কৃষকের তালিকায় মৃত ব্যক্তি ও সরকারি চাকরিজীবীর নাম
প্রকাশ :
নেত্রকোনার খালিয়াজুরী উপজেলায় কৃষকের তালিকা নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। বোরো ধান কেনার জন্য কৃষি বিভাগের করা কৃষক তালিকায় মৃত ব্যক্তি, চাকরিজীবী ও চাষাবাদ না করা অসংখ্য লোকের নাম থাকায় বিষয়টি নিয়ে সমালোচনার ঝড় বইছে।
এরই প্রেক্ষিতে রোববার (১০ মে) দুপুরে ধান কেনা কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এএইচএম আরিফুল ইসলাম বলেন, বিতর্কিত কৃষক তালিকাটি বাতিলের প্রক্রিয়া চলছে।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, চলতি বছর খালিয়াজুরী খাদ্য বিভাগের মাধ্যমে কৃষি বিভাগের দেয়া তালিকা অনুযায়ী প্রকৃত কৃষকের কাছ থেকে ২৬ এপ্রিল থেকে বোরো ধান কেনা অভিযান শুরু হওয়ার কথা ছিল। অভিযান শুরুর লক্ষ্যে ৭ মে ধান কেনা কমিটির উদ্যোগে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে বাছাই করা প্রায় ১১ হাজার কৃষকের নাম লিখে একটি লটারি করা হয়।
লটারির মাধ্যমে ১৭৩৯ জন কৃষকের নাম রেখে চূড়ান্ত তালিকা করা হয়। লটারিতে নির্বাচিত প্রত্যেক কৃষকের কাছ থেকে এক মেট্রিক টন ধান কেনা হবে। কিন্তু চূড়ান্ত ওই তালিকায় প্রকৃত কৃষকের নামের জায়গায় চাষাবাদ না করা অসংখ্য লোক, সরকারি চাকরিজীবী এবং মৃত ব্যক্তির নাম রয়েছে।
খালিয়াজুরী সদর ইউনিয়নের সদস্য অজিত সরকার বলেন, ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের কৃষক তালিকায় ১৩ জনের নাম রয়েছে। এর মধ্যে চিত্ত রঞ্জন, নরেশ দাস ও তপন সরকারসহ ছয়জন এবার চাষাবাদ করেনি। তাদের নাম কিভাবে-কারা তালিকায় ঢুকিয়েছেন তা আমার জানা নেই।
খালিয়াজুরী সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছানোয়ারুজ্জামান জোসেফ বলেন, কৃষি বিভাগের করা কৃষক তালিকায় অসংখ্য নাম আছে; যারা এবার জমি চাষ করেননি। এমনকি কেউ কেউ সরকারি চাকরিজীবী। খালিয়াজুরী সদরের কিষ্টপুর গ্রামের রাসনা বর্মন ও কাশীনাথ দাস অনেক আগেই মারা গেছেন। অথচ তাদের নাম এবারের কৃষক তালিকায় রয়েছে। কৃষি বিভাগ মাঠে না গিয়ে ঘরে বসে তালিকা তৈরির কারণে এমন হয়েছে।
খালিয়াজুরী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের জিজ্ঞেস করা হবে। অনিয়ম প্রমাণিত হলে তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয়া হবে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এএইচএম আরিফুল ইসলাম বলেন, বিতর্কিত ওই কৃষকদের তালিকাটি বাতিলের প্রক্রিয়া চলছে। যাচাই-বাছাই করে নতুন তালিকা করা হবে।