, ২২ বৈশাখ ১৪৩১ অনলাইন সংস্করণ

ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডের পাসের হার ৮০.১৩, জিপিএ-৫ ৭৪৩৪

ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডের পাসের হার ৮০.১৩, জিপিএ-৫ ৭৪৩৪

ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এবারই প্রথম এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। এই শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার শতকরা ৮০ দশমিক ১৩ ভাগ। জিপিএ ৫ পেয়েছে ৭ হাজার ৪৩৪ জন।


এর মধ্যে বিজ্ঞান শাখা থেকে ৭ হাজার ২৪৯, মানবিক শাখা থেকে ১৬৭ জন এবং ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় ১৮ জন জিপিএ ৫ পেয়েছে।


শিক্ষা বোর্ডের অধীনে চার জেলার (শেরপুর, জামালপুর, নেত্রকোনা ও ময়মনসিংহ) ১ হাজার ২৮১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে ১৩১টি কেন্দ্রে সর্বমোট ১ লাখ ২৬ হাজার ২৪৭ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১ লাখ ২৪ হাজার ৯৫৯ শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। পাস করেছে ১ লাখ ১২৫ জন। এর মধ্যে ছাত্র সংখ্যা ৫০ হাজার ৯৯৪ জন এবং ছাত্রী সংখ্যা ৪৯ হাজার ১২৫ জন।


জেলাভিত্তিক পরিসংখ্যান অনুযায়ী শেরপুর জেলায় পাসের হার ৮৩ দশমিক ১৭, ময়মনসিংহ জেলায় পাসের হার ৮০ দশমিক ০৫, নেত্রকোনা জেলায় ৭৯ দশমিক ৭৪ এবং জামালপুর জেলায় পাসের হার ৭৮ দশমিক ৯৯ ভাগ।


এ দিকে জিপিএ ৫ বিবেচনায় ছেলেদের চেয়ে মেয়েরা এগিয়ে এবং পাশের হারে মেয়েদের চেয়ে ছেলেরা এগিয়ে এই শিক্ষা বোর্ডে।


জিপিএ ৫-এর তালিকায় ৩ হাজার ৬৪৬ জন ছাত্র এবং ৩ হাজার ৭৮৮ জন ছাত্রী। পাসের হার ছেলে ৮০ দশমিক ১৭ ভাগ এবং মেয়ে ৮০ দশমিক ০১ ভাগ। বোর্ডে বিজ্ঞান বিভাগে পাস করেছে ৯১ দশমিক ৪৬, ব্যবসায় শিক্ষায় ৮০ দশমিক ০১ এবং মানবিক বিভাগে ৭৩ দশমিক ৩৩ ভাগ।


শিক্ষা বোর্ডের অধীনে শতভাগ কৃতকার্য প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ২১টি এবং শতভাগ অকৃতকার্য প্রতিষ্ঠানের তালিকায় ময়মনসিংহ জেলার ধোবাউড়া উপজেলার একটি ও জামালপুর জেলার একটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। বোর্ডে ফেল করেছে ২৪ হাজার ৮৩৪ জন।


এ দিকে বোর্ডে ভালো ফলাফল অর্জনকারী ময়মনসিংহ বিদ্যাময়ী সরকারি বারিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ৩২১ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাস করেছে ২১৯ জন। জিপিএ ৫ পেয়েছে ২৬৭ জন। জিলা স্কুল থেকে ২৮১ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাস করেছে ২৭২ জন। জিপিএ ৫ পেয়েছে ২২৯ জন। ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ থেকে ১৮৩ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে শতভাগ পাসের মাধ্যমে জিপিএ+৫ পেয়েছে ১৪১ জন।


বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. গাজী হাসান কামাল জাগ্রত বাংলাকে জানান, ময়মনসিংহ জেলায় বরাবরই ভালো ফলাফল করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় এবার এই বোর্ডের অধীনে প্রথম ফলাফল আশাব্যঞ্জক হয়েছে। আগামীতে আরও ভালো ফলাফল এবং ফেলের সংখ্যা কমানোর ক্ষেত্রে উদ্যোগ নেয়া হবে।