১০ জুলাই ২০২০, ১২:২৫ মিঃ
বর্তমানে চলমান বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনের বিষয়ে ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি সরব ওয়েস্ট ইন্ডিজের খেলোয়াড়রা। সাবেক অধিনায়ক ড্যারেন স্যামি থেকে শুরু করে ক্রিস গেইল, বর্তমান অধিনায়ক জেসন হোল্ডারসহ কিংবদন্তি পেসার মাইকেল হোল্ডিং পর্যন্ত নিজেদের শক্ত অবস্থানের কথা জানান দিচ্ছেন বারবার।
কিন্তু নিজের জীবনে পাওয়া বর্ণবৈষম্যমূলক আচরণের কথা মনে পড়তেই আর শক্ত থাকতে পারলেন না হোল্ডিং। এ ক্যারিবীয় কিংবদন্তি তার শৈশবের কথা, বাবা-মায়ের ওপর হওয়া বর্ণবাদী আচরণের কথা বলতে গিয়ে লাইভ অনুষ্ঠানেই কান্নায় ভেঙে পড়েছেন।
বৃহস্পতিবার ইংল্যান্ড-ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যকার প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় দিনে ‘ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার’ আন্দোলনের বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে যান হোল্ডিং। অনুষ্ঠানের সঞ্চালক তাকে সময় নিয়েই বলতে বলেন। তবু নিজেকে সামাল দিতে পারছিলেন না হোল্ডিং।
স্কাই নিউজের মার্ক অস্টিনকে দেয়া সেই সাক্ষাৎকারে ক্যারিবীয় কিংবদন্তি বলেছেন, ‘আমি আমার বাবা-মায়ের ব্যাপারে যখন কথা বলি, তখন আবেগপ্রবণ হয়ে যাই। এখনও তেমনটাই হচ্ছে। মার্ক (সঞ্চালক) আমি জানি, আমার বাবা-মা কোন অবস্থার মধ্য দিয়ে গেছে। আমার বাবা কালো ছিলেন বলে মায়ের সঙ্গে তার বাবার বাড়ির কেউ কথা বলতো না।’
এটুকু বলে কান্নায় ভেঙে পড়েন হোল্ডিং। মার্ক অস্টিন চেষ্টা করেন হোল্ডিংকে স্বাভাবিক করতে। কিন্তু আবেগাক্রান্ত হোল্ডিং যেন নিজেকে সামাল দিতেই পারছিলেন না। তবু বাকি কথা শেষ করেন হোল্ডিং।
চোখ মুছতে মুছতে তিনি বলেন, ‘আমি জানি তারা কিসের মধ্য দিয়ে গেছেন এবং এ জিনিসটা আমার ওপরেও এসেছে। আমি জানি এটা ধীর প্রক্রিয়া। তবুও আমি আশাবাদী যে সবকিছু সঠিক পথে ফিরবে। হোক সেটা শামুকের গতিতে, তাও আমার সমস্যা নেই।’
এর আগে বুধবার স্কাই স্পোর্টসেরই আরেক অনুষ্ঠানে বর্ণবাদের ইতিহাস নিয়ে বিশদ আলোচনা করেছিলেন হোল্ডিং। যেখানে তিনি মূল দায়ী করেন ভুলে ভরা শিক্ষা এবং দুর্বল সমাজব্যবস্থাকে। তার মতে সঠিক শিক্ষা না দেয়া হলে এই অবস্থার কখনও উন্নতি ঘটবে না।
এর আগে বুধবার স্কাই স্পোর্টসেরই আরেক
সর্বস্বত্ব: এমআরএল মিডিয়া লিমিটেড
ঢাকা অফিস: মডার্ণ ম্যানসন (১৫ তলা), ৫৩ মতিঝিল বাণিজ্যিক এলাকা, ঢাকা-১০০০
ময়মনসিংহ অফিস: হাসনাইন প্লাজা (দ্বিতীয় তলা), ৭ মদন বাবু রোড, ময়মনসিংহ-২২০০
সেলফোন: ০৯৬১১-৬৪৫২১৫, ০৯৬৯৭-৪৯৭০৯০
ই-মেইল: jagrota2041@gmail.com
ফোন :
ইমেইল :