তাসকিন-মোস্তাফিজদের ছন্দে দেখে অভিভূত ডোমিঙ্গো
প্রকাশ :

একটা সময় পেস আক্রমণটা দাঁড়িয়ে গিয়েছিল। মাশরাফি বিন মর্তুজা ছিলেন, রুবেল হোসেনের সঙ্গে ছিলেন তাসকিন আহমেদ-মোস্তাফিজুর রহমান। শফিউল ইসলাম, আল আমিন হোসেনরা দলে জায়গা পেতেই হিমশিম খেতেন। এমনই শক্তিশালী হয়ে গিয়েছিল টাইগারদের পেস আক্রমণ।
সেই দিন এখন অতীত। যে দুজনকে বাংলাদেশের পেস ভবিষ্যত ভাবা হচ্ছিল, সেই তাসকিন আর মোস্তাফিজ ক্রমেই ম্রিয়মান হতে লাগলেন। চোট আর অফফর্ম তাসকিনের দারুণ শুরুকে ভুলিয়ে দিতে সময় নেয়নি। মোস্তাফিজও বারকয়েক চোটে পড়ে নিজের কাটার, ইয়র্কার বেমালুম ভুলে গেলেন। পেস আক্রমণের এখন আর সেই শক্তি নেই।
আবু জায়েদ রাহি, এবাদত হোসেন, খালিদ আহমেদরা আসলেও কেউই এখন পর্যন্ত তারকা পেসার হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারেননি। সবমিলিয়ে তিন ফরমেটের দল সাজানো কঠিনই হয়ে পড়েছিল কোচদের জন্য।
তবে করোনা আর লকডাউনের দীর্ঘ বিরতিতে পেসাররা নিজেদের অনেকটাই ফিরে পেয়েছেন। নিজেদের মতো করে বিশ্রাম নিয়েছেন, প্রস্তুতি নিয়েছেন। নেটে তো বল হাতে রীতিমত আগুন ঝরাচ্ছেন তাসকিন, মোস্তাফিজরা।
সবমিলিয়ে দলের পেস আক্রমণ নিয়ে বেশ সন্তুষ্ট হেড কোচ রাসেল ডোমিঙ্গো। পেস আক্রমণ নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয়, একটি ফাস্ট বোলারের গ্রুপ গড়ে তোলাটা আমাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের দলে ইবাদত, রাহি, তাসকিন, মোস্তাফিজ, খালেদ আর আল আমিনে মতো পেসার আছে। সব ফরমেটে খেলানোর জন্য আমরা ৬-৭ পেসারের একটি দারুণ গ্রুপ গড়ে তুলেছি। আগামী কয়েক বছর ঘর এবং বাইরে তারা ভালো করতে পারে।’
আলাদা করে দলের দুই তারকা পেসার তাসকিন এবং মোস্তাফিজের কথাও বললেন ডোমিঙ্গো। তার কথা, ‘তাসকিন কঠোর পরিশ্রম করেছে, যা দেখে আমার খুব ভালো লাগছে। সে খুব ফিট হয়েই ফিরেছে। মোস্তাফিজ নতুন বলে ভালো ছন্দে আছে। দারুণ কিছু দেখা যাচ্ছে। আমরা রাহি আর এবাদতকে এখনও দেখিনি, তারা লকডাউনে আটকা পড়েছে। খালিদও খুব ভালো করছে। এছাড়া হাসান মাহমুদের সামনে উজ্জ্বল ভবিষ্যত বলেই আমি মনে করি।’
টাইগার কোচ যোগ করেন, ‘যদি আমাদের দলে এমন ফাস্ট বোলার থাকে, যারা দেশের বাইরে প্রতিপক্ষ ব্যাটসম্যানকে চাপে ফেলতে পারবে। তবে আমরা আরও অনেক বেশি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারব। এই মুহুর্তে আমার মনে হয় যে সব বোলার আমাদের আছে, আমরা সঠিক পথেই এগোচ্ছি।’