০৬ জুলাই ২০২০, ১০:৩৩ মিঃ
পাকিস্তান ক্রিকেটে এখন চলছে নতুন বিতর্ক। বিষ্ফোরক এক দাবি করেছেন দেশটির সাবেক ব্যাটিং কোচ গ্র্যান্ট ফ্লাওয়ার। বলেছেন একবার নাশতার টেবিলে বসে তার গলায় ছুরি ধরেছিলেন পাকিস্তানের তারকা ব্যাটসম্যান ইউনিস খান। এটি যে সত্যি সে বিষয়টিও নিশ্চিত করেছেন পিসিবির এক কর্মকর্তা।
এই ইস্যুতে নতুন তথ্য হলো, ইউনিস-গ্র্যান্ট ফ্লাওয়ারের এই ‘গলা ছুরি ধরা’ কাণ্ডের পেছনে থাকতে পারে ভারতের সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ আজহারউদ্দিন। ভারতের এই তারকা ব্যাটসম্যানের কারণে ইউনিস ও ফ্লাওয়ারের মধ্যে দ্বন্দ্ব লেগে থাকতে পারে- এমনটাই মনে করছেন পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক রশিদ লতিফ।
ইউনিসের বিরুদ্ধে গলায় ছুরি ধরার অভিযোগ এনে ফ্লাওয়ার বলেছিলেন, ‘ব্রিসবেনে একটি টেস্টের কথা আমার মনে আছে। সেই ম্যাচ চলার সময় সকালের নাস্তায় তাকে কিছু ব্যাটিং পরামর্শ দেয়ার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু তিনি আমার সেই পরামর্শ ভালোভাবে নেননি। এক পর্যায়ে আমার গলায় ছুরি ধরে বসে, মিকি আর্থার আমার পাশেই ছিলেন। শেষপর্যন্ত তাকে এই ঘটনায় মধ্যস্থতা করতে হয়েছে।’
এই ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে পিসিবির এক কর্মকর্তা বলেছেন, ‘ঘটনাটা তেমন গুরুতর কিছু ছিল না। ২০১৬ সালের অস্ট্রেলিয়া সফরে একদিন ব্রিসবেনে সকালে নাশতার টেবিলের বন্ধুত্বপূর্ণ মজা হয়েছিল শুধু। তবে গ্র্যান্ট ফ্লাওয়ার যেভাবে বলছে, তার পুরোটা সত্য নয়। ইউনিস তার দিকে ছুরি উঠিয়ে নাচাচ্ছিল এবং বলছিল যে, খাবার টেবিলের বসে কোন পরামর্শ না দেয় যেন।’
পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক রশিদ লতিফও উড়িয়ে দিচ্ছেন না গলায় ছুরি ধরার সম্ভাবনা। তিনি বরং নিয়ে এসেছেন নতুন আরেকটি নাম। ২০১৬ সালে পাকিস্তানের সবচেয়ে বয়জেষ্ঠ্য খেলোয়াড় হিসেবে ডাবল সেঞ্চুরি করার পর ফ্লাওয়ারকে কৃতিত্ব না দিয়ে, আজহারউদ্দিনের নাম নিয়েছিলেন ইউনিস। এটিই হতে পারে তাদের দ্বন্দ্বের কারণ, এমনটাই বলেছেন রশিদ।
কট বিহাইন্ড নামক ইউটিউব শোতে রশিদ বলেন, ‘আমরা জানি না ড্রেসিংরুমের ভেতরে কী হয়। তবে আজহারউদ্দিন এখানে একটা কারণ হতে। ২০১৬ সালে ওভালে ডাবল সেঞ্চুরি করেছিল ইউনিস। তখন সে ব্যাটিং কোচ গ্র্যান্ট ফ্লাওয়ারের নাম নেয়নি। বরং বলেছিল যে, আমি ছন্দ খুঁজে পাচ্ছিলাম না, তাই আজহারউদ্দিনের সঙ্গে কথা বলেছিলাম।’
এটিকেই বড় কারণ হিসেবে উল্লেখ করে রশিদ বলেন, ‘খেলোয়াড়রা কোচের বদলে অন্য কাউকে কৃতিত্ব দিলে সেটা বড় একটা ইস্যু হয়ে যায়। নিশ্চিতভাবেই ফ্লাওয়ার তার দায়িত্বকালে পাকিস্তানকে অনেক সাহায্য করেছে, অনেক কাজ করেছে। তবে আমি মনে করি সেই আজহারউদ্দিন ফ্যাক্টরটা তার মাথায় থেকে গিয়েছিল। যে কারণে এ বিষয়েই হয়তো ইউনিসকে কিছু বলেছিল।’
সর্বস্বত্ব: এমআরএল মিডিয়া লিমিটেড
ঢাকা অফিস: মডার্ণ ম্যানসন (১৫ তলা), ৫৩ মতিঝিল বাণিজ্যিক এলাকা, ঢাকা-১০০০
ময়মনসিংহ অফিস: হাসনাইন প্লাজা (দ্বিতীয় তলা), ৭ মদন বাবু রোড, ময়মনসিংহ-২২০০
সেলফোন: ০৯৬১১-৬৪৫২১৫, ০৯৬৯৭-৪৯৭০৯০
ই-মেইল: jagrota2041@gmail.com
ফোন :
ইমেইল :