2024-03-28 06:57:36 pm

সারেগামায় চ্যাম্পিয়ন হননি অনুষ্কা, ফেসবুকে তুলকালাম

www.focusbd24.com

সারেগামায় চ্যাম্পিয়ন হননি অনুষ্কা, ফেসবুকে তুলকালাম

২০ এপ্রিল ২০২১, ০৯:০০ মিঃ

সারেগামায় চ্যাম্পিয়ন হননি অনুষ্কা, ফেসবুকে তুলকালাম
অনুষ্কা পাত্র। ছবি : ইনস্টাগ্রাম

ভারতীয় বাংলা চ্যানেলের গানের রিয়েলিটি শো সারেগামাপা-২০২০ মৌসুমের চ্যাম্পিয়ন হতে পারেননি অনুষ্কা পাত্র। এ নিয়ে ফেসবুকে শুরু হয়েছে তুলকালাম কাণ্ড। প্রতিযোগিতা চলাকালে নবীন এ শিল্পীদের অনুসারীরা কয়েক ভাগে ভাগ হয়ে গিয়েছিলেন। অনুষ্কার সমর্থকেরা মানতেই পারছেন না যে অনুষ্কা চ্যাম্পিয়ন হতে পারেননি। ফেসবুকে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তাঁরা, এমনকি ফলাফল ও বিচারকার্য নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন।

অর্কদীপ মিশ্র। ছবি : ইনস্টাগ্রাম

গত রোববার প্রচারিত হয় সারেগামাপা-২০২০ মৌসুমের চূড়ান্ত পর্ব। গানের দীর্ঘ লড়াইয়ে বহু প্রতিযোগীকে পেছনে ফেলে এই পর্বে জায়গা করে নেন পশ্চিমবঙ্গের অর্কদীপ মিশ্র, রক্তিম চৌধুরী, বিদীপ্তা চক্রবর্তী, জ্যোতি শর্মা, নীহারিকা নাথ ও অনুষ্কা পাত্র। শেষ পর্যন্ত বিজয়ী হয়েছেন অর্কদীপ। দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছেন নীহারিকা এবং তৃতীয় হয়েছেন বিদীপ্তা। তবে দর্শকদের ভোটে বিজয়ী হয়েছেন অনুষ্কা। ধারণকৃত অনুষ্ঠানটি গতকাল প্রচারিত হলেও বেশ কিছুদিন আগে একটি মিলনায়তনে সম্পন্ন হয় এ আয়োজন। এতে লোকগানের শিল্পী অর্কদীপকে চ্যাম্পিয়ন করায় দর্শকেরা ক্ষুব্ধ। সাত মাস ধরে যাঁরা এ অনুষ্ঠান দেখেছেন, তাঁদের মধ্যে একটি পক্ষ মনে করে, চ্যাম্পিয়ন হওয়ার কথা অনুষ্কার। আরেকটি পক্ষ মনে করে, চ্যাম্পিয়ন হওয়ার কথা নীহারিকার।
নীহারিকা নাথ। ছবি : ইনস্টাগ্রাম

দর্শকেরা মনে করেন, অনুষ্কা, বিদীপ্তা ও নীহারিকারা কখনো ডেঞ্জার জোনে যাননি। অথচ তাঁরা কেউ প্রথম হতে পারলেন না? আর যে অনুষ্কার পরিবেশনার কারণে এই অনুষ্ঠান ভিন্ন মাত্রা পেত, সেই অনুষ্কা হলেন চতুর্থ? প্রতিযোগিতার বিচারকার্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন দর্শকেরা। তাঁরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শ্রীকান্ত আচার্য, আকৃতি কক্কর ও বিজয়ী অর্কদীপের দলপ্রধান ইমন চক্রবর্তীর ওপর। অনুষ্ঠানে দেখা গেছে, ফলাফল ঘোষণার আগেই ইমন গিয়ে দাঁড়িয়েছেন অর্কদীপের কাছে। এতে কতিপয় দর্শকের বিশ্বাস দৃঢ় হয়, এ ফল আগে থেকে ঠিক করা ছিল।

বিদীপ্তা চক্রবর্তী। ছবি : ইনস্টাগ্রাম

চূড়ান্ত পর্বের গান নির্বাচন নিয়েও ক্ষুব্ধ দর্শকেরা। এক প্রবাসী বাঙালি ফেসবুকে লিখেছেন, ‘কাল জি বাংলার সারেগামাপা ফাইনাল দেখছিলাম। এটা কি জিটিভির সারেগামাপা নাকি জি বাংলার? দুই লাইন করে লোকসংগীতের ফোড়ন ছাড়া কোনো প্রতিযোগী একটাও বাংলা গান গাইল না। শুধু পূজার সময় গণেশায় নমো করে যেমন একটা ফুল ফেলা হয়, সেভাবেই অর্কদীপ একখানা বাংলা লোকগীতি গাইল, তা–ও হিন্দি গান ঢুকিয়ে। এরপর আমরা আবার গলা বাজাই “বাংলা বাঁচাও বলে”! দর্শকের আসনে বসে রইলেন ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্ত আর মঞ্চে বিচার করলেন মিকা সিং! বাহ!’ অনেক নেটিজেন অনুষ্ঠানটির বিচারকদের তালিকা তুলে ধরে একে রাজনৈতিক শো বলেও আখ্যায়িত করেছেন।

টলিউডের একটি গ্রুপে এক দর্শকের ফেসবুক পোস্ট

নেতিবাচক আলোচনা ও সমালোচনায় ত্যক্তবিরক্ত বিচারক ইমন চক্রবর্তী গতকাল এসেছিলেন ফেসবুক লাইভে। সেখানে নিন্দুকদের কড়া জবাব দিয়েছেন ইমন। চলন্ত গাড়িতে বসে সোমবার দুপুরের ফেসবুক লাইভে তিনি বলেন, ‘একটি ছেলে প্রথম হলো, তা নিয়ে এত সমালোচনা কেন? অর্কদীপের বদলে অন্য কেউ বিজয়ী হলেও এই পরিস্থিতি হতো।’ বিচারকদের দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তোলায় ইমন বলেন, ‘ওখানে যাঁরা বিচারকের আসনে ছিলেন, তাঁরা প্রত্যেকে পারদর্শী, গান শিখে আজকের অবস্থানে পৌঁছেছেন। শঙ্কর মহাদেবেন, মিকা সিং, শ্রীকান্ত আচার্য, জয় সরকারকে নিয়ে আপনারা কী কমেন্ট করছেন? নিজেদের কোথায় নামাচ্ছেন?’অর্কদীপ ও বিচারক ইমন চক্রবর্তী। ছবি : ইনস্টাগ্রাম



অর্ককে জেতাতে অর্থ ব্যয় করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন নেটিজেনদের অনেকে। তার জবাবে ইমন বলেন, ‘আমি ওকে অনেক দিন ধরেই চিনি, আমরা একই গুরুর শিষ্য। সেটা আলাদা কথা। তবে ওর ফাইটটা দেখুন। ওদের সবার লড়াইটা দেখুন। কেন আপনাদের মনে হয়েছে অর্কদীপের জেতাটা ভুল সিদ্ধান্ত?’ ইমনের মতে, সারেগামাপা–২০২০-এর গ্র্যান্ড ফিনালেতে জায়গা করে নেওয়া ছয় প্রতিযোগীই বিজয়ী হওয়ার যোগ্য। কেবল বিচারে উনিশ-বিশের ফারাকে বিজয়ী নির্বাচিত হয়েছেন অর্কদীপ মিশ্র। বিচারকদের পক্ষে সম্ভবপর হলে সবাইকেই প্রথম ঘোষণা করা হতো। ইমন বলেন, ‘আপনারা বলছেন আমি টাকা খাইয়েছি? আমার এত পয়সা নেই, আমি নিজের জন্য কোনো দিন টাকা খাওয়াইনি। টাকা খাওয়ানোর হলে আমি সৌম্যদীপ্তাকে রাখতাম, জ্যোতিকে রাখতাম, আমার টিমের সবাইকে রাখতাম। কেন এই ধরনের নোংরা কমেন্ট করছেন? কারও গান শুনতে ভালো না লাগলে শুনবেন না। কিন্তু কাউকে এভাবে আক্রমণ করবেন না।’

অর্কদীপ ও অনুষ্কা। ছবি : ইনস্টাগ্রাম

তুমি যাকে ভালোবাসো’ গানের মাধ্যমে পরিচিতি ও ভারতের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাওয়া এই শিল্পী বলেন, ‘নতুন যে ছেলেমেয়েগুলো গান করার চেষ্টা করছে, তাঁদের পাশে থাকুন। শিল্পীদের পাশে দাঁড়ান, একটু ভদ্রতা দেখান, তবেই সমাজটা আরও সুন্দর হবে।’

সূত্র : প্রথম আলো

উপদেষ্টা সম্পাদক: ডি. মজুমদার
সম্পাদক: মীর আক্তারুজ্জামান

সর্বস্বত্ব: এমআরএল মিডিয়া লিমিটেড
ঢাকা অফিস: মডার্ণ ম্যানসন (১৫ তলা), ৫৩ মতিঝিল বাণিজ্যিক এলাকা, ঢাকা-১০০০
ময়মনসিংহ অফিস: হাসনাইন প্লাজা (দ্বিতীয় তলা), ৭ মদন বাবু রোড, ময়মনসিংহ-২২০০
সেলফোন: ০৯৬১১-৬৪৫২১৫, ০৯৬৯৭-৪৯৭০৯০ ই-মেইল: jagrota2041@gmail.com
ফোন :
ইমেইল :