2024-03-29 07:10:11 pm

করোনা: এবার প্ল্যাজমা থেরাপির ব্যবহারে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার না

www.focusbd24.com

করোনা: এবার প্ল্যাজমা থেরাপির ব্যবহারে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার না

৩০ মে ২০২০, ০৭:১৯ মিঃ

করোনা: এবার প্ল্যাজমা থেরাপির ব্যবহারে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার না

করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট রোগ কোভিড-১৯ এর চিকিৎসায় বহুল আলোচিত রেমডেসিভিরসহ অন্যান্য অ্যান্টিভাইরাল ওষুধের চূড়ান্ত ব্যবহার না করার সুপারিশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। একই সঙ্গে জাতিসংঘের স্বাস্থ্য বিষয়ক এই সংস্থাটির সর্বশেষ (বুধবারের) করোনা গাইডলাইনে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের বাইরে বিকল্প চিকিৎসা হিসেবে প্লাজমা থেরাপিও ব্যবহার না করার পরামর্শ দিয়েছে।


বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রেমডেসিভির ব্যবহার না করার এই পরামর্শ এমন এক সময় এল যখন বাংলাদেশের বেশ কিছু ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানি ওষুধটির উৎপাদন শুরু করে দিয়েছে। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের এক ট্রায়ালে সফলতা আসায় প্ল্যাজমা থেরাপিও বিভিন্ন হাসপাতালে জনপ্রিয়তা পেয়েছে।


নভেল করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় কোনও ধরনের অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ ব্যবহারের অনুমোদন দেয়নি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। গত বুধবার সংস্থাটির প্রকাশিত করোনা গাইডলাইনে বলেছে, তাদের আগের গাইডলাইনে পরিবর্তন আনা হয়নি। পূর্ববর্তী এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক মানসম্মত গাইডলাইনের সঙ্গে সমন্বয় করে গাইডলাইনগুলো তৈরি করা হয়েছে।


রেমডেসিভির এবং অন্যান্য অ্যান্টিভাইরাল ওষুধের ব্যাপারে ডব্লিউএইচও বলেছে, কয়েকটি ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল এবং পর্যবেক্ষণের ওপর ভিত্তি করে বিদ্যমান গাইডলাইন তৈরি করা হয়েছে। করোনার চিকিৎসায় এসব ওষুধের কোনোটিরই উচ্চমানের ইতিবাচক ফল পাওয়ার প্রমাণ মেলেনি। এমনকি এসব ওষুধের জটিল পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া পাওয়া গেছে।


এর আগে জাতিসংঘের স্বাস্থ্য বিষয়ক এই সংস্থাটি কোভিড-১৯ এর চিকিৎসায় ম্যালেরিয়ারোধী ওষুধ হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন এবং ক্লোরোকুইন ব্যবহারের বিরুদ্ধে সতর্ক করে দেয়। সংস্থাটি বলছে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ৪০ শতাংশ মানুষের শরীরে মৃদু এবং ৪০ শতাংশের মাঝারি উপসর্গ দিয়ে রোগটির শুরু হয়।


এছাড়া ১৫ শতাংশের গুরুতর আকার ধারণ করে; যাদের অক্সিজেন প্রয়োজন হয়। অন্য ৫ শতাংশের অবস্থা আশঙ্কাজনক হয়; যারা আগে থেকে ক্যান্সার, ডায়াবেটিস, কিডনিসহ অন্যান্য জটিল রোগে আক্রান্ত।


গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর চীনের উহানে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের প্রথম উপস্থিতি ধরা পড়ে। তারপর এই ভাইরাস বিশ্বের দুই শতাধিক দেশে ছড়িয়ে প্রাণ কেড়েছে ৩ লাখ ৬৪ হাজারের বেশি এবং আক্রান্ত ছাড়িয়েছে ৫৯ লাখ ৭১ হাজার।


বিশ্বজুড়ে করোনার প্রকোপের দেড়শ দিনের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত এর কোনও প্রতিষেধক কিংবা ভ্যাকসিন আবিষ্কার হয়নি। তবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শতাধিক ভ্যাকসিন তৈরির প্রকল্প চলমান রয়েছে। এসব ভ্যাকসিনের মধ্যে অন্তত ৬টি প্রথম ধাপের ট্রায়াল সফল হওয়ায় দ্বিতীয় ধাপের পরীক্ষার পর্যায়ে রয়েছে।


তবে বিজ্ঞানীরা সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, নভেল করোনাভাইরাসের চূড়ান্ত ভ্যাকসিন পেতে ১২ থেকে ১৮ মাস সময় লাগতে পারে। এমনকি কোভিড-১৯ এর কোনও ভ্যাকসিন কখনও নাও পাওয়া যেতে পারে বলেও সতর্ক করে দিয়েছেন তারা।


উপদেষ্টা সম্পাদক: ডি. মজুমদার
সম্পাদক: মীর আক্তারুজ্জামান

সর্বস্বত্ব: এমআরএল মিডিয়া লিমিটেড
ঢাকা অফিস: মডার্ণ ম্যানসন (১৫ তলা), ৫৩ মতিঝিল বাণিজ্যিক এলাকা, ঢাকা-১০০০
ময়মনসিংহ অফিস: হাসনাইন প্লাজা (দ্বিতীয় তলা), ৭ মদন বাবু রোড, ময়মনসিংহ-২২০০
সেলফোন: ০৯৬১১-৬৪৫২১৫, ০৯৬৯৭-৪৯৭০৯০ ই-মেইল: jagrota2041@gmail.com
ফোন :
ইমেইল :