2024-04-17 01:56:19 am

শনির হাওর হতে পারে পর্যটন স্থান

www.focusbd24.com

শনির হাওর হতে পারে পর্যটন স্থান

০১ সেপ্টেম্বার ২০২০, ১৩:৩৬ মিঃ

শনির হাওর হতে পারে পর্যটন স্থান

নদীমাতৃক আমাদের দেশ। দেশে হাওরের সংখ্যাও কম নয়। বর্ষা এলেই স্থানীয়ভাবে বিভিন্ন হাওর একেকটা ভ্রমণকেন্দ্র হয়ে ওঠে। তেমনই শনির হাওর বৃহত্তর সিলেটের সুনামগঞ্জ জেলায় অবস্থিত একটি হাওর। দেশের অন্যান্য হাওরের মতো শনির হাওরটিও পর্যটকদের জন্য ভ্রমণ স্থান হতে পারে। স্থানীয় প্রশাসন উদ্যোগ নিলেই কর্মসংস্থানেরও ব্যবস্থা হতে পারে।

অবস্থান: শনির হাওরটি সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর উপজেলার দক্ষিণে অবস্থিত। বিশ্বম্ভরপুর, তাহিরপুর ও জামালগঞ্জ উপজেলা নিয়ে শনির হাওরটির অবস্থান। এর মোট আয়তন ৬৬৩৮ হেক্টর।

পরিচিতি: শনির হাওরের চারদিকে প্রায় ৬০টি গ্রাম আছে। হাওরটির পূর্বে রক্তিনদী ও উত্তর-পশ্চিম দিকে বৌলাই নদী। হাওরের প্রায় ৪০ ভাগ উঁচু জমি সেচের অভাবে অনাবাদী পড়ে থাকে।

jagonews24

বৈশিষ্ট্য: শনির হাওরে ১১টি বিল আছে। বিলগুলো হলো- সোনাতলা বিল, বড় বিল, সেফটি বিল, রামচন্না বিল, ফেলবাঙ্গা বিল, কালির ঘেউ বিল, দিঘাফছমা বিল, দাওয়া বিল, টুলিবাড়ি বিল, তিন বিল ও আরাবাদি বিল। বর্ষায় বিলগুলো পানিতে টইটুম্বুর থাকে। এসময় নৌকা নিয়ে ঘুরে ঘুরে সময় কাটানো যায়।

সম্পদ: শনির হাওরে দেশীয় প্রায় ২০০ প্রজাতির মাছ পাওয়া যায়। বিখ্যাত মাছের মধ্যে প্রথমেই উল্লেখ করা যায় মহাশোলের কথা। হাওরে বর্তমানে শুধু বোরো ধান চাষ হয়। তবে একসময় এ হাওরে গোল আলু, মিষ্টি আলু, সরিষা, গম ও পাট চাষ হতো।

হাওরে শীত মৌসুম: হাওরের পানি শুকিয়ে গেলে প্রায় ২৪টি বিলের পাড় (কান্দা) জেগে ওঠে। তখন শুধু কান্দার ভেতরের অংশেই আদি বিল থাকে। আর শুকিয়ে যাওয়া অংশে স্থানীয়রা রবিশস্য ও বোরো ধান চাষ করেন। এ সময় এলাকাটি গোচারণ ভূমি হিসেবেও ব্যবহৃত হয়।

jagonews24

হাওরে বর্ষা: বর্ষায় অথৈ পানিতে নিমগ্ন হাওরের জেগে থাকা উঁচু কান্দাগুলোতে আশ্রয় নেয় পরিযায়ী পাখি। তারা রোদ পোহায়, জিরিয়ে নেয়। কান্দাগুলো এখন আর দেখা যায় না বলে স্থানীয় এনজিও ও সরকারি ব্যবস্থাপনায় সেখানে পুঁতে দেওয়া হয়েছে বাঁশ বা কাঠের ছোট ছোট বিশ্রাম-দণ্ড।

স্থানীয় প্রশাসন উদ্যোগ নিলে সেখানে গড়ে উঠতে পারে পর্যটনকেন্দ্র। দূর-দূরান্ত থেকে আসবেন পর্যটকরা। দেশের অন্যান্য হাওরের মতো উৎসবমুখর পরিবেশ হতে পারে শনির হাওরেও। এ জন্য দরকার অবকাঠামোগত কিছু উন্নয়ন। প্রস্তুত রাখতে হবে ইঞ্জিন চালিক নৌকা বা ট্রলার।


উপদেষ্টা সম্পাদক: ডি. মজুমদার
সম্পাদক: মীর আক্তারুজ্জামান

সর্বস্বত্ব: এমআরএল মিডিয়া লিমিটেড
ঢাকা অফিস: মডার্ণ ম্যানসন (১৫ তলা), ৫৩ মতিঝিল বাণিজ্যিক এলাকা, ঢাকা-১০০০
ময়মনসিংহ অফিস: হাসনাইন প্লাজা (দ্বিতীয় তলা), ৭ মদন বাবু রোড, ময়মনসিংহ-২২০০
সেলফোন: ০৯৬১১-৬৪৫২১৫, ০৯৬৯৭-৪৯৭০৯০ ই-মেইল: jagrota2041@gmail.com
ফোন :
ইমেইল :