, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ অনলাইন সংস্করণ

চতুর্থ বর্ষের ফলে অসংগতি, আন্দোলনের হুমকি পরীক্ষার্থীদের

  নিজস্ব প্রতিবেদক

  প্রকাশ : 

চতুর্থ বর্ষের ফলে অসংগতি, আন্দোলনের হুমকি পরীক্ষার্থীদের
ফাইল ছবি

তীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে আয়োজিত অনার্স চতুর্থ বর্ষের পরীক্ষার ফল নিয়ে নানান অভিযোগ উঠেছে। উপস্থিত থাকলেও অনেক পরীক্ষার্থীকে অনুপস্থিত দেখিয়ে ফেল দেখানো হয়েছে। ভালো পরীক্ষা দিয়েও আশানুরূপ ফল না পাওয়ার অভিযোগ তোলা হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে এসব ভুল সংশোধন করা না হলে আন্দোলনে নামার হুমকি দিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।

গত ২০ জুলাই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯ সালের অনার্স চতুর্থ বর্ষ পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। এবার গড় পাশের হার ৭২ শতাংশ। গতকাল (সোমবার) এ পরীক্ষার সমন্বিত ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। প্রকাশিত এ ফলাফলে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন সারা দেশের বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থীরা।

তেজগাঁও কলেজ থেকে পরীক্ষায় অংশ নেন ইকবাল হাসান। অনার্স চূড়ান্ত বর্ষের ফলে তাকে ‘অর্গানাইজেশনাল বিহেভিয়ার’ বিষয়ে অকৃতকার্য দেখানো হয়েছে। এই শিক্ষার্থী জানান, তার কলেজে অনেক শিক্ষার্থীকে এ বিষয়ে গণহারে এফ গ্রেড দেয়া হয়েছে। খাতা দেখায় অসঙ্গতির কারণেই এমন ফলাফল বলে তিনি মনে করেন।

চট্টগ্রামের ওমরগণি এমইএস কলেজের মো. ফরহাদ জানান, ‘ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট’ বিষয়ে তাকে ফেল দেয়া হয়েছে। এই পরীক্ষার্থীর দাবি কোনোভাবেই তার ফেল করার কথা ছিল না।

একই কলেজের আফরিন সুলতানা বলেন, তিনি ‘ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড’ বিষয়ে ফেল করেছেন। অথচ তিনি এ বিষয়ে খুব ভালো পরীক্ষা দিয়েছেন। চাঁদপুরের পুরানবাজার ডিগ্রী কলেজ থেকে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন উম্মে হাবিবা। সবগুলো বিষয়ে ভালো জিপিএ পেলেও ‘রিসার্চ মেথোডোলজি’ বিষয়ে ফেল করেছেন তিনি।

সব পরীক্ষায় অংশ নিলেও ‘ওয়েস্টার্ন লিটারেরি থিওরি’ বিষয়ের পরীক্ষায় অনুপস্থিত দেখানো হয়েছে মুহাম্মদ আলী আনছারকে। দ্রুত এসব ভুল সংশোধন করা না হলে ভুক্তভোগী সকলে মিলে আন্দোলনে নামবেন বলে জানান তারা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. মশিউর রহমান বলেন, ‘পরীক্ষা দিয়েছে শিক্ষার্থীরা আর কলেজের শিক্ষকরাই খাতা মূল্যায়ন করেছেন। আমরা শুধু ফল প্রকাশ করেছি। ফলাফল প্রকাশের ক্ষেত্রে প্রোগ্রামিং এ কোথাও ভুল হতে পারে, যেটা খুব সামান্য। এমনটি হলে সংশোধন করা হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিজ্ঞান বিষয়ের ল্যাব পরীক্ষা নেয়া সম্ভব না হওয়ায় আমরা আগের বর্ষের ফল গড় করে নম্বর দিয়েছি। তারপরও যদি কারো অভিযোগ থাকে সেক্ষেত্রে পুনরায় নিরীক্ষণের জন্য আবেদন করার সুযোগ রয়েছে। আবেদনকারীদের প্রতিটি খাতা আবারও মূল্যায়ন করা হবে।’

উপাচার্য বলেন, ‘কেউ পরীক্ষায় অংশ নিলে তার তো রেকর্ড থাকবে। মৌখিক পরীক্ষা জুম প্লাটফর্মে নেয়া হয়েছে। যদি শিক্ষকরা কোনো পরীক্ষার্থীর খাতার বিষয়ে রিপোর্ট করেন তবে তার ফল আটকে থাকবে। তারপরও যদি এ ধরনের ভুল হয়ে থাকে তবে কলেজের মাধ্যমে আবেদন করতে বলা হয়েছে।’

ফলাফল পুনরায় নিরীক্ষণের আবেদন ২৯ জুলাই থেকে

২০১৯ সালের অনার্স ৪র্থ বর্ষ পরীক্ষার প্রকাশিত ফলাফলের উত্তরপত্র পুনরায় নিরীক্ষণের জন্য আগামী ২৯ জুলাই (বৃহস্পতিবার) সকাল ১০টা থেকে ২১ আগস্ট (শনিবার) রাত ১২টা পর্যন্ত অনলাইনে আবেদন করা যাবে।

২২ আগস্ট (রোববার) বিকেল ৪টা পর্যন্ত ব্যাংকে টাকা জমা দেয়া যাবে। বিস্তারিত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে জানা যাবে।

  • সর্বশেষ - শিক্ষাঙ্গন