২৬ মে ২০২০, ১১:১৮ মিঃ
গত সপ্তাহে অনুমতি ছাড়াই বাংলাদেশের আকাশসীমায় প্লেন প্রবেশের ঘটনায় তদন্ত করছে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্স (এসআইএ)। তবে এ ঘটনার পর থেকে এ বিষয়ে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আর যোগাযোগ হয়নি বলেও দাবি করেছে তারা।
সোমবার স্থানীয় টেলিভিশন চ্যানেল সিএনএ’কে এসআইএ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গত মঙ্গলবার (১৯ মে) তাদের এসকিউ-৩২৬ ফ্লাইটটি সিঙ্গাপুর থেকে ফ্রাঙ্কফুর্ট যাচ্ছিল। ঘূর্ণিঝড় আম্ফান এড়াতেই প্লেনটি গতিপথ পরিবর্তন করে বাংলাদেশের আকাশসীমায় প্রবেশ করে।
বিমান সংস্থাটি বলছে, প্লেনের গতিপথ পরিবর্তনের বিষয়টি আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিকল্পনায় উল্লেখ করা হয়েছিল এবং এর জন্য বাংলাদেশের সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষের অনুমতিও নিয়েছিল তারা। তবে বাংলাদেশের আকাশসীমা ব্যবহারে প্রতিটি ফ্লাইটের জন্য আরেকটি এয়ার ডিফেন্স ক্লিয়ারেন্স (এডিসি) দরকার হয়, সেটি ছিল না তাদের পাইলটের কাছে।
এসকিউ-৩২৬ ফ্লাইট সাধারণত এ রুট ধরে ফ্র্যাঙ্কফুর্ট যায়
সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্স বলেছে, ‘যখন ঢাকা এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল (এটিসি) বারবার এডিসি নম্বর নিশ্চিতের জন্য অনুরোধ করছিলেন, পাইলটের কাছে সেটি ছিল না। কারণ সিঙ্গাপুর ছাড়ার সময় ফ্লাইট পরিকল্পনা প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তা জোগাড় করা হয়নি।’
‘তবে যাই হোক, এসআইএ অবশ্যই এ ঘটনার তদন্ত করবে শুরু করবে যেন এর পুনরাবৃত্তি না হয় এবং নিজস্ব প্রক্রিয়াগুলো আরও জোরদার করবে।’
জানা যায়, সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের এই ফ্লাইট প্রতিবার চাঙ্গি বিমানবন্দর থেকে উড়াল দিয়ে মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর হয়ে বঙ্গোপসাগর (ভারত অংশ) দিয়ে কলকাতা, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, কাজাখস্থান, রাশিয়া, বেলারুশ ও পোল্যান্ডের আকাশসীমানা অতিক্রম করে ফ্রাঙ্কফুর্ট যায়।
তবে মঙ্গলবার ফ্লাইটটি তার গতি পরিবর্তন করে মিয়ানমার হয়ে স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটে বঙ্গোপসাগরের বাংলাদেশ অংশের আকাশে ঢুকে পড়ে। ৩০ মিনিট উড়ে ১টা ২০ মিনিটে বাংলাদেশের আকাশসীমা ত্যাগ করে ভারতের কলকাতার আকাশসীমায় ঢুকে যায় এসকিউ-৩২৬। মোট ৩০ মিনিট দুবলার চর, সুন্দরবন হয়ে বাংলাদেশের আকাশসীমা পার হয় ফ্লাইটটি।
বিধি লঙ্ঘন করে এসকিউ-৩২৬ ফ্লাইট মঙ্গলবার এই পথ ধরে ফ্র্যাঙ্কফুর্ট গেছে
২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে দেশের আকাশসীমা নির্ধারণের বিষয়ে একটি সার্কুলারে বেবিচক নির্দেশনা দিয়েছে যে, কোনো এয়ারক্রাফট যদি বাংলাদেশের আকাশসীমায় ঢুকতে চায় তাহলে তাকে আগে থেকেই এডিসি নম্বর নিতে হবে। এছাড়া ওভারফ্লাই করতে হলে ওই ফ্লাইটকে বাংলাদেশের সীমানায় ঢোকার কমপক্ষে ১০ মিনিট আগে তা জানাতে হবে। এক্ষেত্রে সর্বশেষ যে দেশ থেকে প্লেনটি আসছিল সেই দেশের এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের দায়িত্ব বাংলাদেশের এটিসিকে বিষয়টি অবগত করবে। তবে মিয়ানমার সিঙ্গাপুরের এই ফ্লাইটটির বিষয়ে কিছুই জানায়নি।
এসকিউ-৩২৬ ফ্লাইট যখন বাংলাদেশের ওপর দিয়ে যাচ্ছিল তখন ঢাকার এটিসি থেকে বারবার এটির পাইলটের কাছে এডিসি নম্বর জানতে চাওয়া হচ্ছিল। তবে পাইলট সে বিষয়ে কিছু বলতে পারছিলেন না। একসময় তাকে উদ্দেশ্য করে উত্তপ্ত বাক্যও উচ্চারণ করে ঢাকার এটিসি।
সর্বস্বত্ব: এমআরএল মিডিয়া লিমিটেড
ঢাকা অফিস: মডার্ণ ম্যানসন (১৫ তলা), ৫৩ মতিঝিল বাণিজ্যিক এলাকা, ঢাকা-১০০০
ময়মনসিংহ অফিস: হাসনাইন প্লাজা (দ্বিতীয় তলা), ৭ মদন বাবু রোড, ময়মনসিংহ-২২০০
সেলফোন: ০৯৬১১-৬৪৫২১৫, ০৯৬৯৭-৪৯৭০৯০
ই-মেইল: jagrota2041@gmail.com
ফোন :
ইমেইল :