২৪ নভেম্বার ২০২০, ২২:৩৭ মিঃ
সাজেদুর আবেদীন শান্ত
মেঘলা ভৌমিক থাকেন ধানমন্ডির জিগাতলায়। বর্তমানে এমবিএ করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। পাশাপাশি একটি আইটি কোম্পানিতে বিজনেস অ্যানালিস্ট হিসেবে কাজ করছেন। বাবা-মা ও দুই বোন নিয়ে মেঘলার পরিবার।
ছোটবেলা থেকেই আঁকাআঁকির প্রতি ছিল প্রবল ঝোঁক। শৈশবে ২ বছর একটি স্কুলে ড্রইং শিখেছিলেন। তারপর থেকেই নিজের ইচ্ছায় ছবি আঁকা অব্যাহত রাখেন।
রংতুলির সাথে একটি অন্যরকম গভীর সম্পর্ক গড়ে ওঠে মেঘলার। কারণ রঙিন সব কিছুই তার অনেক ভালো লাগে। নিজের ঘর থেকে শুরু করে আসবাবপত্র- সব কিছুই রঙিন রাখতে চান।
১০ বছর ধরে ছবি আঁকছেন মেঘলা। ২০১৬ সাল থেকে তার আঁকা ছবিগুলো অনলাইনের মাধ্যমে বিক্রি শুরু করেন। এ ছাড়াও মেঘলার কিছু নির্দিষ্ট কাস্টমার আছেন; যারা তার কাছ থেকে নিয়মিত আঁকা ছবিগুলো কিনে নেন।
মেঘলা ভৌমিক জাগো নিউজকে বলেন, ‘করোনা মহামারীতে চাকরি নিয়ে একটু আতঙ্কে ছিলাম। যেকোনো কারণে যদি চাকরি চলে যায়, তখন আমি কী করব? কখনো হ্যান্ড পেইন্টিং নিয়ে কাজ শুরু করব ভাবিনি। এ ভাবনা মূলত লকডাউনে মাথায় আসে।’
তিনি বলেন, ‘তখন মনে হলো যে, এটাকে আমি এখন আমার কাজে লাগাতে পারি। এসব কিছুর পেছনে আমার বড় বোনের অনুপ্রেরণা অনেক বেশি। বড় বোন আমাকে অনেক উৎসাহ দিয়েছেন এবং এখনো দিয়ে যাচ্ছেন।’
মেঘলা আরও বলেন, ‘প্রথমে আমি ১৫ হাজার টাকা দিয়ে কাপড় কিনে তাতে হ্যান্ড পেইন্ট করে বিক্রি শুরু করি। আমার হ্যান্ড পেইন্ট পণ্য বিক্রি হয় মোট ১ লাখ ৭৬ হাজার ১৯০ টাকা।’
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা হচ্ছে- এটাকে অনেক দূর নিয়ে যাওয়া এবং চারুকুটির নামে একটি শো-রুম দেওয়া। আমি চাই, আমার পণ্য যেন দেশে-বিদেশে সুনাম অর্জন করে।’
তিনি মনে করেন, মানুষ যেন ভবিষ্যতে এখান থেকে এসে নিজে দেখে ঘুরে জিনিস কিনে নিয়ে যেতে পারেন। এ ছাড়াও চারুকুটিরের মাধ্যমে যেন আরও ১০ জনের কর্মসংস্থান হয়।
লেখক: শিক্ষার্থী, বঙ্গবন্ধু কলেজ, ঢাকা।
সর্বস্বত্ব: এমআরএল মিডিয়া লিমিটেড
ঢাকা অফিস: মডার্ণ ম্যানসন (১৫ তলা), ৫৩ মতিঝিল বাণিজ্যিক এলাকা, ঢাকা-১০০০
ময়মনসিংহ অফিস: হাসনাইন প্লাজা (দ্বিতীয় তলা), ৭ মদন বাবু রোড, ময়মনসিংহ-২২০০
সেলফোন: ০৯৬১১-৬৪৫২১৫, ০৯৬৯৭-৪৯৭০৯০
ই-মেইল: jagrota2041@gmail.com
ফোন :
ইমেইল :