এমপিকে জড়িয়ে সংবাদ প্রকাশ, চিকিৎসকের অপসারণ চেয়ে মহাসড়ক অবরোধ
প্রকাশ :
দেশের প্রথম সারির একটি পত্রিকায় ‘হাসপাতালে ধনু এমপির শাসন’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার জেরে ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সোহেলি শারমিনের অপসারণ দাবিতে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের নেতৃবৃন্দ ও এমপি সমর্থকরা এ কর্মসূচি পালন করেন।
বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ভালুকায় ঘণ্টাব্যাপী ঢাকা-ময়মনসিংহ অবরোধ করে এ বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হয়। কর্মসূচি চলাকালে মহাসড়কের দু’পাশে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
ময়মনসিংহ-১১ আসনের সংসদ সদস্য কাজিম উদ্দিন আহম্মেদ ধনুকে কটূক্তি, করোনার টাকা আত্মসাত, হাসপাতালের স্টাফ, রোগী ও তাদের স্বজনদের সঙ্গে অসদাচারণের অভিযোগ এনে ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সোহেলি শারমিনের অপসারণ দাবিতে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হয়।
পরে প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আশ্বাসে কর্মসূচি তুলে নেয়া হয়। ডা. সোহেলি শারমিনের অপসারণসহ তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান কর্মসূচিতে অংশ নেয়া মুক্তিযোদ্ধারা। অন্যথায় কঠোর আন্দোলনে হুঁশিয়ারি দেন তারা।
উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের নেতা আশিকুর রহমান আশিক বলেন, ‘ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সোহেলি শারমিন যোগদানের পর থেকে হাসপাতালকে ঘুষের স্বর্গরাজ্য করে তুলেছেন। সাধারণ মানুষকে তিনি মানুষ হিসেবে গণ্য করেন না। রোগীদের সঙ্গেও খারাপ আচরণ করেন। এসব বিষয়ে আমাদের এমপি প্রতিবাদ করায় ডা. সোহেলি শারমিন তার বিরুদ্ধে নানাভাবে অপপ্রচার করছেন। লোকদের দিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ কিছু পত্রিকায়ও সংবাদ প্রচার করিয়েছেন এমপির বিরুদ্ধে। এ অবস্থার সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব।’
ভালুকা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘এমপি কাজিম উদ্দিন আহম্মেদ ধনু ভালুকার মাটি ও মানুষের নেতা। সার্বক্ষণিক সাধারন মানুষের দুঃখ-দুর্দশা নিয়ে চিন্তাভাবনা করেন। হাসপাতালের বিভিন্ন অনিয়ম দুর্নীতির কথা বলায় ডা. সোহেলি শারমিন তার পিছু লেগেছেন। নানাভাবে অপপ্রচার করছেন। তাই আমরা ডা. সোহেলি শারমিনের অপসারণসহ বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়ার দাবিতে আন্দোলন করছি।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সোহেলি শারমিন বলেন, ‘করোনাকালীন ময়মনসিংহে তার হাসপাতাল সর্বোচ্চ সেবা দিয়েছে মানুষকে। একটি পক্ষ তাদের স্বার্থে আঘাত লাগায় তার বিরুদ্ধে লেগেছে। কর্তৃপক্ষ চাইলে তিনি ভালুকায় থাকবেন না। চলে যাবেন।’
ময়মনসিংহ জেলা সিভিল সার্জন এবিএম মসিউল আলমের নম্বরে ফোন করা হলে তিনি কেটে দেন।