০৫ জুলাই ২০২০, ১৮:৫১ মিঃ
বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেছেন, বঙ্গীয় ব-দ্বীপে হাজার বছর ধরেই নদী ভাঙন এক অনিবার্য বাস্তবতা। বর্ষা মৌসুমের শুরুতে ও শেষে বাংলাদেশের বিভিন্ন জনপদ ভাঙনের মুখে পড়ে। ফলে হাজার হাজার মানুষ গৃহহীন হয়ে পরে।
তিনি বলেন, বন্যা, নদী ভাঙন আমাদের নদী পরিবেষ্টিত এই দেশে মোটেও নতুন নয়। কিন্তু নদী ভাঙন রোধ, এবং বন্যা নিয়ন্ত্রণে আনতে এখনও আমাদের সরকার সেভাবে সক্ষমতা দেখাতে পারেনি। ফলে প্রতিবছরই আমাদের বন্যায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বেড়েই চলেছে।
রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগ আয়োজিত মানববন্ধনে সংহতি প্রকাশ করে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে যে নদী ভাঙন, তা নিছক প্রাকৃতিক প্রতিক্রিয়া নয়। দীর্ঘ অবহেলা ও পরিকল্পনাহীনতা কিংবা উন্নয়নের ভ্রান্ত মডেলই আমাদের গ্রাম ও শহরগুলোকে নদীর করাল গ্রাসের কাছে বিপন্ন করে তুলেছে। নদীকে বশে রাখতে হলে একদিকে যেমন পাড় বাঁধতে হয়, অন্যদিকে প্রয়োজন হয় প্রবাহ যাতে মাঝনদী বরাবর থাকে, প্রবাহের জন্য যাতে পর্যাপ্ত গভীরতা থাকে, সেই ব্যবস্থা করা। দুর্ভাগ্যবশত, বাংলাদেশে নদী শাসনের কাজ বরাবরই ‘একচোখা'। পাড় বাঁধার দিকে যতটা মনোযোগ দেওয়া হয়, প্রবাহকে মাঝনদীতে ফিরিয়ে দেয়ার ব্যাপারে তার সিকিভাগও নয়।
মানববন্ধনে বাংলাদেশ জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগের সভাপতি এম এ জলিলের সভাপতিত্বে সংহতি প্রকাশ করে আরও বক্তব্য রাখেন ন্যাপ ভাসানীর চেয়ারম্যান মোসতাক আহমেদ, বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ আ হ ম মোস্তফা কামাল, বাংলাদেশ জাতীয় স্বাধীনতা পার্টির চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিজু, বাংলাদেশ জাসদ নেতা হুমায়ুন কবির, নবাব তাহের উল্লাহ ও নারী নেত্রী এলিজা রহমান।
সর্বস্বত্ব: এমআরএল মিডিয়া লিমিটেড
ঢাকা অফিস: মডার্ণ ম্যানসন (১৫ তলা), ৫৩ মতিঝিল বাণিজ্যিক এলাকা, ঢাকা-১০০০
ময়মনসিংহ অফিস: হাসনাইন প্লাজা (দ্বিতীয় তলা), ৭ মদন বাবু রোড, ময়মনসিংহ-২২০০
সেলফোন: ০৯৬১১-৬৪৫২১৫, ০৯৬৯৭-৪৯৭০৯০
ই-মেইল: jagrota2041@gmail.com
ফোন :
ইমেইল :