, ৪ বৈশাখ ১৪৩১ অনলাইন সংস্করণ

করোনা : তিনজনের দুজন সুস্থ, যেকোনো দিন রিলিজ

  অনলাইন ডেস্ক

  প্রকাশ : 

করোনা : তিনজনের দুজন সুস্থ, যেকোনো দিন রিলিজ
থার্মাল স্ক্যানার হস্তান্তর অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ। ছবি : পিআইডি

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, করোনা আক্রান্ত তিনজন রোগী ভাল আছেন। আক্রান্ত তিনজনের মধ্যে দুজন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। তাদের যেকোনো দিন রিলিজ দেওয়া হবে। আর যাদের কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে তারা সবাই অসুস্থ নন।

বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে পাঁচটি থার্মাল স্ক্যানার হস্তান্তর অনুষ্ঠানে তিনি এ সব কথা বলেন। সামিট গ্রুপ বিদেশফেরত যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সরকারকে পাঁচটি থার্মাল স্ক্যানার উপহার দিয়েছে।

জাহিদ মালেক বলেন, প্রবাসীদের প্রয়োজন ছাড়া দেশে আসার দরকার নেই। আসলে তাদেরকে কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। করোনা ভাইরাস নিয়ে সরকার সতর্ক ও সজাগ রয়েছে। করোনা মোকাবিলা করতে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি রয়েছে।

আগামী দুই দিনের মধ্য চট্টগ্রাম, সিলেট বিমানবন্দর, চট্টগ্রাম বন্দর ও বেনাপোল বন্দরে ১০টি নতুন স্ক্যানার বসানো হবে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের বিমানবন্দরে স্ক্যানারের ঘাটতি দেখা দিয়েছিল, সেটা পূরণ হয়েছে। আমরা দুই মাস আগেই পাঁচটি স্ক্যানার অর্ডার দিয়েছিলাম, সেটা গত সপ্তাহে হাতে পেয়েছি। আজ সামিট গ্রুপ পাঁচটি দিয়েছে। ফলে বর্তমানে স্ক্যানার নিয়ে সমস্যা নেই।

তিনি বলেন, করোনা ভাইরাসের কোনো ওষুধ বা ভ্যাকসিন নেই। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, করোনা প্রতিরোধের সব থেকে ভালো উপায় হলো আইসোলেটেড করে রাখা বা রোগীকে আলাদা করে রাখা। আমরা তিনটি কমিটি করেছি। তা দিয়ে জেলা পর্যায়েও আমাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

জাহিদ মালেক বলেন, কোথাও কোনো রোগীর খোঁজ পাওয়া গেলে বা বিদেশ থেকে কোনো রোগী এলে তাদের ট্র্যাক করছি এবং ঘরে কোয়ারেন্টাইন করা হচ্ছে। পাশাপাশি তাদের সঙ্গে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ রাখছি। তারা যদি অসুস্থ হয়ে পড়েন তাহলে তাদের নিয়ে আসছি হাসপাতালে। এভাবেই আমাদের কেসগুলো চিহ্নিত হচ্ছে। তবে এখন পর্যন্ত আমাদের কাছে নতুন কোনো করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর খবর পাওয়া যায়নি।

হাসপাতালগুলোকে কোনো সার্ভে করা বা নিউমোনিয়া হলে করোনার টেস্ট হচ্ছে কিনা জানতে চাইলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, জ্বর, সর্দি, কাশি নিয়ে যারা আসছেন তাদের আমরা হাসপাতালে ভর্তি করছি। যাদের প্রয়োজন মনে হচ্ছে তাদের পরীক্ষা করছি করোনা আছে কিনা। পরীক্ষা করে দেখছি, যেখানে যখন প্রয়োজন হচ্ছে সেখানে টেস্ট দিচ্ছি।

বিমানবন্দরে চারটি হেলপডেস্ক বসানো হলেও সেটা পর্যাপ্ত কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা বিমানবন্দরে ১০ জন ডাক্তার ও ৩০ জন নার্স দিয়েছি। দুই ডেস্ক থেকে চারটি করা হয়েছে। আমরা যে পদক্ষেপ নিয়েছি, আপাততো তা ভালো। বাড়ানোর প্রয়োজন হলে আরও বাড়াবো।

এ সময়ে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. আসাদুল ইসলাম, সামিট গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান মো. লতিফ খান, সামিট গ্রুপের পরিচালক আজিজা আজিজ খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

  • সর্বশেষ - আলোচিত খবর