২৪ সেপ্টেম্বার ২০২০, ২২:৩২ মিঃ
ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার না হওয়ায় টানা ১১ দিন ধরে বেনাপোল বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ। ফলে বেনাপোল বন্দরে প্রবেশের অপেক্ষায় ভারতের পেট্রাপোল বন্দর এলাকায় বিভিন্ন বেসরকারি পার্কিং আর সড়কে বেশকিছু পেঁয়াজবোঝাই ট্রাক এখনও দাঁড়িয়ে আছে। এসব পেঁয়াজের বেশির ভাগ পচে নষ্ট হয়ে গেছে। দ্রুত এসব ট্রাক ছাড় করাতে না পারলে আবারও নতুন করে ক্ষতির মুখে পড়বেন বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা।
এদিকে বাংলাদেশি আমদানিকারকরা তাদের ভারতীয় রফতানিকারক প্রতিনিধিদের মাধ্যমে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে পুরোনো এলসির আটকেপড়া পেঁয়াজ ছাড়করণে বার বার আবেদন জানালেও এখন পর্যন্ত কোনো সাড়া মেলেনি। ফলে বাংলাদেশে পেঁয়াজ আমদানি অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
বেনাপোল আমদানি-রফতানি সমিতির সহ-সভাপতি আমিনুল হক আনু জানান, তারা ভারতীয় ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে পেঁয়াজ রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের আবেদন জানিয়েছিলেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। ফলে এ পথে আমদানি অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
বেনাপোল বন্দরের উপ-পরিচালক (ট্রাফিক) মামুন কবীর তরফদার জানান, কোনো পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই সঙ্কট দেখিয়ে গত ১৪ সেপ্টেম্বর থেকে বাংলাদেশে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দিয়েছে ভারত। এ পর্যন্ত কোনো পেঁয়াজের ট্রাক দেয়নি ভারত। দেবে কি-না তাও নিশ্চিত জানাতে পারেনি।
এ পথে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ থাকলেও বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দরের মধ্যে অন্যান্য পণ্যের আমদানি-রফতানি বাণিজ্য স্বাভাবিক রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১৪ থেকে ২৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ১০ দিনে ভারত থেকে আমদানি হয়েছে দুই হাজার ৫৪৪ ট্রাক বিভিন্ন ধরনের পণ্য। এসব পণ্যের মধ্যে কোনো পেঁয়াজের ট্রাক ছিল না। একই সময়ে ভারতে এক হাজার ২৭ ট্রাক বাংলাদেশি পণ্য রফতানি হয়েছে। এসব রফতানি পণ্যের মধ্যে ৬৭ ট্রাক পদ্মার ইলিশ ছিল।
সর্বস্বত্ব: এমআরএল মিডিয়া লিমিটেড
ঢাকা অফিস: মডার্ণ ম্যানসন (১৫ তলা), ৫৩ মতিঝিল বাণিজ্যিক এলাকা, ঢাকা-১০০০
ময়মনসিংহ অফিস: হাসনাইন প্লাজা (দ্বিতীয় তলা), ৭ মদন বাবু রোড, ময়মনসিংহ-২২০০
সেলফোন: ০৯৬১১-৬৪৫২১৫, ০৯৬৯৭-৪৯৭০৯০
ই-মেইল: jagrota2041@gmail.com
ফোন :
ইমেইল :