, ২২ বৈশাখ ১৪৩১ অনলাইন সংস্করণ

কড়াকড়ির লকডাউনে পুরো দেশ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

  প্রকাশ : 

কড়াকড়ির লকডাউনে পুরো দেশ

সারাদেশে কোরবানি ঈদের পর শুরু হয়েছে কঠোর লকডাউন। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হতে মানা। রাজধানীর পোস্তগোলায় প্রাইভেটকার আটকে কথা বলছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের সদস্যরা। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী অবস্থাতেই ঈদুল আজহা উপলক্ষে শিথিল হয়েছিল লকডাউন। আট দিন পর ঈদের রেশ কাটার আগেই আবার দেশজুড়ে শুরু হয়েছে ১৪ দিনের লকডাউন।

গতকাল শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে শুরু হওয়া পূর্ব ঘোষিত লকডাউনের প্রথম দিনে ঢাকাসহ দেশের বড় শহরগুলো ছিল ফাঁকা। ছুটির দিনেও দেখা গেছে ব্যাপক কড়াকড়ি। পুলিশ-র‌্যাবের পাশাপাশি দেশজুড়ে সেনাবাহিনী ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যদেরও দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে।

চলতি দফার লকডাউন চলবে ৫ আগস্ট মধ্যরাত পর্যন্ত। এই সময়ে অতি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হওয়া যাবে না। সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী, চলমান এই লকডাউন হচ্ছে ‘কঠোরতম’। আগের বিধিনিষেধে শিল্পকারখানা চালু থাকলেও এবার বন্ধ থাকছে প্রায় সব শিল্পকারখানাও।

করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা হুহু করে বাড়তে থাকায় বিশেষজ্ঞদের সুপারিশে দেশজুড়ে ১ জুলাই থেকে দুই সপ্তাহ লকডাউন বলবৎ ছিল। তাতেও সংক্রমণ বা মৃত্যুর হার কমানো যাচ্ছিল না। গ্রেপ্তার, জরিমানা করেও ওই লকডাউনের শেষ দিকে এসে মানুষকে সেভাবে আটকে রাখা যাচ্ছিল না। অনেকেই রাস্তায় বের হতে শুরু করেন, বিধিনিষেধ ভেঙে দোকান খুলতে শুরু করেন পাড়া-মহল্লার ব্যবসায়ীরাও।

এমন পরিস্থিতিতে ঈদ উদযাপনে ১৪ জুলাই মধ্যরাত থেকে ২৩ জুলাই সকাল ৬টা পর্যন্ত সব বিধিনিষেধ শিথিলের ঘোষণা আসে। একই সময়ে ঘোষণা আসে ২৩ জুলাই সকাল ৬টা থেকে আবারও বিধিনিষেধগুলো কার্যকর হবে।

গত বৃহস্পতিবার জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন টানা ১৪ দিনের এই বিধিনিষেধকে ‘সবচেয়ে কঠোরতম’ হিসেবে অভিহিত করে তা বাস্তবায়নে সবার সহযোগিতাও চান।