২৬ জুলাই ২০২০, ২০:০৫ মিঃ
রহস্যময় পৃথিবীর অনেক রহস্য প্রতিনিয়ত আবিষ্কার হচ্ছে। এই রহস্যময় স্থান সম্পর্কে থাকে অনেকের কৌতূল রয়েছে। দেখুন এমন এক রহস্যময় চোখ ধাধানো গুহার ছবি।
পৃথিবীর বুকে বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে রয়েছে রহস্যময় গুহা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও লেচুগুইলা গুহা তাদের মধ্যে অন্যতম।
এটি লম্বায় বিশ্বে অষ্টম ও দ্বিতীয় গভীরতম গুহা। লম্বায় এর দৈর্ঘ্য প্রায় ২২২ কিলোমিটার। প্রায় ৫০০ মিটার গভীর এটি।
১৯৮৬ পর্যন্ত গুহার কথা অজানা ছিল মানুষের কাছে। গুরুত্বহীন এলাকা হিসাবে পড়ে ছিল সেটি। সে বছর এক অভিযাত্রী দল পৌঁছয় সেখানে। তারাই এর নামকরণ করেন লেচুগুইলা।
তারপর গুহার ভিতর যাওয়ার রাস্তা তৈরির কাজ শুরু হয়। প্রথম দিকে কেউই এর আকার সম্পর্কে ধারণা করতে পারেননি। কিন্তু এর ভিতর যত ঢোকা গেল, ততই এর রহস্য উন্মোচিত হতে লাগল।
এখনও অবধি প্রায় ২২২ কিলোমিটার গুহাপথ আবিস্কৃত হয়েছে। তবে এই বিশাল আকারই গুহার সবথেকে বড় রহস্য নয়।
এই গুহার ভিতরের দেয়ালে আপনা থেকে তৈরি হওয়া নির্মাণশৈলী বিস্ময় তৈরি করেছে গবেষকদের মধ্যে।
বিভিন্ন রকম নকশার ক্রিস্টালে মোড়া রয়েছে এই গুহার ভিতর। এর কোনোটা দেখতে বিশালাকার ফুলের মতো, তো কোনোটা প্রাসাদের থামের মতো।
এই ক্রিস্টালগুলো তৈরি হয়েছে জিপসাম থেকে। জিপসাম একটি খনিজ লবন যা চুনাপাথর থেকে তৈরি হয়।
গুহাতে জিপসামের সজ্জা মাইলের পর মাইল বিস্তৃৃত রয়েছে। গুহার মধ্যে কীভাবে তৈরি হল এই জিপসামের ক্রিস্টাল?
পৃথিবীর বেশির ভাগ গুহা বৃষ্টির জলে ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে। কিন্তু লেচুগুইলা গুহার পাথরের ক্ষয় হয়েছে মূলত সালফিউরিক অ্যাসিড দ্বারা।
সালফিউরিক অ্যাসিড চুনাপাথরে দ্রবীভূত হয়ে তৈরি হয় জিপসাম। সেই জিপসামই প্রাকৃতিকভাবে সজ্জিত তৈরি হয়েছে এই চোখ ধাঁধানো ক্রিস্টালগুলো।
এই গুহার ভিতরে আপনা থেকেই তৈরি হয়েছে একটি কক্ষ। যার নাম দেওয়া হয়েছে শ্যান্ডেলিয়ার বলরুম। সেখানকার জিপসাম পিলারগুলোর দৈর্ঘ্য ২০ ফুটেরও বেশি।
এভাবেই সূর্যের আলো ঢুকতে না পারা গুহার ভিতরের সৌন্দর্য পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণের কেন্দ্র।
সর্বস্বত্ব: এমআরএল মিডিয়া লিমিটেড
ঢাকা অফিস: মডার্ণ ম্যানসন (১৫ তলা), ৫৩ মতিঝিল বাণিজ্যিক এলাকা, ঢাকা-১০০০
ময়মনসিংহ অফিস: হাসনাইন প্লাজা (দ্বিতীয় তলা), ৭ মদন বাবু রোড, ময়মনসিংহ-২২০০
সেলফোন: ০৯৬১১-৬৪৫২১৫, ০৯৬৯৭-৪৯৭০৯০
ই-মেইল: jagrota2041@gmail.com
ফোন :
ইমেইল :