বিশ্বকাপের পর কাতারের চোখ এখন অলিম্পিকে
প্রকাশ :
২০২২ বিশ্বকাপ ফুটবলের আয়োজক মধ্যপ্রাচ্যের ছোট্ট অথচ পেট্রোডলারে ফুলে-ফেঁপে ওঠা কাতার। দেশটির বিশ্বকাপের আয়োজক হওয়া নিয়ে যদিও অনেক বিতর্ক রয়েছে এবং কাতারকে বিশ্বকাপের আয়োজক নির্ধারণ করা তৎকালীন ফিফা সভাপতি সেফ ব্ল্যাটার এখন বহিষ্কৃত।
শুধু আয়োজক নির্ধারণের প্রক্রিয়া নিয়ে বিতর্কই নয়, কাতারের উত্তপ্ত আবহাওয়া নিয়েও তুমুল সমালোচনা রয়েছে। যে কারণে ঐতিহ্য ভেঙে ২০২২ বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হবে নভেম্বর-ডিসেম্বরে, শীতকালে।
এবার সেই কাতার পরিকল্পনা করছে অলিম্পিক গেমস আয়োজন করার। সোমবার ২০৩২ সালের অলিম্পিক গেমস আয়োজন করার দৌড়ে অংশ নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের তেল সমৃদ্ধ দেশটি।
কিন্তু মধ্য গ্রীষ্মে কাতারের উত্ত্প্ত আবহাওয়া এবং দর্শক উপস্থিতির আগেরঅভিজ্ঞতা বেশ ভাবিয়ে তুলছে দেশটির কর্তৃপক্ষকে। যদিও এসব কিছু মাথায় রেখেই অলিম্পিক আয়োজনের দৌড়ে নিজেদের সামিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কাতার অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তারা।
২০৩২ অলিম্পিক আয়োজনের দৌড়ে শুধু কাতারই নয়, যোগ দিচ্ছে ভারত, অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ড রাজ্য, চীনের সাংহাই এবং সম্ভবত যৌথভাবে উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়া।
২০১৪ সালে অলিম্পিকের আয়োজক নির্ধারণের প্রক্রিয়ায় পরিবর্তন আনা হয়েছিল। সেই পরিবর্তনের আলোকেই আগ্রহী দেশগুলোকে আবেদন জমা দিয়ে ‘কন্টিনিউয়াস ডায়ালগ’-এ অংশ নিতে হয়। কাতার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তারা এই প্রক্রিয়ায় অংশ নেবে এবং এ জন্য তারা লুজানে ইন্টারন্যাশনাল অলিম্পিক কমিটির (আইওসি) কাছে একটি আবেদন পত্র পাঠাবে।
কাতার অলিম্পিক কমিটির প্রেসিডেন্ট শেখ জোয়ান বিন হামাদ বিন খলিফা আল থানি এএফপিকে বলেন, ‘আজকের (সোমবার) এই ঘোষণা আইওসির ফিউচার হোস্ট কমিশনের সঙ্গে একটি অর্থপূর্ণ আলোচনায় অংশ নেয়ার সূচনা। এর মাধ্যমে আমরা আমাদের আগ্রহকে আরও সম্প্রসারিত করতে পারবো। একই সঙ্গে কিভাবে অলিম্পিক গেমস কাতারের উন্নয়নে ভুমিকা রাখতে পারে, এ বিষয়টাও স্পষ্ট হবে।’
এর আগে কাতার ২০১৬ সালের এবং ২০২০ সালের অলিম্পিক আয়োজন করার জন্য নিলামে অংশ নিয়েছিল। কিন্তু দু’বারই ব্যর্থ হয় তারা।