, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ অনলাইন সংস্করণ

‘বিশ্বকাপ খেলার স্বপ্ন তো থাকতেই হবে’

  স্পোর্টস ডেস্ক

  প্রকাশ : 

‘বিশ্বকাপ খেলার স্বপ্ন তো থাকতেই হবে’

দ্বিতীয়বার বাংলাদেশ ফুটবলের সভাপতি নির্বাচিত হয়ে কাজী মো. সালাউদ্দিন ২০২২ সালে কাতার বিশ্বকাপে খেলার লক্ষ্যের কথা বলেছিলেন। ঘোষণাটি সাবেক এ তারকা ফুটবলারকে ফেলেছিল তীব্র সমালোচনার মুখে। বাংলাদেশ যেখানে দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবল সাফ চ্যাম্পিয়নশিপেরই গ্রুপ পর্ব টপকাতে পারে না, সেখানে বিশ্বকাপ কি করে খেলবে?

চতুর্থবার সভাপতি পদে প্রার্থী হয়ে কাজী সালাউদ্দিন বিশ্বকাপ খেলার লক্ষ্য বাদ দিয়ে ফিফা র্যাংকিংয়ে বাংলাদেশকে ১৫০ এর কাছাকাছি ওঠানোর কথা বলেছেন। নির্বাচনী ইশতেহারে তিনি জাতীয় দলের পারফরম্যান্স বৃদ্ধি করে র্যাংকিংয়ে উন্নতির কথা বলেছেন।

তাহলে কি বাংলাদেশ বিশ্বকাপ খেলার স্বপ্ন বাদ দিয়েছে? লক্ষ্য নির্ধারণ করলেই সেটা কবে নাগাদ? কাজী মো. সালাউদ্দিনের নেতৃত্বাধীন সম্মিলিত পরিষদের সহসভাপতি প্রার্থী তমা গ্রুপের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিক মঙ্গলবার বলেছেন, ‘বিশ্বকাপ খেলার স্বপ্ন তো থাকতেই হবে।’

নিজ ব্যবসায়িক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, ‘আমাদের তো বিশ্বকাপ খেলার স্বপ্ন থাকতেই হবে। সেটা কবে পূরণ হবে সেটা সময়ই বলে দেবে। নির্ধারিত কোনো বছরকে লক্ষ্য করে নয়, এক সময় বিশ্বকাপ খেলবো- সে স্বপ্ন ও লক্ষ্য নিয়েই এগুতে হবে।’

জাপানের উদাহরণ টেনে ফুটবলের নতুন মুখ মানিক বলেন, ‘দেশটি সাধারণত বিদেশিদের নাগরিকত্ব দেয় না। কিন্তু অনেক আগে থেকে বিশ্বকাপ খেলার লক্ষ্য নির্ধারণ করে ব্রাজিলিয়ান কোচ ও ফুটবলারদের নাগরিকত্ব দিয়েছিল। তাদের বিশ্বকাপ খেলার স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। দেশটি এখন প্রায় নিয়মিতই বিশ্বকাপ খেলে। তাই আমাদেরর স্বপ্ন থাকতে হবে। ৫ বছর, ১০ বছর নাকি ২৫ বছর পর স্বপ্ন পূরণ হবে সেটা বড় কথা নয়। স্বপ্ন পূরণের জন্য কাজ করে যেতে হবে। পরিকল্পনা করে ফুটবলের অবকাঠামো তৈরি করতে হবে, ফুটবলার তৈরি করতে হবে।’

বাফুফের সহসভাপতি নির্বাচিত হলে নিজের পরিকল্পনা কি হবে সে বিষয় নিয়েই সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করেছিলেন এবার আরামবাগ ফুটবল একাডেমির কাউন্সিলর হওয়া আতাউর রহমান মানিক। ফুটবল অঙ্গনে অপরিচিত হলেও নিজেকে ক্রীড়াপাগল হিসেবে উল্লেখ করে মানিক বলেছেন, ‘ফুটবল আমার অস্থিমজ্জায় মিশে আছে। দেশের ফুটবল উন্নয়নে সব সময় কাজ করেছি। ফুটবল ফেডারেশনের বাইরে থেকে জাতীয় মহিলা দল, আরামবাগ ফুটবল একাডেমিসহ ফুটবলের নানা উন্নয়নমূলক কাজে আমার প্রতিষ্ঠান সম্পৃক্ত আছে। যে কারণে এবার কাজী মো. সালাউদ্দিনের নেত্বতাধনীন সম্মিলিত পরিষদে সহসভাপতি প্রার্থী হয়েছি।’

নির্বাচিত হলে দেশের ফুটবল উন্নয়নে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের আর্থিক সংকট দূর করার চেষ্টা করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। ফুটবলারদের জন্য অত্যাধুনিক জিম, ফুটবলারদের প্রশিক্ষণ, অনুশীলনে উন্নত প্রযুক্তি ও সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করবেন বলেও অঙ্গীকার করেছেন আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিক।

  • সর্বশেষ - খেলাধুলা