০৬ নভেম্বার ২০২০, ১৯:৪৩ মিঃ
মধ্য আমেরিকার দেশ গুয়াতেমালায় ঘূর্ণিঝড় ‘ইতা’র প্রভাবে ভারী বৃষ্টি ও হাওয়ায় সৃষ্ট ভূমিধসে কমপক্ষে ৫০ জন নিহত হয়েছেন। দেশটির প্রেসিডেন্ট আলেজান্দো জিয়ামাত্তেই জানিয়েছেন, এর মধ্যে একটি শহরেই অর্ধেক মানুষের প্রাণহানি হয়েছে। পাহাড়ের একটি অংশ ধসে শহরটির ২০টি বাড়ি মাটির নিচে চাপা পড়ে।
বিবিসি জানাচ্ছে, ‘ইতা’ নামক ঝড়টি হ্যারিকেনের শক্তি ধারণ করে মঙ্গলবার প্রতিবেশী নিকারাগুয়ার উপকূলে আঘাত হানলেও পরে তা দুর্বল হয়ে ক্রান্তীয় ঝড়ে পরিণত হয়। মঙ্গলবার তাৎক্ষণিক এক সংবাদ সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট আলেজান্দো বলেছেন, অর্ধেক দিনেই এক মাসের সমপরিমাণ বৃষ্টি হয়েছে ওইদিন।
বৃষ্টির কারণে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে পৌঁছাতে পারছেন না উদ্ধারকর্মীরা। এর মধ্যে সান কিস্টোবাল ভেরাপেজ শহরও রয়েছে। দেশটিতে ইতার আঘাতে যতজন মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন তার অর্ধেক এই শহরের বাসিন্দা। প্রেসিডেন্ট বলছেন, ‘উপায় না থাকায় পায়ে হেঁটে আমারা সেখানে পৌঁছানোর চেষ্টা করছি।’
বিবিসি জানাচ্ছে, ক্যাটাগরি ফোর হ্যারিকেন হিসেবে ইতা নামক এই ঘূর্ণিঝড়টি প্রথমে ২২৫ কিলোমিটার গতিতে নিকারাগুয়ার উপকূলে আঘাত হানে। এর প্রভাবে শুরু হয় মৌসুমী বৃষ্টি। এর পর শক্তি কমে প্রতিবেশী হন্ডুরাসে গিয়ে ঝড়টি ক্রান্তীয় নিম্নচাপে পরিণত হয়। পরে আবার শক্তি বাড়িয়ে আঘাত হানে গুয়াতেমালায়।
ইতার আঘাতে মধ্য আমেরিকা অঞ্চলজুড়ে ৭০ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। হ্যারিকেনটে আঘাত হানার আগে নিকারাগুয়ায় হাজার হাজার মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়। দেশটির উত্তর উপকূলে এক খনিতে ভূমিধসে সেখানকার দুই শ্রমিক নিহত হয়েছেন।
এদিকে প্রতিবেশী হন্ডুরাসের সান পেদ্রো সুলা শহরে বাড়ির দেয়াল ধসে বিছানায় পড়লে ১৩ বছর বয়সী ঘুমন্ত মেয়ের মৃত্যু হয়। সরকার বলছে, পানি বাড়তে থাকার মুখে বৃহস্পতিবার বাড়ির ছাদ থেকে আনুমানিক ৫০০ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া আরও অনেক মানুষ এখনও আটকা রয়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সর্বস্বত্ব: এমআরএল মিডিয়া লিমিটেড
ঢাকা অফিস: মডার্ণ ম্যানসন (১৫ তলা), ৫৩ মতিঝিল বাণিজ্যিক এলাকা, ঢাকা-১০০০
ময়মনসিংহ অফিস: হাসনাইন প্লাজা (দ্বিতীয় তলা), ৭ মদন বাবু রোড, ময়মনসিংহ-২২০০
সেলফোন: ০৯৬১১-৬৪৫২১৫, ০৯৬৯৭-৪৯৭০৯০
ই-মেইল: jagrota2041@gmail.com
ফোন :
ইমেইল :