, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ অনলাইন সংস্করণ

‘শরীর ভালো লাগছে না’ স্ট্যাটাস দিয়েই মারা গেলেন সাংবাদিক

‘শরীর ভালো লাগছে না’ স্ট্যাটাস দিয়েই মারা গেলেন সাংবাদিক

‘শরীর ভালো লাগছে না, বুকে ব্যথা হচ্ছে। ময়মনসিংহে যাচ্ছি।’ স্ট্যাটাস দেয়ার দুই ঘণ্টা পরই মারা গেলেন সাংবাদিক লিটন ধর গুপ্ত। তিনি দেশ টিভি, বাংলাদেশ বেতার ও ভোরের কাগজের নেত্রকোণা জেলা প্রতিনিধি ছিলেন।শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পরপরই হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫২ বছর।মৃত্যুর ঠিক দুই ঘণ্টা আগে শরীর খারাপের কথা জানিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন সাংবাদিক লিটন ধর গুপ্ত। এটিই যে তার শেষ স্ট্যাটাস হবে তা হয়ত তিনি নিজেও জানতেন না।


রোববার বেলা ১১টায় নেত্রকোনা মহাশ্মশান ঘাটে লিটন ধর গুপ্তের অন্তেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বজনরা। গত কয়েকদিন ধরেই অসুস্থ বোধ করছিলেন লিটন ধর গুপ্ত। আগে থেকে ডায়াবেটিস ছিল তার। এর মাঝে হার্টের সমস্যা দেখা দেয়। গত কয়েকদিন ধরে ব্যথা বেশি অনুভূত হলে শনিবার দুপুরে দুইটার দিকে কয়েকজন বন্ধু মিলে লিটন ধর গুপ্তকে নেত্রকোনা হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে ডাক্তার তাৎক্ষণিক ময়মনসিংহ নেয়ার কথা বলে দেন। কিন্তু লিটনের সহধর্মিণী সীমা রায় মোহনগঞ্জে চাকরিরত থাকায় আসতে বিলম্ব হয়। পরবর্তীতে সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে অ্যাম্বুলেন্স যোগে ময়মনসিংহ রওনা দেন তারা।


ময়মনসিংহ পৌঁছার পরপরই লিটন ধর গুপ্ত মারা যান। তার অকাল মৃত্যুতে সমাজ কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী মুক্তিযোদ্ধা আশরাফ আলী খান খসরু এমপি, সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য হাবিবা রহমান খান শেফালী, জেলা প্রশাসক মঈন-উল ইসলাম, পুলিশ সুপার আকবর আলী মুনসী, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান প্রশান্ত রায়, পৌর মেয়র নজরুল ইসলাম খান, জেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামলেন্দু পালসহ সাংবাদিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক সকল স্তরের মানুষ গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। তার মৃত্যুতে জেলা জুড়ে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।


নেত্রকোনা পৌর শহরের সাতপাই নদীর পাড় এলাকার বাসিন্দা লিটন সাংবাদিকতা ছাড়াও শিল্পকলা একাডেমি ও শিশু একাডেমির যন্ত্রী প্রশিক্ষক ছিলেন। লিটন ধর গুপ্ত নেত্রকোনা জেলা প্রেসক্লাবের সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক এবং জেলা টেলিভিশন ফোরামের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

  • সর্বশেষ - মহানগর