০২ জুলাই ২০২০, ১৯:৪৪ মিঃ
যমুনা নদীর পানি ধীর গতিতে কমতে শুরু করলেও জামালপুরে বন্যার পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। জেলায় নতুন করে আরো একটি নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে সাত উপজেলায় আট পৌরসভা ও ৪৩টি ইউনিয়ন এখন পানিবন্দি। জেলায় ৩ লাখ ৫৯ হাজারের বেশি মানুষ পানির মধ্যে। বন্যায় নলকূপগুলো তলিয়ে থাকায় দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানি ও খাদ্য সংকট। গত পাঁচ দিনের বন্যার পানিতে ডুবে মারা গেছে ৮ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনার পানি ৫ সেন্টিমিটার কমে বৃহস্পতিবার সকালে বাহাদুরাবাদ ঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ৭৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। জেলার সাত উপজেলার সবগুলো পৌরসভাসহ ৪৩টি ইউনিয়ন বন্যার পানিতে এখন নিমজ্জিত। পানিতে ডুবে গেছে গরুর চারণ ভূমি, বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মানুষের একমাত্র আশ্রয়স্থল বসতবাড়ি। প্রতিদিন নষ্ট হচ্ছে গ্রামীণ কাঁচা-পাকা সড়ক। যে পথ ধরে প্রান্তিক মানুষগুলো জেলা শহরে যাতায়াত করত সেই সড়কগুলো পানিতে তলিয়ে থাকায় যাতায়াতের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। কয়েকটি বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অনেকেই আশ্রয়ের জন্য উঁচু সড়ক, ব্রিজ ও আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান করছেন। তবে সবার মধ্যেই রয়েছে করোনা আতঙ্ক।
সরকারি হিসাব মতে, জামালপুরে বন্যার পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৮৫ হাজার ২শ পরিবার। পানিবন্দি আছে ৩ লাখ ৫৯ হাজার ৪২ জন মানুষ।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. নায়েব আলী জানিয়েছেন, প্রশাসনের পক্ষ থেকে আজ নতুন করে আর কোনো ত্রাণ সহায়তার বরাদ্দ হয়নি। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয়ে কাজ চলছে । সঠিক তথ্য পাওয়া যাবে বন্যার পানি নামার পর।
সর্বস্বত্ব: এমআরএল মিডিয়া লিমিটেড
ঢাকা অফিস: মডার্ণ ম্যানসন (১৫ তলা), ৫৩ মতিঝিল বাণিজ্যিক এলাকা, ঢাকা-১০০০
ময়মনসিংহ অফিস: হাসনাইন প্লাজা (দ্বিতীয় তলা), ৭ মদন বাবু রোড, ময়মনসিংহ-২২০০
সেলফোন: ০৯৬১১-৬৪৫২১৫, ০৯৬৯৭-৪৯৭০৯০
ই-মেইল: jagrota2041@gmail.com
ফোন :
ইমেইল :