২০ জুলাই ২০২০, ০০:০৭ মিঃ
এক সপ্তাহের টানা বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে শেরপুরের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। শনিবার (১৮ জুলাই) মধ্যরাত থেকে শেরপুরের ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপৎসীমার দুই সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন গ্রাম। এরই মধ্যে জেলায় ৫০ গ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি রয়েছেন প্রায় ২০ হাজার মানুষ। পানির তোড়ে শেরপুর-জামালপুর মহাসড়ক ডুবে যাওয়ায় উত্তরাঞ্চলের সঙ্গে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এছাড়া বন্যায় তলিয়ে গেছে কৃষকের রোপা আমনের বীজতলা ও সবজিক্ষেত।
জানা গেছে, বন্যার পানির তোড়ে শেরপুর-জামালপুর মহাসড়কের পোড়ার দোকান ডাইভারশনের বেইলি সেতুর দক্ষিণ পাশের মাটি ধসে যাওয়ায় তিনদিন ধরে জামালপুরসহ উত্তরাঞ্চলের সঙ্গে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে বিকল্প রাস্তা হিসেবে বলায়ের চরের ভেতর দিয়ে ছোট যানবাহন চালাচল করলেও বন্ধ রয়েছে বড় যান চলাচল। রোববার (১৯ জুলাই) সকাল থেকে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপৎসীমার দুই সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
ব্রহ্মপুত্রের পানি বৃদ্ধির ফলে শেরপুর সদরের সাত ইউনিয়ন, পৌরসভার একাংশ ও নকলা উপজেলার দুই ইউনিয়নের নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। বন্যায় এখন পর্যন্ত ৫০টি গ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি রয়েছেন প্রায় ২০ হাজার মানুষ। তাদের এখন নৌকা কিংবা কলার ভেলায় যাতায়াত করতে হয়। বাড়িঘরে বন্যার পানি প্রবেশ করায় চরপক্ষিমারী ইউনিয়নের কুলুরচর-বেপারিপাড়াসহ আশপাশের এলাকার বন্যাকবলিতরা গবাদি পশু নিয়ে পাশের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আশ্রয় নিয়েছেন।
তাদের অভিযোগ, বিদ্যালয়ে আশ্রয় নিলেও শুকনা খাবার, বিশুদ্ধ পানি ও গো-খাদ্যের সঙ্কট রয়েছে। ওসব এলাকার বাসিন্দারা এক সপ্তাহ ধরে পানিবন্দি অবস্থায় থাকলেও এখন পর্যন্ত ত্রাণ সহায়তা পাননি।
কামারের চর ইউনিয়নের ৬ নম্বর চরের বাসিন্দা আফজল মিয়া, রবিউল মিয়া ও লাল মিয়াসহ অনেকেই বলেন, ‘আমরা খুব বিপদে আছি। আমাদের এলাকায় এখনও সরকারি কোনো ত্রাণ আসেনি। আমাদের ঘরে পানি উঠে গেছে। আমরা ঘর থেকে বের হতে পারছি না। ঘরের শুকনা খাবার খেয়ে বেঁচে আছি। রান্না করতে পারছি না।
জেলা খামারবাড়ির উপপরিচালক মোহিত কুমার দে বলেন, এবারের বন্যায় জেলায় ৩৩৮ হেক্টর জমির বীজতলা ও ৪৬ হেক্টর জমির সবজির ক্ষেত পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে। যদি তিন-চারদিনের মধ্যে পানি না নামে তাহলে বড় ধরনের ক্ষতি হবে কৃষকদের। দ্রুত পানি নেমে গেলে বড় ধরনের ক্ষতি হবে না।
শেরপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ওয়ালীউল হাসান বলেন, এখন পর্যন্ত শেরপুর জেলায় বন্যাকবলিতদের জন্য নগদ আড়াই লাখ টাকা ও ১৫০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ করা হয়েছে। যা পর্যায়ক্রমে দেয়া হবে।
সর্বস্বত্ব: এমআরএল মিডিয়া লিমিটেড
ঢাকা অফিস: মডার্ণ ম্যানসন (১৫ তলা), ৫৩ মতিঝিল বাণিজ্যিক এলাকা, ঢাকা-১০০০
ময়মনসিংহ অফিস: হাসনাইন প্লাজা (দ্বিতীয় তলা), ৭ মদন বাবু রোড, ময়মনসিংহ-২২০০
সেলফোন: ০৯৬১১-৬৪৫২১৫, ০৯৬৯৭-৪৯৭০৯০
ই-মেইল: jagrota2041@gmail.com
ফোন :
ইমেইল :