৩০ জুন ২০২০, ১০:০২ মিঃ
রাজধানীর শ্যামবাজার এলাকা সংলগ্ন বুড়িগঙ্গা নদীতে অর্ধশতাধিক যাত্রী নিয়ে লঞ্চডুবির ঘটনায় সারারাত উদ্ধার অভিযান চালিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। অভিযান এখনও চলছে। তবে নতুন করে কাউকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টায় ফায়ার সার্ভিস সদর দফতরের কন্ট্রোল রুমের ডিউটি অফিসার রাসেল সিকদার এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, রাতভর অভিযান চলেছে, এখনও চলছে। নতুন করে কাউকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। মোট ৩২ জনের মরদেহ ও দুইজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। লঞ্চটি তোলার চেষ্টা চলছে। ডুবুরিরাও কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
এ ঘটনায় এখন পর্য ন্ত ৩২ জনের মনদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এদের মধ্যে পুরুষ ১৯ জন, নারী ৮ জন এবং ৩ জন শিশু রয়েছে। বাকি দুজনের বিষয়ে এখনও জানা যায়নি।
পরিচিত পা্ওয়া মৃত ৩০ হনে হলেন- সত্যরঞ্জন বনিক (৬৫), মিজানুর রহমান (৩২), শহিদুল (৬১), সুফিয়া বেগম (৫০), মনিরুজ্জামান (৪২), সুবর্ণা আক্তার (২৮), মুক্তা (১২), গোলাম হোসেন ভুইয়া (৫০), আফজাল শেখ (৪৮), বিউটি (৩৮), ছানা (৩৫), আমির হোসেন (৫৫), মো. মহিম (১৭), শাহাদাৎ (৪৪), শামীম ব্যাপারী (৪৭), মিল্লাত (৩৫), আবু তাহের (৫৮), দিদার হোসেন (৪৫), হাফেজা খাতুন (৩৮), সুমন তালুকদার (৩৫), আয়শা বেগম (৩৫), হাসিনা রহমান (৪০), আলম বেপারী (৩৮), মোসা. মারুফা (২৮), শহিদুল হোসেন (৪০), তালহা (২), ইসমাইল শরীফ (৩৫), সাইফুল ইলাম (৪২), তামিম ও সুমনা আক্তার।
এর আগে সকাল ১০টায় এ লঞ্চডুবির ঘটনা ঘটে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঢাকা-চাঁদপুর রুটের ময়ূর-২ নামের একটি লঞ্চের ধাক্কায় কমপক্ষে ৫০ যাত্রী নিয়ে ঢাকা-মুন্সিগঞ্জ রুটের মনিং বার্ড লঞ্চটি ডুবে যায়।
লঞ্চটি থেকে কয়েকজন যাত্রী সাঁতরে পাড়ে উঠলেও বেশ কয়েকজন নিখোঁজ ছিলেন। পরে নিখোঁজদের উদ্ধারে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল উদ্ধার অভিযান শুরু করে।
স্থানীয়রা আরও জানান, মুন্সিগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা দুইতলা মর্নিং বার্ড লঞ্চটি সদরঘাট কাঠপট্টি ঘাটে ভেড়ানোর আগ মুহূর্তে চাঁদপুরগামী ময়ূর-২ লঞ্চটি ধাক্কা দেয়। এতে সঙ্গে সঙ্গে তুলনামূলক ছোট মর্নিং বার্ড লঞ্চটি ডুবে যায়।
সর্বস্বত্ব: এমআরএল মিডিয়া লিমিটেড
ঢাকা অফিস: মডার্ণ ম্যানসন (১৫ তলা), ৫৩ মতিঝিল বাণিজ্যিক এলাকা, ঢাকা-১০০০
ময়মনসিংহ অফিস: হাসনাইন প্লাজা (দ্বিতীয় তলা), ৭ মদন বাবু রোড, ময়মনসিংহ-২২০০
সেলফোন: ০৯৬১১-৬৪৫২১৫, ০৯৬৯৭-৪৯৭০৯০
ই-মেইল: jagrota2041@gmail.com
ফোন :
ইমেইল :