১৯ জানুয়ারী ২০২১, ২১:০৬ মিঃ
শুভেচ্ছার নিদর্শন হিসেবে বাংলাদেশ, নেপাল, ভুটান, মিয়ানমারের মতো প্রতিবেশীসহ মোট ১২টি দেশকে বিনামূল্যে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত। তবে নেপাল-ভুটানের মতো ছোট জনগোষ্ঠীর দেশগুলোকে সব ফ্রি আর বাংলাদেশকে উপহার হিসেবে ২০ লাখ ভ্যাকসিন দেবে মোদি সরকার।
বিশ্বের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ করোনা সংক্রমিত দেশ ভারত গত ৩ জানুয়ারি একসঙ্গে দুটি ভ্যাকসিনের অনুমোদন দিয়েছে। এর একটি অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি কোভিশিল্ড, অপরটি ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিন। অক্সফোর্ডের অনুমতি সাপেক্ষে কোভিশিল্ড উৎপাদন করছে ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট। এটি নিয়ে খুব একটা উচ্চবাচ্য না হলেও ভারতীয়দের আবিষ্কৃত কোভ্যাক্সিনের অনুমোদন নিয়ে শুরু হয়েছে তুমুল বিতর্ক। কারণ সেটির ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালই এখনও শেষ হয়নি, নেই সুরক্ষা সংক্রান্ত পর্যাপ্ত তথ্যও।
বৈঠকে অংশ নেয়া এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, শুভেচ্ছার নিদর্শন হিসেবে ভারত সরকার মঙ্গোলিয়া, ওমান, মিয়ানমার, ফিলিপাইন, বাহরাইন, মালদ্বীপ ও মরিশাসে কোভ্যাক্সিন পাঠাবে। ভুটান, আফগানিস্তান, নেপাল, বাংলাদেশ ও সিশেলসে পাঠানো হবে কোভিশিল্ড।
বৈঠকে কর্মকর্তারা রফতানির পর দেশীয় ব্যবহারের জন্য ভ্যাকসিনের প্রাপ্যতা নিয়েও আলোচনা করেন।
ওই জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, আমরা ঠিক করেছি, এখন পর্যন্ত কেন্দ্রীয় ড্রাগস ল্যাবরেটরি থেকে অনুমোদিত ডোজগুলোর অর্ধেক রফতানি করা যেতে পারে। প্রতিটি দেশকে ততটুকুই দেয়া হবে, যতটা তারা চাহিদা দেখিয়েছে। ভারতে বর্তমানে পাঁচ কোটির [ডোজ] মতো মজুত রয়েছে, এর মধ্যে আড়াই কোটি রফতানি করা যাবে।
অর্থনীতিপ্রধান পত্রিকা মিন্ট বলছে, নেপালের কাছ থেকে করোনা ভ্যাকসিনের জন্য কোনো অর্থ নিচ্ছে না ভারতীয় সরকার। বাংলাদেশকে উপহার হিসেবে ২০ লাখ ডোজ দেবে তারা।
এছাড়া, ভুটানের প্রধানমন্ত্রী নিশ্চিত করেছেন, তাদেরও বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দিচ্ছে ভারত।
সর্বস্বত্ব: এমআরএল মিডিয়া লিমিটেড
ঢাকা অফিস: মডার্ণ ম্যানসন (১৫ তলা), ৫৩ মতিঝিল বাণিজ্যিক এলাকা, ঢাকা-১০০০
ময়মনসিংহ অফিস: হাসনাইন প্লাজা (দ্বিতীয় তলা), ৭ মদন বাবু রোড, ময়মনসিংহ-২২০০
সেলফোন: ০৯৬১১-৬৪৫২১৫, ০৯৬৯৭-৪৯৭০৯০
ই-মেইল: jagrota2041@gmail.com
ফোন :
ইমেইল :