, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ অনলাইন সংস্করণ

দেশে জরুরি অবস্থা জারি করতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন

  অনলাইন ডেস্ক

  প্রকাশ : 

দেশে জরুরি অবস্থা জারি করতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন
ছবি: প্রতীকী

দেশে জরুরি অবস্থা ঘোষণার জন্য রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন করেছেন সুপ্রিম কোর্টের তিন আইনজীবী। সংবিধানের ১৪১ অনুচ্ছেদ অনযায়ী বৃহস্পতিবার তারা এই আবেদন করেছেন বলে জানা গেছে।

আবেদন করা আইনজীবীরা হলেন- মোহাম্মদ শিশির মনির, আসাদ উদ্দিন ও জুবায়েদুর রহমান।

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বিশ্বে দুই লাখ ১৯ হাজার ৮৭ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছেন আট হাজার ৯৬১ জন। চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৮৫ হাজার ৬৭৩ জন। বাংলাদেশে এ পর্যন্ত ১৮ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে বলে জানা গেছে। এর মধ্যে প্রাণ হারিয়েছেন একজন।

জরুরি অবস্থা চেয়ে ওই আবেদনে বলা হয়, ‘করোনাভাইরাসের কারণে এরই মধ্যে বিশ্বের সাতটি দেশে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। দিন দিন করোনা ভাইরাস যেভাবে ছড়িয়ে পড়ছে বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে সংবিধানের ১৪১ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে পরামর্শ করে দেশে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করতে পারেন। আক্রান্তদের মধ্যে প্রায় নয় হাজার মৃত্যুবরণ করেছেন। এটি অতিমাত্রায় সংক্রামক ভাইরাস। এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, ইতালি, স্পেন, কানাডা ও বেলজিয়াম জাতীয় এবং আঞ্চলিক পর্যায়ে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে। মধ্যপ্রাচ্যের প্রায় সব দেশ মসজিদে নামাজ আদায় বন্ধ করে দিয়েছে। বাংলাদেশেও এই সংক্রামক ভাইরাসের কবল থেকে মুক্ত নয়। দেশে করোনা আঠারো কোটি জনসংখ্যার বিপরীতে শনাক্তকারী কিটসের সংখ্যা মাত্র এক হাজার ৭৩২। সরকার বিদেশ ফেরতদের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দিলেও অনেকেই নিয়ম না মেনে জনসম্মুখে ঘুরে বেড়াচ্ছে। রিপোর্ট আসছে, নিয়ম না মানার কারণে এই ভাইরাস এখন কমিউনিটিতে সংক্রমিত হচ্ছে।’

‘বিদেশ ফেরত ৩০ জন বিচারক এবং ৪ জন ডাক্তারকে হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠিয়েছে। প্রশাসনের নির্দেশ অমান্য করে সভা, সমাবেশ ও মাহফিল অব্যাহত আছে। করোনা আতঙ্ক কাজে লাগিয়ে গুজব ছড়ানো হচ্ছে। ফলে বাজারে চরম অস্থিরতা বিরাজ করছে। দেশ ও জাতি একটি আভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলাহীনতা এবং সংকটের দিকে ধাবিত হতে চলেছে।’

আবেদনে আরও বলা হয়, ‘বিদেশি ক্রেতারা পোশাক খাতের ক্রয় আদেশ বাতিল করছে এবং অর্থনীতির সূচক নিম্নমুখী হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে দেশের হিউম্যান বায়ো সিকিউরিটি এবং অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড চরম হুমকির সম্মুখীন। এ পরিস্থিতিতে জরুরি অবস্থা জারি করা হলে দেশ ও জাতি আসন্ন বিপর্যয় থেকে রক্ষা পাবে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে মহামান্য রাষ্ট্রপতি পরবর্তী ঘোষণার মাধ্যমে ১৪১ ক(২)(ক) এর অধীনে জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার করা যেতে পারে।’

  • সর্বশেষ - আলোচিত খবর