০১ জুলাই ২০২০, ১২:২২ মিঃ
ঘরে ঘরে ভূতুড়ে বিদ্যুৎ বিল নিয়ে সামাজিকমাধ্যমে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওন। মঙ্গলবার দুপুরে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডি থেকে স্ট্যাটাসটি দেন।
শাওন বলেন, আমি নিয়মিত বিদ্যুৎ বিল দেই। গ্যাস বিল, পানির বিল, ফোন ও ইন্টারনেট বিল সবই নিয়মিত দেই। এটা কোনো প্রশংসনীয় কাজ নয়, এটা দায়িত্ব। নিয়মিত বিল দিই মানে আমি আমার নাগরিক দায়িত্ব পালন করি।
হুমায়ূনপত্নী বলেন, নাগরিক দায়িত্ব পালন করে ঠিক মতো আয়কর দেয়ার কারণে ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরে আমি পুরষ্কৃত হয়েছি। শ্রেষ্ঠ করদাতাদের তালিকায় অনেক সম্মানি ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ছোট্ট করে আমার নামটাও আছে। ‘তবে এবার বোধহয় খেলাপিদের তালিকায় আমার নাম উঠতে যাচ্ছে!’ তিনি আরও বলেন, গতকাল সোমবার মে মাসের বিদ্যুৎ বিল পেয়ে আমার এমনটাই অনুভূত হয়েছে। আজ ৩০ জুন নাকি এই বিল দেয়ার শেষ দিন!
সাধারণ সময় ও করোনাকালের বিদ্যুৎ বিলের বেশ কয়েকটি স্ক্রিনশটও ফেসবুক পোস্ট করেন শ্রাবণ মেঘের দিনের নায়িকা। তিনি বলেন, ৩ জনের ছোট সংসারে জানুয়ারি মাসে আমার বিদ্যুৎ বিল ছিল ৪ হাজার ৬০৪ টাকা ও ফেব্রুয়ারিতে ৫ হাজার ৪৫৭ টাকা। কিন্তু করোনার সময় মার্চ মাসে ৯ হাজার ৭০ টাকা, এপ্রিলে ২০ হাজার ৬৯৩ টাকা ও মে মাসে ২৯ হাজার ৮০১ বিল এসেছে।
শাওনের এই স্ট্যাটাসের কমেন্ট বক্সে অনেকেই বিভিন্ন ধরনের মন্তব্য করেছেন। পারভীন পারু নামের একজন লিখেছে, ‘সব মগের মুল্লুক, এসব যাচ্ছে তাই কারো চোখে পড়ে না। রাগে গা ফেটে যাচ্ছে। মিটারে টাকা ভরলেই নাই হয়ে যাচ্ছে! কে দেখবে এসব। তার থেকে আমাদের মেরে ফেল্লেই তো হয়।’
লুৎফর রহমান লিখেছেন, ‘আপনার বিলের যদি এই অবস্থা হয়, তাহলে সাধারণ মানুষের বিলের কী অবস্থা হতে পারে অনুমান করুন। এই হলো দেশের অবস্থা, দুর্নীতি রন্ধ্রে রন্ধ্রে ঢুকে গেছে।’ নিপা রহমান নামের আরেক নারী লিখেছেন, আমারও একই অবস্থা। কোথায় এত বিদ্যুৎ খরচ করলাম, অনেক ভেবেও বের করতে পারলাম না। কাকে জানাব সেটাও বুঝতে পারছি না। ভেবেছিলাম এমন আকাশ-পাতাল বিল বুঝি শুধু আমারই আসছে!’
প্রসঙ্গত করোনা ভাইরাসের প্রার্দুভাবের কারণে সরকার ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত তিন মাসের আবাসিক গ্রাহকের বিদ্যুতের বিল নেয়া বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছিল সরকার। গত তিন মাসের যে বকেয়া বিল গ্রাহকের হাতে ধরিয়ে দেয়া হয়েছে তা দেখে অনেক গ্রাহক এখন ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
গত তিন মাসে কোনো গ্রাহকের বিল দশগুন, বারো গুন পর্যন্ত বেশি এসেছে। যে গ্রাহকের বিল আসতো মাসে ৩০০ টাকা তার এসেছে হয়েছে ২৫০০ টাকা, যার বিল আসতো ৩ হাজার টাকা তাকে ধরিয়ে দেয়া হয়েছে ৫০ হাজার থেকে লাখ টাকার বিল।
সর্বস্বত্ব: এমআরএল মিডিয়া লিমিটেড
ঢাকা অফিস: মডার্ণ ম্যানসন (১৫ তলা), ৫৩ মতিঝিল বাণিজ্যিক এলাকা, ঢাকা-১০০০
ময়মনসিংহ অফিস: হাসনাইন প্লাজা (দ্বিতীয় তলা), ৭ মদন বাবু রোড, ময়মনসিংহ-২২০০
সেলফোন: ০৯৬১১-৬৪৫২১৫, ০৯৬৯৭-৪৯৭০৯০
ই-মেইল: jagrota2041@gmail.com
ফোন :
ইমেইল :