২৫ এপ্রিল ২০২১, ০৯:৪৮ মিঃ
একেবারেই জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ভারতের সঙ্গে যাতায়াত বন্ধ করা দরকার বলে জানিয়েছেন কোভিড-১৯ বিষয়ক জাতীয় কারিগরি কমিটির প্রধান অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লা। তিনি জানান, জাতীয় কমিটি এ নিয়ে আলোচনা করেছে। দ্রুতই সরকারকে তারা এ সুপারিশ করবেন।
প্রসঙ্গত, ভারতে আশঙ্কাজনক হারে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ছড়াচ্ছে। ডাবল ও ট্রিবল মিউট্যান্ট ভাইরাসের কথা শোনা যাচ্ছে। নতুন এই ভ্যারিয়েন্ট বাংলাদেশে চলে আসার আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। আর যদি এ ভ্যারিয়েন্ট বাংলাদেশে চলেই আসে তাহলে সেটা বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাতে কুলাবে না বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশে এখনও এই ভ্যারিয়েন্ট রিপোর্টেড হয়নি। কিন্তু যেহেতু ভারত একেবারেই কাছের দেশ, বর্ডারগুলোও সীমিতভাবে চালু রয়েছে, স্থলবন্দর দিয়ে যাতায়াতও রয়েছে, তাই দেশে এই ভ্যারিয়েন্ট আসতে বেশি দেরি লাগবে না। এসে পড়লে পরিস্থিতি ভয়ানক হবে।
জাতীয় কমিটি এ নিয়ে সরকারকে কোনও সুপারিশ দেবেন কিনা জানতে চাইলে অধ্যাপক মোহাম্মদ সহিদুল্লা বলেন, ‘জাতীয় কমিটির সদস্যরা ইতোমধ্যেই এ নিয়ে আলোচনা করেছেন। ভারতের সঙ্গে বর্ডারকে এমনভাবে সাজাতে হবে…সীমিত করতে হবে, এমনি সাধারণ কারণে যাতায়াত বন্ধ করা দিতে হবে। একেবারেই জরুরি প্রয়োজনে সেটা করতে হবে। একইসঙ্গে ভারত থেকে আসাদের অবশ্যই ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে রাখতে হবে। সেটা স্থল কিংবা আকাশ পথে হোক, আসলে তাদের ১৪ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রাখতে হবে। ভারতের সঙ্গে যাতায়াত বন্ধ তো করা যাবে না। তবে তা সীমিত করতে হবে।’
কমিটির এ আলোচনা সরকারকে জানানো হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সরকারকে এখনও সুপারিশ করা হয়নি। তবে করবো। সদস্যদের মিটিং এ এটা আলোচনা হয়েছে।’
সর্বস্বত্ব: এমআরএল মিডিয়া লিমিটেড
ঢাকা অফিস: মডার্ণ ম্যানসন (১৫ তলা), ৫৩ মতিঝিল বাণিজ্যিক এলাকা, ঢাকা-১০০০
ময়মনসিংহ অফিস: হাসনাইন প্লাজা (দ্বিতীয় তলা), ৭ মদন বাবু রোড, ময়মনসিংহ-২২০০
সেলফোন: ০৯৬১১-৬৪৫২১৫, ০৯৬৯৭-৪৯৭০৯০
ই-মেইল: jagrota2041@gmail.com
ফোন :
ইমেইল :