাকায় কিনে খেতে হবে।

  • সর্বশেষ - অর্থ-বাণিজ্য