০৯ মার্চ ২০২০, ০৯:০০ মিঃ
জাতীয় দলের ক্রিকেটার মেহেদী হাসান মিরাজের বাসার চুরির সঙ্গে দুই চোর শনাক্ত করেছে পুলিশ। চুরির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে সোহেল রানা নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ওই চুরির ঘটনায় জড়িত থাকার কথা আদালতেও স্বীকার করেছেন আসামি সোহেল। আর পলাতক আছেন জামাল নামের আরেকজন। যাঁকে গ্রেপ্তারে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।
কাফরুল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিমুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, জাতীয় দলের ক্রিকেটার মেহেদী হাসান মিরাজের বাসায় চুরির ঘটনায় করা মামলাটি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করা হয়। চুরির সঙ্গে জড়িত সোহেলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই আসামির কাছ থেকে চুরি যাওয়া মিরাজের বাসার মালামালও উদ্ধার করা হয়েছে। তবে চুরির প্রধান পরিকল্পনাকারী জামাল পলাতক।
ওসি সেলিমুজ্জামান বলেন, ঘটনাস্থলে জুতার ছাপ থেকে চোর সোহেলকে শনাক্ত করা হয়। আসামি সোহেল গত বৃহস্পতিবার ঢাকার আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
মিরাজের পরিবার নিয়ে বসবাস করেন রাজধানীর কাফরুল এলাকায়। থাকেন ১০ তলা ভবনের একটি ফ্ল্যাটে। খেলার জন্য গত ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মিরাজ বাসার বাইরে ছিলেন। বাসায় তখন কেউ ছিলেন না। এই সময়ের মধ্যে মিরাজের বাসায় চুরি হয়। বাসার কাঠের আলমারির ড্রয়ার ভেঙে ২৫ ভরি সোনা, তিনটি ডায়মন্ডের আংটি ও ছয় হাজার মার্কিন ডলার চুরি হয়। এ ঘটনায় মিরাজ বাদী হয়ে রাজধানীর কাফরুল থানা এলাকায় অজ্ঞাত চোরের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
মিরাজের ফ্ল্যাটটি ১০ তলায়। মামলার এজাহারের তথ্য অনুযায়ী, বাসায় ঢোকার প্রধান দরজা ভালোভাবে তালাবদ্ধ করে যান। ছয় দিন পর বাসায় ফিরে দেখেন ঘরে ঢোকার দরজার তালা ঠিকভাবে লাগানো আছে। কিন্তু ঘরের ভেতরে ঢুকেই দেখেন, সবকিছু এলোমেলো। বাসার আলমারির তালা ভাঙা। মামলায় মিরাজ বলেন, ‘আমার বেড রুমের বারান্দার পকেট গেট খোলা।’
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাফরুল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) এমদাদুল হক প্রথম আলোকে বলেন, মিরাজের বাসার সামনে আরেকটি ফ্ল্যাট রয়েছে। সেই ফ্ল্যাটে কেউ বসবাস করেন না। সরেজমিনে গিয়ে জানতে পারেন, জরুরি সিঁড়ি ব্যবহার করে চোর মিরাজের বাসায় ঢুকেছিল। মিরাজের বাসায় একটি জুতার ছাপ ছিল। জরুরি সিঁড়িতেও একই ছাপ দেখতে পান। তখন নিশ্চিত হন, চোর বাইরের কেউ নয়। এই ভবনের কেউ এই চুরির ঘটনার সঙ্গে জড়িত।
পুলিশ
কর্মকর্তা এমদাদুল হক বলেন, চুরির মামলাটি তদন্ত করতে গিয়ে দেখতে পান,
জুতা পরে যে মিরাজের বাসায় ঢুকেছিল, সেটি ছিল বর্মিজ জুতা। দুই দিন ভবনের
নিচে অবস্থান করেন তিনি। তখন বর্মিজ জুতা পরা সোহেলকে ভবনের নিচে দেখতে
পান। পরে তাঁকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যান। জিজ্ঞাসাবাদে সোহেল স্বীকার
করেন, তিনি মিরাজের বাসায় চুরির সঙ্গে জড়িত। তাঁর দেওয়া তথ্যমতে, মিরাজের
বাসায় চুরি যাওয়া সোনা, ডায়মন্ড উদ্ধার করা হয়।
কাফরুল থানার ওসি
সেলিমুজ্জামান বলেন, ‘মিরাজের বাসায় চুরির প্রধান পরিকল্পনাকারী জামাল।
মিরাজদের ভবনের নিরাপত্তারক্ষী হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন তিনি।
জামালের সঙ্গে সোহেলের কথোপকথনের প্রমাণ পাওয়া গেছে।’
ক্রিকেটার
মেহেদী হাসান মিরাজ প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার বাসায় চুরি যাওয়া সোনাসহ অনেক
মালামাল উদ্ধার হয়েছে। উদ্ধার করা বাকি আছে ছয় হাজার মার্কিন ডলার। কাফরুল
থানা-পুলিশ ভালোভাবে তদন্ত করে চোর সোহেলকে ধরতে পেরেছে। আরেক চোর জামাল
পলাতক। আমি জামালকে চিনতাম। তিনি আমাদের বাসায় অনেক দিন থেকে
নিরাপত্তারক্ষীর দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।’
সর্বস্বত্ব: এমআরএল মিডিয়া লিমিটেড
ঢাকা অফিস: মডার্ণ ম্যানসন (১৫ তলা), ৫৩ মতিঝিল বাণিজ্যিক এলাকা, ঢাকা-১০০০
ময়মনসিংহ অফিস: হাসনাইন প্লাজা (দ্বিতীয় তলা), ৭ মদন বাবু রোড, ময়মনসিংহ-২২০০
সেলফোন: ০৯৬১১-৬৪৫২১৫, ০৯৬৯৭-৪৯৭০৯০
ই-মেইল: jagrota2041@gmail.com
ফোন :
ইমেইল :