১৬ এপ্রিল ২০২১, ১৩:৫১ মিঃ
নয়াদিল্লী, ১৬ এপ্রিল – প্রায় দিনই ভারতের রেকর্ড হচ্ছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের। ভাইরাসটির দ্বিতীয় ঢেউয়ে এবার এক দিনেই ২ লাখ ১৬ হাজার ৮৫০ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন দেশটিতে। আজ শুক্রবার সকালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী দেশটিতে গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ১ হাজার ১৮৩ জন।
ভারতীয় গণমাধ্যমগুলোতে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর এ তথ্য প্রকাশ করেছে। এ নিয়ে ভারতে করোনার মোট সংক্রমণ ১ কোটি ৪২ লাখ ৮৭ হাজার ৭৪০ জনে দাঁড়িয়েছে। এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ১ লাখ ৭৪ হাজার ৩৩৫ জন। গতকাল বৃহস্পতিবার দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হন ২ লাখ ৭৩৯ জন, মৃত্যু হয় ১ হাজার ৩৮ জনের।
ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো বলছেন, করোনার ডাবল মিউট্যান্ট স্ট্রেন সংক্রমিত হয়েছে ভারতের ১০টি রাজ্যে। এই প্রজাতির ভাইরাসে রয়েছে দুটি প্রজাতির করোনা ভাইরাসের মিশ্রণ। ই৪৮৪কিউ ও এল৪২৪আর ভাইরাসের মিশ্রণে তৈরি হয়েছে এই তৃতীয় প্রজাতিটি। দিল্লিতে ব্রিটেনের করোনা প্রজাতি ও এই জাতীয় করোনা প্রজাতি যৌথভাবে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গ, মহারাষ্ট্র, দিল্লি, গুজরাট, কর্নাটক, মধ্যপ্রদেশেও ভাইরাসটি ছড়িয়েছে।
পাঞ্জাবে করোনার নতুন ঢেউয়ে যারা আক্রান্ত হয়েছেন, তাদের ৮০ শতাংশের শরীরে পাওয়া গেছে ব্রিটেনের করোনা স্ট্রেন। কিন্তু মহারাষ্ট্রে বিপুল পরিমাণে নতুন প্রজাতির করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ দেখা যাচ্ছে। হিসাব অনুসারে, ৬০ শতাংশ আক্রান্তই দুই ভাইরাসের প্রজাতি থেকে তৈরি তৃতীয় ভাইরাসের দ্বারা সংক্রমিত হয়েছেন।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের আঁচ লেগেছে দেশটির শ্মশান ও কবরস্থানে। মধ্যপ্রদেশের ভোপাল ও রাজধানী দিল্লিতে দৈনিক মৃত্যু বাড়ায় শ্মশান, কবরস্থানে েলাইন বাড়ছে। দিল্লির সবচেয়ে বড় শ্মশান নিগম্বোধ ঘাট। সৎকারের জন্য গত কয়েকদিন ধরে সেখানে দেখা যাচ্ছে দীর্ঘ লাইন। অনেক ৬-৭টা ঘণ্টা অপেক্ষা করে স্বজনদের মরদেহ দাহ করার সুযোগ পাচ্ছেন না। এনডিটিভি বলছে, বর্তমান হারে লাশ এলে কিছু দিন পরই কবর দেওয়ার জায়গা শেষ হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন দিল্লির এক কবরস্থান কর্তৃপক্ষ। আগে দিনে ১-২টা করে মরদেহ আসত। এখন দিনে ১৭-১৮টা করে আসছে। শেষ ৫ দিনে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। এখানে আর ৯০ জনকে কবর দেওয়ার মতো জায়গা রয়েছে।
এমনকি, মর্গেও মরদেহ রাখার জায়গা হচ্ছে না বিভিন্ন রাজ্যের হাসপাতালে। প্রকাশ্যে মাটিতে ফেলে রাখা হয়েছে মরদেহ। ভারতীয় নেটিজেনদের শেয়ার করা ছবি ও ভিডিও সামাজিকমাধ্যমগুলোতে ভাইরাল হয়ে গেছে।
গত বছর নভেম্বর থেকে দেশটিতে সংক্রমণ কিছুটা নিম্নমুখী হলেও চলতি বছর মার্চের মাঝামাঝি থেকে তা আবারও বাড়তে শুরু করে। গত এক সপ্তাহ ধরে দেশটিতে দৈনিক এক লাখেরও বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভারতে করোনা সংক্রমণের সাম্প্রতিক এই উল্লম্ফনের প্রধান কারণ হচ্ছে- করোনা বিধিনিষেধ মানার ব্যাপারে সাধারণ মানুষের উদাসীনতা।
সর্বস্বত্ব: এমআরএল মিডিয়া লিমিটেড
ঢাকা অফিস: মডার্ণ ম্যানসন (১৫ তলা), ৫৩ মতিঝিল বাণিজ্যিক এলাকা, ঢাকা-১০০০
ময়মনসিংহ অফিস: হাসনাইন প্লাজা (দ্বিতীয় তলা), ৭ মদন বাবু রোড, ময়মনসিংহ-২২০০
সেলফোন: ০৯৬১১-৬৪৫২১৫, ০৯৬৯৭-৪৯৭০৯০
ই-মেইল: jagrota2041@gmail.com
ফোন :
ইমেইল :