, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ অনলাইন সংস্করণ

মাতা-পিতা সন্তানের জন্য সবচেয়ে আপনঃ মহানবী (সা.)

  ধর্ম ডেস্ক

  প্রকাশ : 

মাতা-পিতা সন্তানের জন্য সবচেয়ে আপনঃ মহানবী (সা.)

মহানবী (সা.) বলেন, পিতা সন্তানকে শিষ্টাচারের চেয়ে উত্তম কিছু শিক্ষা দিতে পারে না। (তিরমিজি, মিশকাত, পৃষ্ঠা ৪২৩)


সন্তানের জন্য সবচেয়ে আপন হলো মাতা-পিতা। তদ্রুপ মা-বাবার জন্য সবচেয়ে আপন হলো সন্তান।

সুসন্তান পার্থিব জীবনে সুখ-শান্তির এবং পরকালে মুক্তির অন্যতম মাধ্যম। ধন-সম্পদ প্রাণ রক্ষার মাধ্যম, আর সন্তান বংশ রক্ষার মাধ্যম। সন্তানের প্রতি মা-বাবার রয়েছে অসংখ্য দায়িত্ব ও কর্তব্য। সেগুলো হলো—


একত্ববাদের বাণী শোনানো: সন্তান জন্মের পর প্রথম সুন্নত কাজ হলো ডান কানে আজান এবং বাম কানে ইকামত দেওয়া। এর ফলে সন্তানের কানে সর্বপ্রথম একত্ববাদের বাণী পৌঁছে। আবু রাফে (রা.) বলেন, আমি মহানবী (সা.)-কে দেখেছি, ফাতিমা (রা.)-এর গর্ভে হাসান (রা.) জন্মগ্রহণ করলে তিনি তাঁর কানে নামাজের আজানের মতো আজান দিয়েছেন (তিরমিজি, প্রথম খণ্ড, পৃষ্ঠা ১৮৩)


মহানবী (সা.) বলেন, যখন তোমাদের সন্তান কথা বলতে শিখে তখন তাদের কালেমা ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ শিক্ষা দাও। (বায়হাকি)


অর্থবহ নাম রাখা: মানুষের ব্যক্তিত্বের প্রকাশ ঘটে নামের মাধ্যমে। দুনিয়ার এ নামেই পরকালে তাকে ডাকা হবে। এ নামের প্রভাব পড়ে বংশের মধ্যে। ফলে মা-বাবার কর্তব্য হলো তার সন্তানের একটি অর্থবহ নাম রাখা। মহানবী (সা.) অর্থবহ নয় এমন অনেক নাম পরিবর্তন করেছেন। যেমন—আব্দুল ওজ্জা নাম পরিবর্তন করে রেখেছেন আবদুল্লাহ, আসিয়া নাম পরিবর্তন করে রেখেছেন জামিলা। বুররা নাম পরিবর্তন করে রেখেছেন জয়নব।


আকিকা করা: শিশুর জন্মের সপ্তম দিন আকিকা করা সুন্নত। মহানবী (সা.) বলেন, প্রতিটি শিশু তার আকিকার সঙ্গে বন্ধক থাকে। সুতরাং তার জন্মের সপ্তম দিন তার পক্ষ থেকে পশু জবেহ করবে, মাথার চুল মুণ্ডন করবে ও নাম রাখবে। রাসুল (সা.) বলেছেন, ছেলের জন্য দু’টি ছাগল এবং মেয়ের জন্য একটি ছাগল আকিকা করবে (বায়হাকি)।


  • সর্বশেষ - অতিথি কলাম